কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ ইয়ন মর্গ্যানের। কলকাতার সমর্থকরা অবশ্য গত কয়েকদিন ধরেই দাবি তুলেছিলেন দীনেশ কার্তিকের বদলে মর্গ্যানকে যেন কলকাতার অধিনায়ক করা হয়। তাদের আশা ছিল, মর্গ্যান অধিনায়ক হলেই দলের সব রোগ সেরে যাবে।
কিন্তু লিগ স্টেজে প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও কলকাতাকে হারাল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এদিন প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাইকে ১৪৯ রানের টার্গেট দেয় কলকাতা। জবাবে পরে ব্যাট করে ১৬ ওভার ৫ বলে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ পকেটে পুড়ে নেয় মুম্বাই।
ব্যাট হাতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড় করছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ওপেনার শুবমন গিল এবং রাহুল ত্রিপাঠি। তার মধ্যে আবার ৭ রানে রাহুল ত্রিপাঠি আউট হতে ম্যাচের গতি একেবারে টেস্ট ক্রিকেটের ধাঁচে নিয়ে যায় কলকাতা। তবুও শুবমন গিল একটু চালিয়ে খেলার চেষ্টা করছিলেন। এর মাঝেই আবার ৫ রানে ফিরে যান নীতীশ রানা।
এদিকে, ব্যাটিংয়ে মন দেবেন বলে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন দীনেশ কার্তিক। সেই দীনেশ কার্তিকই এদিন মাত্র ৪ রানে আউট হয়ে গেলেন। শুবমন গিলও ২৩ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান। ৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে কলকাতার স্কোর ৪৩।
অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান এসে ম্যাচের হাল ধরেন কিছুটা। ওদিকে আবার আন্দ্রে রাসেলও খেলাটা ধরেছিলেন। কিন্তু জশপ্রিত বুমরাকে খেলতে গিয়ে মাত্র ১২ রানে আউট হয়ে যান রাসেল। টুকটুক করে খেলতে খেলতে ১৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান করে কলকাতা।
তবে রাসেল আউট হতেই বাজিমাত করে দেন প্যাট কামিন্স। মাত্র ৩৬ বল খেলে ৫৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন ফাস্ট বোলার কামিন্স। অন্য দিকে কলকাতার অধিনায়ক মর্গ্যানও ধরে রেখেছিলেন ম্যাচটা। শেষমেশ মর্গ্যান ও কামিন্সের ব্যাটে ভর করেই মুম্বাইকে ১৪৯ রানের টার্গেট দেয় কলকাতা।
মুম্বাইয়ের রাহুল চাহর ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া ট্রেন্ট বোল্ট, নাইল, বুমরাহ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে মুম্বাইয়ের রানের গণ্ডি ৫০ পার করে দেন কুইন্টন ডি কক এবং রোহিত শর্মা। ১০ ওভার অবধি টিকে ছিলেন দুজনে।
ঠিক ১০ ওভার ৩ বলে রোহিত শর্মার উইকেটটি নিয়ে নেন শিবম মাভি। ৩৬ বলে ৩৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান হিটম্যান।
তবে কুইন্টন ডি কক কিন্তু চালিয়ে খেলে যাচ্ছিলেন। এদিনই চলতি আইপিএলে নিজের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। সূর্য কুমার যাদব ১০ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হয়ে যান।
তারপরে হার্দিক পাণ্ডিয়া মাঠে নামতেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ১৬ ওভার ৫ বলেই ম্যাচ জিতে নেয় রোহিত শর্মার দল। কুইন্টন ডি কক ৪৪ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান। হার্দিকের ব্যাট থেকে উঠে আসে ১১ বলে ২১ রান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই