ক্যানসার জয় করেছেন। সাক্ষী থেকেছেন জোড়া মহামারির। এবার অলিম্পিকে মশাল ধরবেন ১১৮ বছর বয়সী কানে তানাকা। শুনতে খানিকটা অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আগামী মে মাসে জাপানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অলিম্পিক গেমস। আর সেখানেই মশাল হাতে দেখা যাবে এই বৃদ্ধাকে।
জানা গেছে, এ বছর জাপানের ফুকুওকার অলিম্পিকে মশাল নিয়ে হাঁটবেন বিশ্বের প্রবীণতম এই নারী। এক্ষেত্রে তানাকার পরিবার তাকে ১০০ মিটার হুইলচেয়ারে করে পাঠাবেন। এরপর মশাল হাতে কয়েক পা হাঁটবেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তানাকা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের জন্য জানুয়ারি মাসেই নতুন এক জোড়া জুতাও পেয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে তানাকার নাতি ষাটোর্ধ্ব ইজি তানাকা জানান, ১১৮ বয়সে এসেও বেশ দারুণ ভাবে জীবনযাপন করছেন তানাকা। অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছেন তিনি। অলিম্পিকে মশাল নেওয়া সত্যিই বড় ব্যাপার। আশা করি, তানাকাকে দেখে গোটা বিশ্ব অনুপ্রাণিত হবে। এই পুরো বিষয়টি যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিল, বয়স কোনও বাধা নয়।
কে এই কেন তানাকা?
১৯০৩ সালে জন্মেছিলেন তানাকা। ১৯ বছর বয়সে এক চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার। সেই সূত্রে চার সন্তানের মা হন তিনি। ১০৩ বছর পর্যন্ত সমানে পরিবার সামলেছেন। কিন্তু এরপর আর শরীর সঙ্গ দেয়নি। তানাকার পাঁচজন নাতি-নাতনি রয়েছে। নাতি-নাতনিদেরও আবার ৮ জন ছেলে-মেয়ে রয়েছে। বলা বাহুল্য, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু ও বর্তমানের করোনার সাক্ষী থেকেছেন এই মানুষটি। শেষবার টোকিওতে ১৯৬৪ সালে যখন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়, তখন তানাকার বয়স ছিল ৬১ বছর। তবে এবার এক অন্য অনুভূতি। এবার দেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার স্বপ্ন নিয়ে মশাল হাতে এগিয়ে যাবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালে রিও সামার গেমসে ব্রাজিলের ১০৬ বছরের আইদা জেমাঙ্কু অলিম্পিকের মশাল তুলে নিয়েছিলেন। তার আগে ২০১৪ সালে ১০১ বছরের রুশ টেবিল টেনিস খেলোয়াড় আলেজান্ডার ক্যাপতারেনকো শীতকালীন অলিম্পিকের মশাল হাতে নেন। এবার পালা তানাকার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত