ঘটনাটা বুধবার পড়ন্ত বিকালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশে আসার পর প্রথম অনুশীলনে নামে প্রোটিয়ারা। অনুশীলনের ছবি নেওয়ার পর স্থানীয় ফটো সাংবাদিকরা মাঠ থেকে বের হয়েছেন। ক্রীড়া সাংবাদিকরাও ছিলেন না। ঠিক এমন সময় হঠাৎ ক্যামেরা-ড্রোন উড়তে থাকে মিরপুরের আকাশে। এএফপির ক্যামেরাম্যান তা ফ্রেমে বন্দি করে ফেলেন সঙ্গে সঙ্গে। তবে বিসিবির কর্মকর্তারা নিষেধ করায় সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা-ড্রোন নামানো হয়।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান সংস্থা গত ডিসেম্বর থেকে দেশের আকাশ-সীমায় সব ধরনের ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে অবগত ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। সে কারণেই ক্যামেরা-ড্রোন ব্যবহার করার জন্য নিরাপত্তবাহিনীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট দলের ম্যানেজার মোহাম্মদ মুসাজি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, 'আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ব্যবহারের জন্য বৈচিত্র্যময় ছবি নেওয়ার উদ্দেশ্যেই টেলিভিশন ক্রু-রা এই ক্যামেরা-ড্রোন ব্যবহার করেছে। আমরা জানতাম না, বাংলাদেশের আকাশসীমা সংক্রান্ত কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে। এজন্য আমরা বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ক্ষমা চেয়েছি।
'
ক্রিকেটে এর আগে কখনোই ক্যামেরা-ড্রোন ব্যবহার করা হয়নি। আফ্রিকানরা সময় সবই ক্রিকেটে প্রযুক্তি ব্যবহারের দিক দিয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে। প্রোটিয়াদের কোচের সঙ্গে অধিনায়কের কথা বলার জন্য এয়ারপিছ রয়েছে। তাছাড়া কোচের হাতে ল্যাপটপ তো থাকেই। তাই নতুন প্রযুক্তি হিসেবেই তারা ব্যবহার করেছিল ক্যামেরা-ড্রোন।