একজনের অভিষেক ম্যাচ। অপরজন নেমেছিলেন ক্যারিয়ারের পাঁচ নম্বর ম্যাচ খেলতে। জেসন বেহেরেনডর্ফ ও জে রিচার্ডসন। দুই তরুণের বোলিং তোপে নাভিশ্বাস উঠে গেল ভারতীয়দের। শিখর ধাওয়ানকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন বেহেরেনডর্ফ। আর জে রিচার্ডসন পর পর তুলে নিলেন বিরাট কোহলি ও অম্বাতি রাইডুকে। ২৮৯ রান তাড়া করতে নেমে চার রানের ভিতরেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলায় ভারতের জেতার কাজটা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।
সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন রোহিত শর্মা। একাই ১২৯ বলে ১৩৩ রানের ইনিংস খেলে। কিন্তু উল্টোদিক থেকে সেভাবে সাহায্য পাননি তিনি। ধোনি ৯৬ বল খেলে ৫১ করলেন। কিন্তু তা দলের কাজে লাগল না। ভারতকে ৫০ ওভার শেষে থেমে যেতে হল ২৫৪/৯ রানে। সিডনিতে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ ফিঞ্চরা জিতলেন ৩৪ রানে। সিরিজে এখন অস্ট্রেলিয়া ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু অধিনায়ক রান পেলেন না। টেস্ট সিরিজে টানা ব্যর্থতার পর সিডনিতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ফিঞ্চ ৬ রান করে বোল্ড হলেন ভুবির বলে। দলকে টেনে তোলার কাজটা প্রথম করলেন উসমান খাওয়াজা (৫৯) ও শন মার্শ (৫৪)। দু’জনে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৯২। এরপর বাকি কাজটা সারেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও মার্কাস স্টোইনিস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ করলেন হ্যান্ডসকম্ব। খেলেছেন ৬১ বল। স্টোইনিস ৪৩ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৯৩। যা ম্যাচে বিরাট পার্থক্য গড়ে দিল। অস্ট্রেলিয়া তুলে ফেলে ৫ উইকেটে ২৮৮।
রান তাড়া করতে গিয়ে প্রথম ওভারেই আউট ধাওয়ান। ক্যাপ্টেন কোহলি (৩) ও রাইডু (০) ব্যর্থ। একমাত্র খেললেন রোহিত। মেয়ে হওয়ার পর মাঠে নেমেই শতরান। কিন্তু দল জিততে না পারায় মন খারাপ তার। রোহিতের ইনিংস সাজানো ছিল ১০টি চার ও ৬টি ছয় দিয়ে। ধোনি রান পাচ্ছিলেন না দীর্ঘদিন। সিডনিতে অর্ধশতরান পেলেও সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পারলেন না। কারণ ৯৬ বল খেলেছেন তিনি। দীর্ঘ এক বছর পর একদিনের ক্রিকেটে অর্ধশতরান পেলেন ধোনি।
অভিষেক হওয়া বেহেরেনডর্ফ পেলেন দুটি উইকেট। রিচার্ডসন সবচেয়ে ভাল বোলিং করে গেলেন। তার বোলিং বিশ্লেষণ ১০-২-২৬-৪। একদিনের ক্রিকেটে যা ঈর্ষণীয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর