ছেলেবেলায় ক্রিকেটের বিস্ময় বালক শচীন টেন্ডুলকার দেখেছিলেন গুরু রমাকান্ত আচরেকরের অনুশাসন এবং শৃঙ্খলা। সে দিনের সেই বিস্ময় বালক এখন ৪৪ বছরের পিতা। আর ক্রিকেট গ্রহে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছে তার ১৭ বছরের পুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার। কিন্তু একই রকম দীক্ষায় ছেলে অর্জুনকে বড় করতে চাইছেন সচিন তেন্ডুলকর।
দু’দিন আগেই ইংল্যান্ডের নেটে বল করতে গিয়েছিল অর্জুন। বাঁ-হাতি মিডিয়াম পেসারের প্রথম বলেই ঘায়েল হন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো। সেই খবর ফলাও করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় মোটেও প্রসন্ন নন সচিন। ঘনিষ্ঠ মহলে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘কিছু না করেই হেডলাইন কেন?’’
তার ছেলে বলে সহজে প্রচার অএয়ে যাক অর্জুন সেটা কখনও চাননি শচীন। কয়েক বার তার কাছে ছেলেকে নিয়ে প্রশ্ন করে একই জবাব পাওয়া গিয়েছে, ‘‘আগে ওকে খেলতে দিন। অর্জুন এখন ক্রিকেটকে উপভোগ করছে, সেটাই করুক।’’
ইয়র্কার কাণ্ড সারা বিশ্বের সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরে আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট মহলে কারও কারও মনে হচ্ছে, ছেলেবেলায় বাবার শেখা মূল্যবোধ আর অনুশাসন ক্রিকেটার অর্জুনের সেরা দিক্ষা হতে যাচ্ছে। যদিও দু’জনের ক্রিকেট পৃথিবী সম্পূর্ণ আলাদা। বাবা দুনিয়া শাসন করেছেন ব্যাট হাতে। ছেলে কিন্তু হতে চায় প্রকৃত অলরাউন্ডার। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান, বাঁ-হাতি পেস বোলার।
গত এক বছর ধরে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে অর্জুনের ক্রিকেটিও দক্ষতার ওপর। ট্রেইনার রাখা হয়েছে। ব্যাটিং এবং বোলিং দেখার জন্য আলাদা বিশেষজ্ঞও আছে। গত দু’তিন বছর ধরে ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটেও পুত্রকে খেলাতে নিয়ে যান শচীন। বাবার ক্রিকেটীয় আঁতুর ঘর ছিল শিবাজি পার্ক। ছেলের লর্ডস। এমসিসি ক্লাবের হয়ে ইংল্যান্ডের লিগে খেলে অর্জুন। সেই কারণেই লর্ডসে আন্তর্জাতিক দলের প্র্যাকটিসে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় অর্জুনকে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৯ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৫