উসাইন বোল্ট। তার মায়ের কথায়, জীবনে দেরি করেছেন মাত্র একবার। যে সময়ে জন্ম নেয়ার কথা ছিল অ্যাথলেটিকস এই কিংবদন্তি তার ১০ দিন পর ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন।
তার মা জেনিফার বলছেন, উসেইনের বয়স যখন তিন সপ্তাহ তখন থেকেই তিনি টের পেতে শুরু করেছিলেন যে বড় কিছু একটা করার জন্যই তার ছেলের জন্ম হয়েছে।
বাবা ওয়েলেস্লি বোল্ট জানাচ্ছেন, উসাইন হারতে চাইতেন না। ছেলেবেলায় তিনি যখন জ্যামাইকার ট্রলনিতে পাড়ার মাঠে দৌঁড়াতেন তখন অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে গেলে তিনি কান্নাকাটি করতেন।
বাবা ওয়েলেস্লি ও মা জেনিফার বোল্ট।
জেনিফার বলেন, পাঁচ বছর বয়স থেকে বোল্ট স্কুলের বন্ধুদের সাথে রেস করতেন এবং প্রতিবারই জিততেন।
ভাই সাদিকি এবং বোন শেরিন বলছেন, ছোটবেলা থেকেই বোল্ট ছিলেন খুবই হাসিখুশি এক ছেলে। তবে উইলিয়াম নিব হাইস্কুলে পড়ার সময় বোল্টের আকর্ষণ ছিল ক্রিকেটের প্রতি। সে সময় তিনি ক্রিকেট ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারতেন না।
তবে স্কুলের পিটি শিক্ষক লর্না থর্পই প্রথম বোল্টকে অ্যাথলেটিকসে আসার জন্য উপদেশ দেন। মিসেস থর্প বলেন, ''আমি তাকে বলেছিলাম, ভাল করে ট্রেনিং শুরু করো। তোমার লম্বা পায়ের ভেতর সোনার খনি লুকনো আছে।''
বোল্টের জীবনের ওপর এই শিক্ষকের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। বোল্ট সেটি অস্বীকারও করেন না। এ প্রসঙ্গে উসাইন বোল্ট বলেন, ''তিনি ছিলেন মায়ের মতো। স্কুলে পড়ার সময় তিনি সব সময় আমার খোঁজ-খবর রাখতেন। স্কুলের ভেতরে কি স্কুলের বাইরে। সব সময় চাইতেন আমি যেন আমার মনোযোগ ধরে রাখি। ফলে আমার জীবনে তার বড় ভূমিকা রয়েছে।``
উসেইন বোল্টের জীবনে প্রথমবারের মতো খ্যাতি আসে যখন তার বয়স মাত্র ১৫। ২০০২ সালে জ্যামাইকাতে বিশ্ব জুনিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপে এই কিশোর স্বর্ণপদক জয় করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সে সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা সবাই ছিল তার চেয়ে অন্তত চার বছর বড়। সেই ইভেন্টের পর থেকে বোল্টকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/১৭ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব