দেশের ঘরোয়া এক ক্রিকেট ম্যাচে ৪ বলে ৯২ রান দেওয়ার ঘটনায় লালমাটিয়া ক্লাব ও ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাবকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই ক্লাবের দুই বোলার সুজন মাহমুদ ও তাসনিককে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই না। ওই ম্যাচের আম্পায়ারদের ৬ মাস এবং দুই দলের অধিনায়ক ও কোচকে ৫ বছরের জন্য ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান ও তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য শেখ সোহেল এসব তথ্যা জানান।
গত ১১ এপ্রিলের ঘটনা। ওই দিন ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের এক ম্যাচে এক ওভারের প্রথম চার বলে ৯২ রান হওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর তা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মিডিয়াতেও তোলপাড় তোলে। ওই দিন লালমাটিয়া ক্লাবের বোলার সুজন মাহমুদ প্রতিপক্ষ এক্সিওম ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে বল করতে গিয়ে নো-বল এবং ওয়াইড বলের বন্যা বাধিয়ে দেন। চার বলে ওয়াইড করেন ৬৫ বার। রান গিয়ে দাঁড়ায় ৯২। এই কেলেঙ্কারি সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্থানীয় কয়েকটি মিডিয়াতে আসলে তা নিয়ে বিস্ময় এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। লালমাটিয়া ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে বোলার এই কাণ্ড করেছেন।
ওই ঘটনার পর জানা যায় আগের দিনও এক ম্যাচে একই কেলেঙ্কারি হয়েছে। ফিয়ার ফাইটার্স নামের এক ক্লাবের বোলার তাসনিম আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে এক ওভার এক বলে ওয়াইড আর নো বল করে ৬৯ রান দেন।
এরপর নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুই ক্লাব এবং অভিযুক্ত দুই বোলার, কোচ, অধিনায়ক এবং দুই আম্পায়ারের বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয়।
বোলার সুজন মাহমুদ এবং তাসনিমকে ক্রিকেট থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লালমাটিয়া ক্লাব এবং ফিয়ার ফাইটার্সকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই দুই ক্লাবের ম্যানেজার, কোচ এবং অধিনায়ক নিষিদ্ধ হয়েছেন পাঁচ বছরের জন্য। আর বিতর্কিত ওই দুই ম্যাচের আম্পায়াররা নিষিদ্ধ হয়েছেন ৬ মাসের জন্য।
বিডি-প্রতিদিন/০২ মে, ২০১৭/মাহবুব