প্রথম দুই ম্যাচে দলের নামের পাশে কোনো গোলের দেখা নেই। যা নিয়ে ঘরের দর্শকরাই হয়ে উঠলো প্রতিপক্ষ। চারদিক থেকে সমালোচনা শুরু হয়ে গেল। পরের ম্যাচে দল ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেলেও গোলমুখ খোলা হয়নি বার্সেলোনা তারকার। তবে কিছুটা স্বস্তি অবশ্য পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক। তবে সমালোচকদের ঘায়েল করার জন্য এমন একটি ম্যাচ বেছে নিলেন নেইমার, যা এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো। কারণ, ম্যাচের ১২তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ব্রাজিলের সেমিফাইনাল উঠা নিশ্চিত করেন নেইমার। ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রি কিকটা এতটাই নিখুঁত ছিল যে কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি।
অথচ কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আগের দুটি ম্যাচ ব্রাজিল অধিনায়কের জন্য মোটেই সুখকর ছিল না। ২০১৫ সালের কোপা আমেরিকার গ্রুপপর্বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচ শেষে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করে নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল নেইমারকে। দলও বিদায় নিয়েছিল আগেভাগেই। জেতা হয়নি কোপার শিরোপা।
এর আগে, ২০১৪ সালে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। তবে, সে ম্যাচে প্রতিপক্ষের আঘাতে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছিল নেইমারকে। পরে জার্মানির বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে নেইমারবিহীন ব্রাজিল হেরেছিল ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। ঘরের মাঠে বিশ্বমঞ্চ থেকে বিদায়ের শোক কিছুটা হলেও এই ম্যাচ জিতে পুষিয়ে দিয়েছে ব্রাজিল।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব