খেলাটা ছিল রাজস্থান রয়্যালস বনাম গুজরাট টাইটান্সের। কিন্তু ক্রিকেট মহলের কাছে এটাও দেখার বিষয় ছিল- অধিনায়ক হিসেবে কে এগিয়ে, হার্দিক পান্ডিয়া নাকি সঞ্জু স্যামসন? লড়াই শেষে উত্তরটা খুব সহজ। হার্দিক পান্ডিয়া। এবারের আইপিএলটা হার্দিকের কাছে অনেক কিছু প্রমাণ করার মঞ্চ। মুখে কিছু বলছেন না। আগে যেমন ছিল সেই হাসি মুখটাই আছে। কিন্তু ব্যাট ও বল হাতে এলে পারফরম্যান্স দিয়ে অন্য কথা বলছেন টাইটান্স অধিনায়ক।
যেমনটা বললেন- বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে। তার ফিটনেস বা পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক কথা হয়ে আসছে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে তার ইনিংসটা সেই কথার সংখ্যা কমিয়ে দেবে। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষের ক্যাপ্টেনকে যে গতিতে রান আউট করলেন সেটাও প্রশংসার যোগ্য। ব্যাটার হার্দিক, বোলার হার্দিকের পাশাপাশি ক্যাপ্টেন হার্দিক নতুন সংযোজন। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া কাকে বলে সেটা দেখাচ্ছেন ভারতীয় দল থেকে বাদ পরা এই অলরাউন্ডার। তার হাত ধরেই আবার জয়ের ছন্দে ফিরল গুজরাট। একই সঙ্গে আইপিএল টেবিলের শীর্ষে তার দল। তবে উইকেট পেলেও পুরো ৪ ওভার বোলিং করতে পারালেন না। মাঠে থেকেও উঠলেন একাধিক বার। এটাই যা ভাবনার। কিন্তু তাতেও গুজরাটের জয় আটকালো না।
এদিন, টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে একটু চাপে পরেছিল গুজরাত। ম্যাথু ওয়েড এবারও ব্যর্থ। রান আউট হলেন মাত্র ১২ রানে। তিন নম্বরে নামা বিজয় শঙ্কর আবার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। মাত্র ২ রানে আউট তিনি। চার নম্বরে এলেন অধিনায়ক পান্ডিয়া। দলের ব্যাটিংকে টানার দায়িত্বটাও নিয়ে নিলেন। কিন্তু উল্টো দিকে তার সঙ্গে দাঁড়াবে কে? ওপেনার শুভমন কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরলেন প্যাভেলিয়ানে। তরুণ অভিনব মনোহর দাঁড়ালেন ক্যাপ্টেনের পাশে। এক দিকে হার্দিক যখন বড় শট নিচ্ছেন, উল্টো দিকে তখন চাহাল-অশ্বিনদের গ্যালারিতে ফেলছেন অভিনব। চাপে থাকা গুজরাট যেন খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এল। নেতৃত্বে ক্যাপ্টেন পান্ডিয়া। ৪৩ রানে যখন অভিনব আউট হলেন তখন মাঠে এলেন অফ ফর্মে থাকা ডেভিড মিলার। কিন্তু তিনি ছিলেন অন্য মেজাজে। মাত্র ১৪ বলে অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংস। উল্টো দিকে পান্ডিয়া নিজের মেজাজে ব্যাট চালিয়েছেন। ২০ ওভার যখন শেষ হল ১৯২ রানে পৌঁছে গেল টাইটান্সদের ইনিংস। ৫২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেললেন হার্দিক পান্ডিয়া।
বড় রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভার থেকে ঝড় তুলে দিলেন জস বাটলার। কিন্তু কোনও রান না করেই আউট আর এক ওপেনাক দেবদত্ত পাড়িক্কল। তিন নম্বরে হঠাত্ করেই নামানো হল আর অশ্বিনকে। বাটলারের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে ব্যাট চালালেন। তবে ৮ রানের বেশি এগুতে পারলেন না। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে বাটলার ও অশ্বিনের উইকেট হারাল রাজস্থান। রান রেট দারুণ থাকলেও আবার ধাক্কা। রান আউট অধিনায়ক সঞ্জু। পার্টনারশিপ গড়ে উঠল না। একের পর এক উইকেট হারাল রয়্যালসরা। অভিষেক ম্যাচে তিনটি উইকেট নিয়ে নজর কাড়লেন যশ দয়াল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
গুজরাত টাইটান্স – ১৯২/৪ (২০)
রাজস্থান রয়্যালস – ১৫৫/৯ (২০)
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ