আবারও কলঙ্কের পাশে পাক ক্রিকেটারের নাম! তবে এবার বাইশ গজের ক্রিজে নয়, চার দেয়ালের মধ্যে। স্ত্রীকে ব্যাট দিয়ে মারধর করা এবং ব্লিচ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছিল মুসতাফা বাসিরের বিরুদ্ধে। তারই শাস্তি হিসেবে শুক্রবার বাসিরকে ১৮ মাসের কারাদণ্ডে পাঠালো লন্ডনের এক আদালত।
জানা যায়, ২০১৩ সালে ৩৩ বছরের পাক কন্যা ফাখারা করিমকে বিয়ে করেছিলেন মুসতাফা। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট দলে খেলার সুবাদে লন্ডনেই থাকেন তাঁরা। অভিযোগ ওঠে, সেখানেই দিনের পর দিন করিমের উপর অত্যাচার করতেন তিনি। স্ত্রীকে আধুনিক সাজ-পোশাক পরতে বাধ্য করতেন। আর স্বামীর কথার অমান্য করলেই বেধড়ক মার খেতে হত। সেই অপরাধেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল মুসতাফাকে। কিন্তু প্রথমে আদালত তাঁকে ১৮ মাসের সাজা শোনালেও জেল হেফাজতে যেতে হয়নি। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়!
এ ব্যাপারে ম্যাঞ্চেস্টার ক্রাউন আদালতের বিচারক রিচার্ড ম্যানসেল জানান, মুসতাফার আইনজীবী মিথ্যে বলে ভুল বুঝিয়েছিলেন তাঁকে। বিচারককে বলা হয়েছিল, লেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে সদ্য চুক্তি হয়েছে ওই পাক ক্রিকেটারের। তখন মুসতাফার কেরিয়ারের কথা ভেবেই তাঁকে জেলে পাঠাননি বিচারক। তবে পরে তিনি জানতে পারেন, ওই ক্লাব তাঁর সঙ্গে এমন কোনও চুক্তি করেনি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুসতাফা।
এদিকে ওল্ডহাম, বোল্টনের মতো ক্লাবগুলির হয়ে খেলেছেন মুসতাফা। তবে লেস্টারশায়ার ক্লাবের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে ক্রিকেটাররা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, তাঁদের সঙ্গে কোনও চুক্তি করা হয় না। ১৮ মাসের জেল হেফাজতের পাশাপাশি মুসতাফাকে দুবছরের জন্য সাসপেন্ড ও ১০০০ পাউন্ড জরিমানাও করা হয়েছে।