ছোট ছোট পাস দিয়ে দুর্দান্তভাবে খেলায় একক আধিপত্য বজায় রেখেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিন্তু প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের বার বার বল নিয়ে গেলেও রক্ষণভাগের কারণে তা জালে জড়াতে পারেননি খেলোয়াড়রা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
শেখ রাসেলের আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় মোহাম্মদ জুয়েল এবার আর সুযোগ হাত ছাড়া করেননি। নিপুণ ক্রীড়া শৈলী দেখিয়ে খেলার ৪৯ মিনিটের মাথায় কাঙ্ক্ষিত গোল করে দলকে ১-০ এগিয়ে দেন। কিন্তু জুয়েলের সেই গোলকে পুঁজি করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি শেখ রাসেল। বিতর্কিত পেনাল্টির কারণে খেলার ফলাফল ১-০ থেকে ১-১ গোলে শেষ পর্যন্ত ড্র হয়।
ফলে শুক্রবার রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টিভিএস প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ (বিপিএল) এর ১ম পর্বের খেলায় বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে।
বিকাল সাড়ে তিনটায় প্রিমিয়ার লিগের খেলা শুরু হলে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র প্রথমার্ধের খেলা গোল শূন্য অবস্থায় শেষ করে। দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দল মারমুখী আক্রমণ করে খেলতে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত শেখ রাসেলের খেলোয়াড় মোহাম্মদ জুয়েল সুযোগ পেয়েই ৪৯ মিনিটের মাথায় গোল করে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ ক্লাবের খেলোয়াড়রা। তারা ম্যাচের ৬৭ মিনিটে আক্রমণে যায়।
এ সময় ডি-বক্সের মধ্যে পুলিশ ক্লাবের ১৭ নম্বর জার্সিধারী ইসা ফয়সাল পড়ে যান। আর তাকে অবৈধভাবে বাধা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে শেখ রাসেলের ৩ নম্বর জার্সির রহমত মিয়ার বিরুদ্ধে ফাউল ধরে পেনাল্টি দেন ম্যাচ রেফারি বিটু রাজ। আর এই সুযোগ পেয়েই পুলিশ ক্লাবের বিদেশি রিক্রুট আদিল খোসকুস গোল পরিশোধ করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন।
যদিও ডি বক্সের মধ্যে অবৈধভাবে কোনো বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলে আপিল করেন খেলোয়াড়রা। শরীরের সাথে কোনো সংস্পর্শ না লেগেই প্রতিপক্ষের খেলোয়ার পড়ে গেছেন বলে রেফারিকে জানানো হয়। কিন্তু তারপরও তিনি পেনাল্টি দেন। ফলে রাজশাহী ভেন্যুতে নিশ্চিত জয়ের কাছাকাছি গিয়েও বিতর্কিত পেনাল্টিতে শেষ পর্যন্ত ড্র করেই ফিরতে হয় শেখ রাসেলের দাপুটে খেলোয়াড়দের।
খেলা শেষে এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রধান কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ওই পেনাল্টির সাথে তারা একমত নন। শেষ সময়ে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে তাদের বিরুদ্ধে পেনাল্টি দিয়েছেন রেফারি। তাই তারা ক্লাবের পক্ষ থেকে বাফুফে'র কাছে আপত্তি জানাবেন। এমন ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তাদের মতো অনেক বড় বড় টিম এর আগেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই রেফারিদের মনিটরিং করার জন্য তারা বাফুফের কাছে আলাদা আবেদন দাখিল করবেন বলেও জানান শেখ রাসেলের হেড কোচ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন