আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অাইসিসি ষষ্ঠ টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত ও 'ক্যারিবীয় দানব'খ্যাত ক্রিস গেইলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মূলত ক্যারিবীয় দানবের 'দানবীয়' সেঞ্চুরির উপর ভর করেই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত যাত্রা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর তারা গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা ও শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে আধিপত্যের সঙ্গে হারায়। তবে সুপার টেন গ্রুপ ১-এ নিজেদের শেষ ম্যাচে 'অান্ডারডগ' আফগানিস্তানের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে বসে গেইলরা। যদিও এ ম্যাচের আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ক্যারিবীয়রা। ফলে আফগানদের কাছে হারে তাদের সেমিতে উঠার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়েনি। ক্যারিবীয়রা কীভাবে টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের আধিপত্য দেখিয়েই সেমিতে উঠে আসলো তা নিচে তুলে ধরা হলো :
প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছয় উইকেটের জয় : মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সুপার টেন পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারায় তারা। টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে ক্রিস গেইলের দ্রুততম সেঞ্চুরির [৪৭ বল] উপর ভর করে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য নির্ধারিত ১৮৩ রান তুলে নেয় গেইলরা। গেইলের অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার ও ১১টি ছক্কার মার। এর আগে ইংল্যান্ড ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলেছিল।
দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় : ২০ মার্চ বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লঙ্কানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পায় ক্যারিবীয়রা। এ ম্যাচে অসুস্থতার কারণে গেইল না খেললেও তার ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। ফ্লেচারের ৬৪ বলে ৮৪ রানের উপর ভর করে ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য নির্ধারিত ১২৩ রান তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান সংগ্রহ করেছিল লঙ্কানরা।
লো স্কোরিং ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় : ২৫ মার্চ নাগপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত থেকেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ক্যারিবীয়রা। মারলন স্যামুয়েলস ক্যারিবীয়দের হয়ে ৪৪ বলে ৪৩ রান করেছিলেন। লো স্কোরিং এ ম্যাচে প্রোটিয়ারা ৮ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান তুলতে সক্ষম হয়। প্রোটিয়াদের শীর্ষ সারির সব ব্যাটসম্যানই এ দিন রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছিল। শুধু কুইন্টন ডে কক ৪৬ বলে ৪৭ রান করেছিল। তার এ রানের উপর ভর করেই কিছুটা মান রক্ষা হয়েছিল প্রোটিয়াদের।
শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারের নাটকীয়তা : ২৭ মার্চ নাগপুরে অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচে আন্ডারডগ আফগানিস্তানের কাছে ৬ রানে হেরে যায় গেইলরা। নাজিবুল্লাহ জাদরানের ৪৮ রানের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান তুলেছিল আফগানরা। এ রান তাড়া করতে গিয়েই নাটকীয় ও অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যায় ক্যারিবীয়রা। অাফগানদের স্পিন আক্রমণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। ফলে অাফগানরা টি-২০ বিশ্বকাপে অঘটনের জন্ম দিয়ে নিজেদের একমাত্র জয়টি তুলে নেয়।
এদিকে, শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারলেও সুপার টেন গ্রুপ ১'র শীর্ষ দল হিসেবেই সেমিফাইনালে উঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও একই গ্রুপ থেকে সেমিতে উঠা আরেক দল ইংল্যান্ডের পয়েন্টও তাদের সমান। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকে গেইলরা। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে ও ইএসপিএনক্রিকোইনফোর
বিডি-প্রতিদিন/৩১ মার্চ ২০১৬/শরীফ