ম্যাচটাই অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল বৃষ্টি কারণে। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ম্যাচ আলোর মুখ দেখলেও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য কাজটা কঠিন করে দিয়ে যায়। তবে সেই কঠিনকেও কত-না সহজে পরিণত করল যুবারা। জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে উড়িয়ে যুব বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করল আকবর আলী, তৌহিদ হৃদয়রা।
শনিবার পচেফস্ট্রুমে জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে বৃষ্টি আইনে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচ শুরু হয়েছিল কিছুটা দেরিতে। বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী টসে জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে বৃষ্টি বাগড়া দেয় একাধিকবার। ২৮.১ ওভারে দলটা ৬ উইকেটে ১৩৭ রান করার পর যে বৃষ্টি নামল, সেটা স্থায়ী হয় দীর্ঘক্ষণ। ফলে জিম্বাবুয়ের আর ব্যাট করা হয়নি।বৃষ্টি থামার পর ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে বাংলাদেশের জন্য যে লক্ষ্য নির্ধারণ হয় তা ছিল বেশ কঠিন। জয় পেতে ২২ ওভারে ১৩০ রান করতে হতো আকবর আলীদের।
ভেজা আউটফিল্ডে এই লক্ষ্য কঠিনই। কিন্তু পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ফিফটির সঙ্গে তানজিদ হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটিং ঝড়ে মাত্র ১০.৫ ওভারে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
বাঁহাতি ওপেনার ইমন ৩১ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৫৪ রান করেন। আরেক ওপেনার তানজিদ ১০ বলে ৩ টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩২ রান। তিনে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় ২৪ বলে ৩ চারে অপরাজিত ৩০ রান করেন।
তানজিদ-ইমনের আগ্রাসী ব্যাটে মাত্র ২ ওভারেই ৪১ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশের যুবারা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই তানজিদ ফেরেন। তবে তিন নম্বরে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ও শুরু করেন দাপুটে ব্যাটিং। তাতে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের যুবাদের বিশ্বকাপ যাত্রা।
এর আগে বাংলাদেশের যুবাদের সম্মিলিত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন তাদিওয়ানাসে মারুমানি। ২৮ রান আসে মিল্টন সুম্বার ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিদ হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, শামিম হাসান ও রাকিবুল হাসান।
ম্যাচসেরা হয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম