২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৮:২২

শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক

শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় বাংলাদেশের


প্রথম দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্ব থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়া মামুনুলরা ভুটানের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় পেয়েছেন। ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে জেতা এই ম্যাচে জোড়া গোল পেয়েছেন শাখাওয়াত হোসেন রনি এবং বাকি গোলটি তপু বর্মনের।

সোমবার ভারতের ত্রিভান্দ্রাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার। কারণ এর আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের মতো বড় ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় ভুটান। তবে ম্যাচটি অনুষ্ঠানিকতার হলেও ম্যাচে বেশ উত্তাপ দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল। শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে ভুটানের রক্ষণভাগকে। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের সান্ত্বনার জয় পায় মারুফুল হকের শিষ্যরা।

এ জয়ের ফলে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে জয় খরা কাটালো বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টে আগের নয় ম্যাচে জয়ের দেখা না পাওয়া বাংলাদেশ ১০তম ম্যাচে এসে জয়ের স্বাদ পেল। মামুনুলদের সর্বশেষ জয়টি ছিল ২০০৯ সালের আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে পাওয়া।

এদিন, সান্ত্বনার জয়ের জন্য মরিয়া বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ম্যাচের মাত্র সপ্তম মিনিটে। অধিনায়ক মামুনুলের কর্নারে দূরের পোস্ট থেকে হেমন্ত ভিনসেন্টের করা হেডে ফের মাথা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তপু বর্মন। এরপর ম্যাচের ২৩তম মিনিটে বক্সের মধ্যে হেমন্তকে ফাউল করেন ভুটানের ডিফেন্ডার জিগমে টিশেরিং দর্জি। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রেফারিকে ধাক্কা দিয়ে লালকার্ড দেখেন দলটির দলটির ডিফেন্ডার চিমি দর্জি। গোলরক্ষককে প্রতিরোধের কোনো সুযোগ না দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শাখাওয়াত হোসেন রনি। প্রথমার্ধে ওই ২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ১০ জনের ভুটান বাংলাদেশের রক্ষণে ভালো চাপ তৈরি করে। কিন্তু গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহলের দক্ষতায় তা আর পেরে উঠেনি টিশেরিং দর্জিরা। উল্টো ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে ইয়াসিনের খানের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোড়া গোল করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন রনি। এর তিন মিনিট পর হ্যাট্রিকের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন রনি। বাম দিক দিয়ে ওয়ালি ফয়সালের ক্রস থেকে নেওয়া জোরালো হেড পোস্টের বাইরে চলে গেলে হ্যাট্রিক বঞ্চিত হন রনি। ম্যাচের বাকি সময়ে জীবন, রনি ও সোহেল রানা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বাড়তো। কিন্তু তা না হওয়ায় ওই ৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মামুনুলরা।

বিডি-প্রতিদিন/২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর