আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে হেরে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সদস্য দেশগুলির মধ্যে আর্থিক পুনর্বিন্যাস হবে আর আইসিসি আগামী দিনে কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে সর্বসাকুল্যে তিনটি ভোট পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে। খবর বিবিসির।
আর্থিক পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে ভারতের দেওয়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ১টি। বিপক্ষে পড়েছে ১২টি। নতুন পরিচালনা নীতির ভারতের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ২টি। বিপক্ষে ৮টি।
আইসিসি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, পরবর্তী আট বছরে বিসিসিআই মোট ২৯৩ মিলিয়ন ডলার পাবে, ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড পাবে ১৪৩ মিলিয়ন আর জিম্বাবুয়ে পাবে ৯৪ মিলিয়ন। বাকি সাতটি পূর্ণ সদস্য দেশ প্রত্যেকটি ১৩২ মিলিয়ন করে পাবে। সহযোগী সদস্য দেশগুলি ২৮০ মিলিয়ন আর্থিক সহায়তা পাবে।
ভারত গত বছর পর্যন্ত ৫৭০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল আইসিসি-র কাছ থেকে। এর ফলে যে 'তিন বড় দাদা' বলে পরিচিত দেশের অন্যতম হিসাবে ভারত বিশেষ সুবিধা পেত, সেটা খোয়ালো ভারত।
আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর রফা সূত্র হিসাবে ভারতকে আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু বিসিসি আই সেই রফাসূত্র প্রত্যাখ্যান করেছে।
আইসিসির সংবিধানে যে সব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেটা পাশ হয়েছে ১২-২ ভোটে। প্রস্তাবিত নতুন সংবিধান আইসিসির কাউন্সিলের সামনে জুন মাসে পেশ করা হবে।
প্রস্তাবিত নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন থেকে দুই ধরণের সদস্য দেশ থাকবে আই সি সিতে : পূর্ণ সদস্য আর সহযোগী সদস্য। কী ধরনের সদস্য, সেটার বিচার না করে প্রতিটি দেশই সমান ভোটাধিকার পাবে।
আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলছেন, এই নতুন প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে বিশ্ব ক্রিকেট আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। একদিকে যেমন ক্রিকেটের ভিত্তি আরও মজবুত করা যাবে, অন্যদিকে ভবিষ্যতে খেলার বিশ্বব্যাপী প্রসারও ঘটবে।
তবে বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে হেরে গিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সরে আসবে কী না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ২৫ এপ্রিল সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করেনি।
বিডি প্রতিদিন/২৭ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা