শনিবার বিকেলেই টেস্ট অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিরাট কোহলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে সাদা জার্সিতে নেতৃত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই সেই ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার থেকে টেস্ট দলের দায়িত্বেও আর থাকছেন না। ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে কোহলির নেতৃত্বের যে যুগ চলছিল, তার পুরোপুরি অবসান হলো।

শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হেরেছে ভারত। শক্তিশালী দল নিয়েও সিরিজ জিততে পারেননি। তারপরেই টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়লেন তিনি।

টেস্ট ক্রিকেটে তার জয়ের হার ৫৮.৮২ শতাংশ। আর কোনও অধিনায়ক তার ধারেকাছে আসতে পারেননি। অধিনায়ক থাকাকালীন ব্যাটার হিসাবেও চূড়ান্ত সফল বিরাট। এই ৬৮ ম্যাচে ৫৪.৮০ গড়ে ৫৮৬৪ রান করেছেন তিনি। ২০টি শতরান এবং ১৮টি অর্ধ-শতরান রয়েছে তার। 

কোহলির নেতৃত্বেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। গত বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে তারা। তার মধ্যে লর্ডস এবং ওভালে জয় রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সেঞ্চুরিয়নে প্রথম বারের মতো টেস্ট ম্যাচ জিতেছে ভারত। শুধু তাই নয়, প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও উঠেছিল তারা। গত বছর সেই ম্যাচে তারা হেরে যায় নিউজিল্যান্ডের কাছে।

তবে সাম্প্রতিক কালে শতরান পাননি তিনি। ২০১৯ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন-রাতের টেস্টে শেষ বারের মতো টেস্টে শতরান এসেছিল তার ব্যাট থেকে।

শনিবার এক বিবৃতিতে কোহলি লিখেছেন, ‘গত সাত বছর ধরে প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম, একটানা ধৈর্য দেখিয়ে দলকে একটা সঠিক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে এই কাজ করেছি এবং কিছু বাদ রাখিনি। কোনও একটা স্তরে এসে সবকিছুই একসময় থেমে যায় এবং টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছেও এটাই থেমে যাওয়ার সময়।’

কোহলি আরও বলেন, ‘এই যাত্রাপথে অনেক উত্থান এবং কিছু পতন হয়েছে। কিন্তু কখনওই চেষ্টা বা বিশ্বাসের খামতি থাকেনি। যা-ই করি না কেন, বরাবর নিজের ১২০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যদি সেটা না পারি, তা হলে আমি জানি এটা সঠিক কাজ নয়। দলের প্রতি অসৎ হতে পারব না।’

বিডি প্রতিদিন/এমআই