ফের আরও একবার হাইস্কোরিং ম্যাচের সাক্ষী থাকল ঐতিহাসিক শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তবে এবার রান তাড়া করতে নেমে দু’শো রান তুলতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের ৩৪ রানে হারিয়ে ফের পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে উঠে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
২০৯ রান তাড়া করতে নেমে সাত উইকেটে ১৭৪ রান থেমে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এর ফলে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে হেরে পয়েন্ট তালিকায় ছ’নম্বরে নেমে গেল ওয়ার্নার অ্যান্ড কোং। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি সানরাইজার্সের। ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো ওপেনিং জুটিতে ৪ ওভারে ৩৪ রান তোলে। বেয়ারস্টো ১৫ বল ২৫ রান করে আউট হওয়ার পর ইনিংসের হাল ধরেন ক্যাপ্টেন ওয়ার্নার।
ক্যাপ্টেনকে সঙ্গ দেন মনীশ পান্ডে। কিন্তু তিনিও ১৯ বলে ৩০ রান করে আউট হওয়ার পর লড়াই চালিয়ে যান ওয়ার্নার। কেন উইলিয়ামসন ও প্রিয়ম গর্গকে দ্রুত ডাগ-আউটে ফেরত পাঠিয়ে ওয়ার্নারের উপর আরও চাপ বাড়িয়ে দেন মুম্বাই বোলাররা। জেমস প্যাটিনসন ওয়ার্নারকে তুল নেয়ার পর ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় মুম্বাই। ৪৪ বলে ৬০ রান করে ডাগ-আউটে ফেরেন ওয়ার্নার। এরপর আর সানরাইজার্সকে ম্যাচ ফিরতে দেয়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বোলাররা। আবদুল সামাদ ৯ বলে ২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেও তা যথেষ্ট ছিল না।
আরসিবি'র কাছে সুপার ওভারে হারের পর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফের লিগ টেবলে এক নম্বরে উঠল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এদিন দারুণ বোলিং করেন রোহিতের দলের বোলাররা। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ট্রেন্ট বোল্ট। ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন প্যাটিনসন।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০৮ রান তুলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত ব্যর্থ হলও কুইন্টন ডি’ককের হাফ-সেঞ্চুরি এবং কাইরন পোলার্ড ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার ঝোড়ো ইনিংসের সাহায্যে হায়দরাবাদের সামনে বড় রানের টার্গেট রাখে তারা। শেষ ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৪ বলে ২০ রানের ইনিংসকে মুম্বাইকে ২০০ রানের গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করে। শেষ পাঁচ ওভারে ৬১ রান তুলেছিল মুম্বাই।
তবে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের। ম্যাচের প্রথম ওভারেই রোহিতকে ডাগ-আউটে ফেরত পাঠিয়েছিলেন সন্দীপ শর্মা। ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন মুম্বাই অধিনায়ক। রোহিত অল্প রানে আউট হলেও প্রথম তিন ম্যাচে রান না-পাওয়া মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অন্য ওপেনার ডি’কক দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরি করে দলকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। ৩৯ বলে চারটি ওভার বাউন্ডারি ও ও চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ডি’ককের পাশাপাশি ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদব এবং ইশান কিষান দ্রুত রান তুলে দলকে বড় রানের রাস্তা করে দেন। সূর্যকুমার ১৮ বলে হাফ-ডজন বাউন্ডারির সাহয্যে ২৭ রান করেন। আর আগের ম্যাচে ৯৯ রান করা ইশান এদিন ২৩ বলে ৩১ রান করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
