বাবা পারলেন না। কিন্তু ছেলে পারলেন। দু'জনই একই দলের জার্সিতে নেমেছিলেন। বাবা রোনালদো এদিন দলকে জেতাতে ব্যর্থ। কিন্তু জুনিয়র রোনালদো জুভেন্টাসের নাম উজ্জ্বল করে রাখল। সাদা-কালো জার্সিতে সে করল সাত গোল। বাবার মতোই সাত নম্বর জার্সিতে নেমেছিল জুনিয়র রোনালদো। আর সেই জার্সির মান রক্ষা করল দাপটের সঙ্গে।
আয়াক্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হেরেছে রোনালদোর জুভেন্টাস। যার ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছুটি হয়ে গেল ইতালিয়ান জায়ান্টদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তিনবার শিরোপা জয়ের রেকর্ড রয়েছে তার নামের পাশে। রোনালদোপ্রেমীরা একসময় দাবি করেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নাম বদলে সিআরসেভেন'র নামে করে দেওয়া হোক। ফলে অনেক আশা নিয়েই রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রোনালদোকে নিজেদের দলে নিয়েছিল জুভেন্টাস।
কিন্তু লাভ হল না। চোট কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আজাক্সের বিরুদ্ধে ফিরেছিলেন রোনালদো। গোলও করেছিলেন। দ্বিতীয় লিগেও গোল করলেন রোনালদো। কিন্তু জুভেন্টাস হারল ২-১ ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে ফল জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে ৩-২।
ব্যর্থতার দিনে রোনালদোর মুখে হয়তো হাসি ফুটিয়েছে ছেলের পারফরম্যান্স। জুভেন্টাসের অনূর্ধ-১০ দলে খেলে জুনিয়র রোনালদো। এদিন মাত্রিতিমোর বিরুদ্ধে প্রথম ৪৫ মিনিট খেলেছিল রোনালদো পুত্র। তাতেই সাত গোল করে গেল সে। দ্বিতীয়ার্ধে আর ব্যবধান বাড়েনি। কারণ রোনালদোর ছেলে দ্বিতীয়ার্ধে খেলেনি।
এদিন অবশ্য রোনালদোর ছেলের সাত গোলের থেকেও বেশি আলোচনা হল তাঁর খেলার ধরণ নিয়ে। একেবারে বাবার ফটোকপি যেন। গোলের পর সে বাবার মতোই সি-সেলিব্রেশনে মেতে ওঠে। বল নিয়ে দৌড়, শরীরী ভাষা, সবই যেন একেবারে রোনালদোর মতোই।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর
