কলম্বো সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের নিয়ন্ত্রণ এখন সফরকারী বাংলাদেশের হাতে। টাইগারদের বিপক্ষে সর্বস্ব দিয়ে লড়ছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের চেয়ে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকেই লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপে একের পর এক হানা দেয় টাইগার একাদশ। মিরাজ শুরু করলেও মুস্তাফিজ-সাকিব এখন শেষের অপেক্ষায়। সবশেষ ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় যোদ্ধাকেও বিদায় জানালেন সাকিব।
ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার আসা-যাওয়ার লড়াইয়ে একপ্রান্ত একাই আগলে রেখেছিলেন দিমুথ করুনারত্নে। এরই মাঝে তুলেনিয়েছেন সেঞ্চুরি। অবশেষে সেই সেঞ্চুরিয়ানকে ১২৬ রানে বিদায় জানালেন সাকিব। এ রিপোর্ট লেখা অবধি ৮৫ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। আর লঙ্কানদের লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ রান।
চতুর্থ দিনের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার উপল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে প্যাভিলিওনে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৬ রান করেন থারাঙ্গা। দিনের প্রথম সেশন শেষে ৪৩ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
বিরতির পর ফিরে মুস্তাফিজের শিকারে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় কাটার মাস্টারের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন মেন্ডিস। ৯১ বলে মেন্ডিসের সাজানো ইনিংসের শেষ হয় দলীয় ১৪৩ রানের মাথায়। মেন্ডিস-করুনারত্নে জুটিতে আরও ৮৬ রান যোগ করে লঙ্কানরা। এর পর লঙ্কান শিবিরে আবারো আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। মুশফিকের হাতে জমা পড়ে চান্দিমালের উইকেট। ফেরার আগে চান্দিমাল করেন মাত্র ৫ রান। দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় উইকেট শিকারে যোগ দেন সাকিব। ফিরিয়ে দেন গুনারত্নেকে। মাত্র ৭ রান করে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। চতুর্থ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এরপর আবারো আক্রমণে এসে নিজের তৃতীয় ও দলের হয়ে পঞ্চম উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করে ফিরিয়ে দেন ডি সিলভাকে (০)। দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় টপঅর্ডারের পাঁচ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর সাকিব আবারো লঙ্কা শিবিরে আঘাত হানেন। ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটিয়ে সাকিব ফেরান নিরোশান দিকওয়েলাকে। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ৫ রান। দলীয় ১৯০ রানের মাথায় ছয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন।
এর আগে তৃতীয় দিন শেষে লঙ্কানরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার ব্যাটিং করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করেছিল। সমান ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও উপল থারাঙ্গা। তবে ৭৫ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।