লিওনেল মেসি বার্সেলোনার প্রাক মৌসুমের প্রথম অনুশীলনে যোগ না দেয়ায় কাতালান সমর্থকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বার্সেলোনা ভক্তরা মনে করছেন লিও পেশাদার আচরণ করছেন না, যদিও অনেকে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে । তবে কেউ কেউ ভাবছেন, প্রথম দিনের অনুশীলন বলেই হয়তো দেখা যায়নি বার্সেলোনার বড় কোন তারকাকেও।
জোয়ান গ্যাম্পার স্টেডিয়ামের বাইরে বেশ বড়সড় একটা জটলা ছিলো। বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সমর্থকরাও। অপেক্ষা বার্সেলোনার ফুটবলারদের জন্য। এখানেই যে শুরু হবে প্রাক মৌসুমের প্রথম অনুশীলন; রোনাল্ড কোম্যানের কাতালান যাত্রা। কিন্তু বিউগলের করুণ সুর থামিয়ে, ট্রামপেটের আনন্দ ধ্বনি বাজলোনা গ্যাম্পারের আঙিনায়। অপেক্ষার পালা শেষ করে, একে একে আসলেন জেরার্ড পিকে, জর্ডি আলবা, লুইস সুয়ারেজ, ওসমান ডেম্বেলেরা। আসলেন না শুধু অপেক্ষার মধ্য মণিতে থাকা লোকটা, লিওনেল মেসি।
সবগুলো গাড়ি ঢুকে যাওয়ার পর পর, ভেঙে গেলো চাঁদের হাট। এদিক ওদিক ছত্রখান হয়ে নিজেদের হতাশ মুখগুলো লুকাতে লাগলেন বার্সেলোনার জার্সি আর পতাকা গায়ে জড়িয়ে আসা কয়েকজন। হতভম্ব চোখগুলো তখনো খুঁজে যাচ্ছিলো ক্ষুদে জাদুকরকে।এক সমর্থক বলেন, একজন ফুটবল সমর্থক হিসেবে বলছি, আমি চাই মেসি থেকে যাক। এতোগুলো বছর সে আমাদের যে জাদুতে মুগ্ধ করে রেখেছিলো, তা এভাবে শেষ হতে পারে না। তার এবং ক্লাবের সিদ্ধান্তগুলোতে আমরা হতাশ।
আরেকজন বলেন, দেখো, সে আমাদের আইডল। তাকে ছাড়া কাতালান ফুটবল আমরা চিন্তা করতে পারি না। সে আমাদের ফুটবল ঈশ্বর। মেসি, প্লিজ আমাদের কথা ভেবে হলেও থেকে যাও। তবে, সবাই যে এক বাক্যে মেসিকে সমর্থন করছে তাও কিন্তু নয়। ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি থাকা স্বত্বেও, মেসির এহেন কার্যকলাপে অখুশি অনেক সমর্থকরা। তাদের মতে, এতোটা অপেশাদার আচরণ লিও'র কাছ থেকে তারা আশা করে না।
এদিকে, রবিবার থেকে শুরু হওয়া বার্সেলোনা ক্লাবের প্রাক মৌসুম কর্মসূচীতে যোগ দেননি ক্লাবের তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। এমনকি করোনাভাইরাস টেস্ট করাতেও যাননি তিনি। এর ফলে বেতন কাটা হচ্ছে তার ক্লাব থেকে। জানা যাচ্ছে, চূড়ান্ত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যতদিন না পর্যন্ত তিনি বার্সেলোনার কোনো অনুশীলনে যোগ না দেবেন ততদিন তার বেতন কাটা হতে থাকবে। মেসির প্রতিদিনের বেতন ১ লাখ ১০ হাজার ইউরো।
যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ১১ লাখ টাকার মতো। এত ক্ষতি স্বীকার করেও ক্লাবের কর্মসূচীতে মেসির যোগ না দেয়ার অর্থ দাঁড়ায় ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকছেন তিনি। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি সেখানে তার বার্সেলোনা ছাড়াটা কতটা সহজ হবে এটা একটা বড় প্রশ্ন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক