আর মাত্র কয়েকটা দিন। ফের একবার মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। এশিয়া কাপে ২৮ আগস্ট মুখোমুখি হতে চলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর পুরুষদের ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই দেখা যাবে। শেষ সাক্ষাৎ যদিও সুখকর হয়নি ভারতের। গত টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছিল ভারত।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই ছিটকে গিয়েছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। এবার বদলার ম্যাচ ভারতের কাছে। কোচ থেকে অধিনায়ক। ভারতীয় শিবিরে সবই বদল হয়েছে মাঝের এই সময়ে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে নতুন লড়াই। এরই মধ্যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে বড় রকমের দাবি তুললেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। তাও আবার শচীন টেন্ডুলকারের মতো কিংবদন্তিকে নিয়ে।
দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের জেরে এখন আর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না। শুধুমাত্র আইসিসি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রতিযোগিতাতেই মুখোমুখি সাক্ষাৎ। টেস্ট ক্রিকেটে এই দুই দেশের লড়াই কার্যত বিলুপ্ত প্রায়। একটা সময় অবশ্য টেস্টে স্মরণীয়, ঘটনাবহুল কিছু ম্যাচ খেলেছে ভারত-পাকিস্তান। সেই সময়কার ঘটনা প্রসঙ্গেই শচীন টেন্ডুলকারকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বললেন শোয়েব আখতার।
এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে অনুষ্ঠানে ১৯৯৯ সালের একটি ম্যাচ প্রসঙ্গে কথা বলেন শোয়েব আখতার। সেই ম্যাচে শচীনকে প্রথম বলেই ফিরিয়েছিলেন শোয়েব। কলকাতার সেই ম্যাচের প্রসঙ্গে শোয়েবের দাবি, পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে পাত্তাই দিত না শচীন। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসও ছিল বলে মনে করেন শোয়েব।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল শচীন দায়িত্বজ্ঞানহীন। সমর্থকরা গর্জন করছিল। সকলেই শচীনের পাশে ছিল। হয়তো সে কারণেই পিচ কিংবা পরিস্থিতি নিয়ে একদমই ভাবিত ছিল না শচীন। আমাদের বোলিং আক্রমণকে সে সম্মান দেয়নি।
ভারত সেই ম্যাচটি ৪৬ রানে হেরেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলে সাঈদ আনোয়ার। ভারতের লক্ষ্য ছিল ২৭৯ রান। ওপেনাররা ভালো শুরু করেছিলেন। সদগোপান রমেশ এবং ভিভিএস লক্ষ্ণণ জুটি ১০৮ রান যোগ করেছিল। তারপরও ২৩২ রানে অলআউট হয় ভারত। শচীন টেন্ডুলকার কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত। হয়তো সে কারণেই এমন ধারণার জন্ম শোয়েব আখতারের।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ