বহুদিনের প্র্যাকটিস শেষে ১২ বছরের চ্যাম্পিয়ন কন্যা যোগ দিয়েছিল যুব দাবা টুর্নামেন্টে। তবে খেলায় অংশ নেওয়া তার হল না। এইটুকু মেয়ে যে নিয়মভঙ্গের জন্য বাদ পড়বে না এটা বলাই বাহুল্য। ছোট্ট মেয়েটিকে বাদ পড়তে হল 'সিডাক্টিভ' পোশাক পরার জন্য। ১২ বছরের মেয়ের সিডাক্টিভ পোশাকটির দোষ এটাই যে, সেটি মেয়েটির হাঁটু দুটি পুরোপুরি ঢাকতে পারেনি।
মালয়েশিয়ার এই কিশোরী দাবুড়ুর কোচ কৌশল খান্দকর জানিয়েছেন, তাঁকে ফোন করে এ কথা জানিয়েছে ন্যাশনাল স্কোলাস্টিক চেস চ্যাম্পিয়নশিপের কর্মকর্তা। যুব দাবার কোচ ফেসবুকে তাঁর শিষ্যর ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, 'এই বিবৃতি একেবারেই অবান্তর। আমি দু'দশক ধরে দাবা খেলছি। এমন কোনও ঘটনা এর আগে কখনও মালয়েশিয়ায় দেখেনি।' এই ঘটনায় তাঁর ছোট্ট শিষ্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি।
আয়োজকরা কিশোরী দাবাড়ুকে একটি স্ল্যাক্স কিনে পরের দিনে টুর্নামেন্টে যোগ দিতে বলেছিল। তবে, রাত ১০টার সময় তারা যখন এ কথা জানায়, তখন আর কোনও দোকান খোলা ছিল না। কাজেই পরের দিন স্ল্যাক্স কিনে সকাল ৯টায় রিপোর্টিং টাইমের মধ্যে টুর্নামেন্টে যোগ দিতে পারেনি মেয়েটি। বাধ্য হয়ে তাকে তার নাম তুলে নিতে হয়। এজন্য প্রকাশ্যে আয়োজকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করেছে মেয়েটির পরিবার।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া চেস ফেডারেশন। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্র: এই সময়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার