কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তবে ঘাম ব্যবহারে কোনও বিধি নিষেধ না করলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন সীমিত ওভারের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বোলার ঘাম ব্যবহার করবে না বলে জানিয়ে দিলেন মিচেল স্টার্ক।
বাঁ-হাতি অজি পেসার স্টার্ক জানান, ইংল্যান্ড সফরের সময় বলটি সাইন ধরে রাখতে তারা ঘাম ব্যবহার করবে না। এর জন্য দলের মধ্যেই গাইডলাইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
স্টার্ক বলেন, ইংল্যান্ডের আগের সিরিজে যে গাইডলাইন ছিল সেখান থেকে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আপনি মুখ, ঘাড় বা মাথা থেকে ঘাম ব্যবহার করতে পারবেন না। এর সঙ্গে অবশ্য আপনি অবশ্যই লালা ব্যবহার করতে পারবেন না।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সকল ক্রিকেট মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। তবে জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফের শুরু হয়েছে৷
ক্রিকেটের পুনঃস্থাপনের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) মাঠে ভাইরাসের বিস্তারটি পরীক্ষা করতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বড় এই পরিবর্তনটি ছিল, তা হল বলের উপর লালা প্রয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা।
ইংল্যান্ডে এখন পাকিস্তান সফর করছে। সদ্য শেষ হয়েছে তিন টেস্টের সিরিজ৷ এরপর শুরু হয়েছে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। তারপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ এবং ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। এই সিরিজে লালা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি শর্ত অনুসারে ঘাম ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
অজি পেসার স্টার্ক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব বল-রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতির বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। যা খেলোয়াড়দের খুব বেশি প্রভাবিত করবে না বলেও মনে করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা নতুন নিয়মের সঙ্গে ইতিমধ্যে পারদর্শী হওয়ায় প্রশিক্ষণ, ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ এবং ঘরোয়া স্তরের ক্রিকেটে একই রকম ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে লালা ও ঘাম উভয়ের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্টার্ক বলেন, সম্ভবত এটি সাদা-বলের ক্রিকেটে খুব বেশি প্রাসঙ্গিক নয়। নতুন বলটি শুরু হয়ে গেলে আপনি যেভাবেই তা শুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন, সেটি লাল বলের ক্রিকেটের জন্য আবার প্রশ্ন তুলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি আমরা ইংল্যান্ড (টেস্ট) সিরিজের সময় কিছুটা দেখেছি, জোফরা আর্চার তার পিঠের ঘাম ব্যবহার করেছে। বিশ্ব যদি এখনও সেই রকম থাকে, তাহলে এই বিধিনিষেধগুলি এখনও থাকবে।
পাঁচ মাস পর অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে। তবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছে খালি স্টেডিয়ামে মার্চ মাসে। ঘরের মাঠে প্রথম হোম ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ