জাতীয় দলের পেসার মোহাম্মদ শহীদের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ জানালেন ফারজানা আক্তার। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দুই সন্তান আরাফ (৩) ও আরহীকে (১১ মাস)। যদিও শহীদের বুরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় রবিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-এর কাছে এ ব্যাপারে ফের অভিযোগ জানালেন তিনি।
এদিন ফারজানা তার ওপর নির্যাতনের কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাদের বিয়ের পর থেকে গত দুই বছর ধরে শহীদ বিবাহ বহির্ভূত বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে কথা বললে তার ওপর নানানভাবে উপর নির্যাতন চালায় শহীদ।
তিনি আরও বলেন, গত দুই বছর ধরে এক সঙ্গে বসবাসও করছে না তারা দু`জন। শহীদের পরিবারও তাকে নানাভাবে অসহযোগিতা করছে। এমনকি বিসিবিতে আসার পরও শহীদ ফোন দিয়ে ফারজানা তার স্ত্রীকে বোর্ডে যেতে নিষেধ করেন এবং বোর্ডে গেলে সংসার না করার হুমকিও দেন।
উল্লেখ্য ২০১১ সালের ২৪ জুন ফারজানা-শহীদ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকে ফারজানা তার শ্বশুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের তল্লাতে বসবাস করছিলেন। গত ২৩ জুন ফারজানাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেড় করে দেয়ার অভিযোগ করা হয়।
ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে পরিচিত শহীদ বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে পাঁচটি টেস্ট ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। টেস্টে পাঁচটি ও টি-টোয়েন্টিতে একটি উইকেট পান তিনি। সর্বশেষ গত নভেম্বরে বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলার সময় ইনজুরিতে পড়ায় এরপর আর তার মাঠে ফেরা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ ৯ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৬