ইডেনে গত শনিবার বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে আচমকা ফ্লাডলাইট নিভে যাওয়ার ঘটনায় এবার ঢুকে পড়ল আইসিসি। সিএবি'র কাছে জানতে চেয়েছে, বিশ্বকাপ ম্যাচে এমন অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটল কেন?
সেদিন প্রায় দশ মিনিট বন্ধ থাকার পর তা আবার চালু হয়। যা নিয়ে তীব্র বিতর্কও বেঁধে যায় সিএবিকে। সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সিস্টেমে কোনো খুঁত পাওয়া যায়নি। একজন সুইচ অফ করে দিয়েছিল। তার ফুটেজ আছে সিএবির কাছে। যা দেখে তখন কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে দেন, সৌরভ কি তা হলে সংস্থায় অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত ছেড়ে গেলেন? চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আবার নতুন নাটক শুরু হয়। সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে জানিয়ে দেন, তিনি এর পুলিশি তদন্ত চান। পুলিশ কমিশনারের থেকে সময় চেয়েছেন।
সোমবার অবশ্য এর সমাপ্তি ঘটে। সিএবি কর্তারা বোঝানোয় কোষাধ্যক্ষ আর কমিশনারের কাছে যাননি। বরং সিএবি'তে শীর্ষকর্তাদের বৈঠক ডাকা হয়। যেখানে সিএবি প্রেসিডেন্ট-কোষাধ্যক্ষ তো বটেই, দুই যুগ্ম সচিব অভিষেক ডালমিয়া এবং সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ও ছিলেন। সেখানে সর্বসম্মতভাবে ঠিক হয়, সবচে' গুরুত্বপূর্ণ সুষ্ঠুভাবে বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজন করা। শনিবারের ঘটনা একটা স্রেফ ভুল। এবার সেটা ইচ্ছাকৃত না অনভিপ্রেত, তা বার করার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল আয়োজন। কারণ আইসিসি জানতে চেয়েছে, ইডেনে কেন এমন হল? ফাইনালে এমন ঘটনা যে আর ঘটবে না, তার নিশ্চয়তাও চেয়েছে।
আপাতত যা ঠিক হয়েছে, তাতে ফাইনালে আলোর ব্যাপারস্যাপারে দায়িত্বে থাকছেন বোর্ডের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট চিত্রক মিত্র। এদিকে, ফাইনালের পিচ সরেজমিন দেখতে মঙ্গলবার সকালে ইডেন আসছেন আইসিসি'র পিচ বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা