ঢাকায় পেশাদার লিগ খেলা তিন বিদেশিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাফুফে। মোহামেডানের বাঙ্গুরা, আবাহনীর সামাদ ইউসুফ ও শেখ রাসেলের কিংসলেকে নাগরিকত্ব দিয়ে জাতীয় দলে খেলানোর চিন্তা রয়েছে। ইতিমধ্যে তিন ফুটবলারকে নাগরিকত্বের ফরমও পূরণ করানো হয়েছে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, চেষ্টা থাকবে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে পরবর্তী ম্যাচগুলোতেই বাঙ্গুরা, সামাদ ও কিংসলেকে মাঠে নামানো। ৩ সেপ্টেম্বর পার্থে অস্ট্রেলিয়া ও ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জর্ডানের বিপক্ষে বাংলাদেশ বাছাইপর্বে দুটো ম্যাচে লড়বে। আবেদন করার পর এত দ্রুত নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে বাফুফে সরকারের উচ্চমহলের সহযোগিতা চাওয়াতে তিন বিদেশি ফুটবলার দ্রুত নাগরিকত্ব পেয়েও যেতে পারেন।
জাতীয় দলের ফুটবল দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই দলের শক্তি বাড়াতে বিদেশি ফুটবলারদের নাগরিকত্ব দেয়। সেক্ষেত্রে বাফুফে যা করছে তা নতুন কিছু নয়। একজন ফুটবলার কোনো দেশে পাঁচ বছর লিগ খেললে নাগরিকত্বের আবেদন করতেই পারেন। মানসম্পন্ন খেলোয়াড় বলে আমরা তিন ফুটবলারের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছি। কিংসলে, বাঙ্গুরা বা সামাদ কেউ এতে আপত্তি করেননি। বরং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেলে তারাই খুশিই হবেন বলে জানিয়েছেন। বাবু দৃঢ়ভাবেই বলেছেন তিনজনকে যদি জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে বাংলাদেশ লাভবানই হবে। যাক, জাতীয় দলের ম্যানেজার সন্তুষ্টির কথা জানালেও তিন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রচেষ্টাকে আবার অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ছাইদ হাসান কানন বলেন, নাগরিকত্ব নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু তিন বিদেশিকে জাতীয় দলে খেলানোর চিন্তা চলছে কোন যুক্তিতে। ওরা দলভুক্ত হলে মাঠে বাংলাদেশের চেহারা কি পাল্টে যাবে। তাছাড়া ভালোমানের বিদেশি হলেও চলত। যাদের ফর্ম পড়তির দিকে সেই বিদেশিদের জাতীয় দলে খেলাতে বাফুফে এতো উঠে পড়ে লেগেছে কেন? এতে কি দেশের ফুটবলারদের অসম্মান করা হবে না? এদিকে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় দলের ফুটবলাররা ভিতরে ভিতরে নাকি ভীষণ ক্ষুব্ধ। বাফুফেকে তারা মুখ খুলে কিছু না বললেও জানা গেছে ক'জন ফুটবলার এতটা ক্ষুব্ধ যে তিন বিদেশি নাগরিকত্ব পেলেই জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিতে পারেন।