নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুটা মোটেও ভালো হলো না বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ টাইগাররা। এতে কিউইদের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে বাজে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ দল।
ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। এর আগে ডানেডিনের এই ইউনিভার্সিটি ওভালে অতীতে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির তিন সংস্করণে আগে ব্যাট করা কোনো দল এত কম রানে অলআউট হয়নি।
এছাড়াও ২০০৭ সালের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে এত কম রানে অলআউট হয়নি বাংলাদেশও।
শনিবার ডানেডিনে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ম্যাচের শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার পূর্বে ১৫ বলে ১৩ রান করেন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার কোনো রান না করেই ডেভন কনওয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
এদিকে, জীবন পেয়েও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার লিটন দাশ। তৃতীয় উইকেট হিসেবে বিদায় নেন তিনি। তার ৩৬ বলে ১৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১ চারে।
উইকেটে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছিলেন মুশফিকুর রহিম (২৩)। কিন্তু ৪৯ বল মোকাবেলা করেও তিনি ব্যর্থ হন। এরপর রান আউটের শিকার হোন মোহাম্মদ মিঠুন (৯)। তার বিদায়ের পর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১) ও ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া মেহদেী হাসান (১৪) । দলীয় শতরান পাওয়ার আগেই ৭ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা।
বিপর্যয়ের সময় মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ যা একটু ভরসা হয়ে ওঠেছিলেন। ৫৪ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ২৭ রান করেন তিনি। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ দলীয় ১২৫ রানে সাজঘরে ফেরার পর স্কোরবোর্ডে আর ৬ রান জমা পড়তেই শেষ ২ উইকেট তাসকিন (১০) ও হাসান মাহমুদকে (১) হারায় বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ অপরাজিত ছিলেন ব্যক্তিগত ১ রানে।
টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৩১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। মাত্র ২৭ রানের খরচায় নিয়েছেন ৪টি উকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন জেমি নিশাম ও মিচেল সার্টনার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ওপেনিং জুটিতে মার্টিন গাপটিল এবং হ্যানরি নিকোলসের ৫৪ রানের জুটি গড়রেন। ১৯ বলে ৩৮ রান তুলে টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন গাপটিল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অভিষিক্ত ডেভন কনওয়েকে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন হেনরি নিকলাস।
কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি কনওয়ে। ৫২ বলে ২৭ রান করে হাসান মাহমুদের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে উইল ইয়ংকে সঙ্গে নিয়ে শেষ কাজটা করে ফেলেন ওপেনার নিকোলস। ১১ রানে ইয়ং এবং ৪৯ রানে হ্যানরি নিকোলস অপরাজিত থাকেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন