তার জীবনটাই যেন উপন্যাস। আর সেই উপন্যাসের একের পর এক পাতা ওল্টালে বিস্ময়ের খনিটাই যেন নতুন করে ধরা দেয়। সেই অজানা খনির রহস্য অনেকটাই নাকি ভেদ হবে ‘শচীন: আ বিলিয়ান ড্রিমস’–ছবিতে।
শচীন টেন্ডুলকারের জীবন নিয়ে ছবি, সে ছবিতে সুদীর্ঘ ক্রিকেট জীবনের নানা অধ্যায় যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে তার ব্যক্তিগত জীবনের অজানা ঘটনা। ছেলে, ভাই, স্বামী, বাবা— প্রত্যেক ভূমিকায় শচীন ঠিক কতখানি যত্নবান, তুলে ধরা হবে সে সব কিছু। কিন্তু মাস্টার ব্লাস্টারের জীবন তুলে ধরা তো যে সে ব্যাপার নয়। আসমুদ্র হিমাচলের আবেগের নাম যিনি, তাঁর জীবনের কোনও অধ্যায় তুলে ধরতে গিয়ে ভুলভ্রান্তি হলে, কোথাও কোন কমতি থেকে গেলে কেউই ছেড়ে কথা বলবেন না।
এর আগে আজহারের বায়োপিক বানাতে গিয়ে পরিচালক ক্রিকেট মাঠের আজাহারের বর্ণময় চরিত্রকে তুলে ধরতেই পারেননি। সমালোচনার ঝড় যখন বয়ে গিয়েছিল তখন। তিনি বলেছিলেন, এই সিনেমাটি ঠিক আজহারের জীবনী নয়।
কিন্তু শচীন তেন্ডুলকারের জীবনী তুলে ধরতে গিয়ে এমন ভুল হলে কেউ ক্ষমা করবেন না। তাই তো অনেক খেটে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। জানা গেছে, শচীনের জীবনকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য এক অর্থে গবেষণাই করা হয়েছে। ১০ হাজার ঘণ্টা ধরে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। শচীনের জীবনের নানা সময়ের সংরক্ষিত ফুটেজ।
বিশেষ করে তার খেলোয়াড় জীবনের ফুটেজ। পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। জীবনে সফল হতে গেলে পরিশ্রম করতেই হবে, বারবার বলেছেন শচীন। ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও, এই মন্ত্রে তিনি এখনও বিশ্বাসী। স্বাভাবিকভাবেই এই ছবির নির্মাতারাও শচীনের এই নির্দেশই অক্ষরে অক্ষরে মেনেছেন। ছবির প্রযোজক রবি বাগচন্দকা এবং শ্রীকান্ড ভাসি নিজেদের কাজে কতখানি সফল হলেন তার উত্তর মিলবে শিগগিরি। আগামী ২৬ মে মুক্তি পাচ্ছে শচীন: আ বিলিয়ান ড্রিমস।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১