বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব কেনার জন্য কাগজপত্র গুছিয়েও নিয়েছিল। অথচ শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায়। দেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটিই নয়, একটি ব্যাংকও সরে দাঁড়ায় শেষ মুহূর্তে। অথচ দুটি প্রতিষ্ঠানের নামেই ক্লাব ক্রিকেটে দুটি দল আছে। দল দুটি আবার শীর্ষস্থানীয় পর্যায়েই ক্রিকেট খেলে। প্রতিষ্ঠান দুটি শেষ পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব কিনতে অনাগ্রহী হলেও আবেদনকারীর সংখ্যা কিন্তু কম নয়। ১৩টি দল বিপিএলের তৃতীয় আসরের সাত বিভাগের ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে কাগজপত্র জমা দিয়েছে গতকাল। বিপিএলের প্রথম আসরে দল ছিল ৬টি। শুধু রংপুর বিভাগ বাইরে ছিল। দ্বিতীয় আসরে সংযোজিত হয় রংপুর। সাত বিভাগ নিয়ে মাঠে গড়ায় বিপিএলের দ্বিতীয় আসর এবং ভালোভাবেই শেষ হয়। শেষ হওয়ার পর থেকেই আসর নিয়ে গ্যাড়াকলে পড়ে যায় ক্রিকেট বোর্ড। নিয়মনীতি অনুসরণ না করে নিজেদের মতো চলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বিসিবির বেঁধে দেওয়া মূল্য অনুসরণ না করে চড়া দামে কিনে নেয় দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের। এরপর অর্থ পরিশোধ করার সময় শুরু করে দেয় গড়িমসি। বিদেশি ক্রিকেটারদের অর্থ না পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হয় বিদেশি মিডিয়ায়। এতে করে দেশের মানসন্মান ধুলোয় মিশে যায়। এর পরপরই নড়েচড়ে বসে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে তাড়া দেয়। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো শুধু ক্রিকেটারদের অর্থই অপরিশোধ রাখেনি, পরিশোধ করেনি ক্রিকেট বোর্ডের পাওনা। তবে সব থেকে আলোচিত বিষয় ছিল ম্যাচ পাতানো। ম্যাচ পাতিয়ে নিষিদ্ধও হন মোহাম্মদ আশরাফুল। এতসব অনিয়মের জন্যই গত দুই বছর বিপিএল হয়নি। দুই বছর বিপিএল না হলেও বসে ছিল না বিসিবি। নতুন করে মাঠে নামানোর জন্য চকআউট করে ক্রিকেট বোর্ড।