টি-টোয়েন্টিতে স্লো ওভার রেটের জন্য নতুন শাস্তির ঘোষণা দিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
আগে স্লো ওভার রেটে দোষী দলকে ম্যাচ ফি জরিমানা, ডিমেরিট পয়েন্ট কিংবা ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেওয়া হত। তবে এখন থেকে ম্যাচের মধ্যেই শাস্তি পেতে হবে।
নতুন নিয়মে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বোলিং শেষ করতে ব্যর্থ হলে ইনিংসের বাকি ওভারগুলোতে চারজনের বেশি ফিল্ডার ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে রাখতে পারবে না ফিল্ডিং দল।
শুক্রবার টি-টোয়েন্টির প্লেয়িং কন্ডিশনে এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেয় আইসিসি।
চলতি মাস থেকেই পুরুষ ও নারী আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিয়মটি কার্যকর হতে যাচ্ছে। নতুন প্লেয়িং কন্ডিশন চালু হবে ১৬ জানুয়ারি স্যাবিনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে।
আইসিসি বলেছে, নির্ধারিত ও পুনর্নিধারিত (অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে) সময়ের মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বল করতে হবে ফিল্ডিং দলকে। নয়তো ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতার শাস্তি পেতে হবে, ৩০ গজের বৃত্তের বাইরে একজন ফিল্ডার কম রাখতে হবে দলকে। কাট-অফের সময় আম্পায়ার অধিনায়ককে জানিয়ে দিবেন ইনিংসের শুরুতেই।
সাধারণ নিয়মে, প্রথম ৬ ওভারের পর ৩০ গজের বাইরে পাঁচজন খেলোয়াড়কে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ফিল্ডিং দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বল শেষ করতে না পারলে চারজনের বেশি ফিল্ডার রাখতে পারবে না ওই সীমানার বাইরে।
ধরা যাক, ইনিংস শেষ হওয়ার সময় রাত ৮টা। এই সময়ের মধ্যে ফিল্ডিং দলকে শেষ ওভারের প্রথম বল (১৯.১ ওভার) করতে হবে। যদি তারা ৮টার সময় ১৯তম ওভার বল করে, তাহলে বাকি এক ওভার একজন কম অর্থাৎ চারজন ফিল্ডারকে ৩০ গজের বৃত্তের বাইরে রাখতে হবে।
গত বছর ইসিবির প্রবর্তিত দ্য হান্ড্রেডে এই নিয়মের কার্যকারিতায় সাফল্য পাওয়া গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও এটি চালু করল ক্রিকেটের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ‘এই পরিবর্তন সুপারিশ করেছে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি, যা নিয়মিত সব ফরম্যাটে খেলার গতি বাড়ানোর সমস্ত উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। ইসিবির দ্য হান্ড্রেডের প্লেয়িং কন্ডিশনে একই নিয়মের কার্যকারিতার রিপোর্ট যাচাই করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’- এক বিবৃতিতে জানায় আইসিসি।
২০ ওভারের ফরম্যাটে নতুন আরেকটি প্লেয়িং কন্ডিশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রত্যেকে ইনিংসের মাঝপথে চাইলে আড়াই মিনিটের পানিপানের বিরতি রাখা যাবে। এই বিরতি নেওয়া হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যেক সিরিজের আগেই অংশগ্রহণকারী দুই বোর্ডকে নিতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম