মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি কাপ্তানের ভার দেওয়া হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। লক্ষ্য এশিয়া কাপ ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরদাঁড়া ঊঁচু করে দাঁড়ানো। তবে এখনই সাকিব আল হাসান সেই আশার পাল ওড়াতে চাইছেন না। তিনি আবারও শোনালেন ধারাবাহিক উন্নতি করার গল্প।
সাকিব বলেন, ‘ধরেন, এশিয়া কাপে অনেক ভালো করলেন, চ্যাম্পিয়নই হলেন। কিন্তু বিশ্বকাপে ভালো করতে পারলেন না। তাহলে কিন্তু উন্নতির ধারাটা ঠিক হলো না। (আবার ধরেন) ২০২৪ সালে হয়তো বিশ্বকাপে আমরা সেরা দল, ২০২৬ সালেও হয়তো শেষ চারে যাওয়ার মতো। তখন আমরা ভালো দল। কিন্তু এশিয়া কাপ জিতলাম, পরে নিউজিল্যান্ডে সব হারলাম, বিশ্বকাপে হারলাম, আবার সিরিজ জিতলাম একটা-ও রকম হওয়ার চেয়ে এটা হওয়া অনেক ভালো। ভারত ২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই জেতেনি। কিন্তু প্রতিবারই ফেবারিটের তালিকায় আছে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।’
সেই উন্নতির পরিকল্পনাও জানালেন সাকিব, ‘এখন যেটা ফোকাসের জায়গা, সেটা আগামী দুই-আড়াই মাস। এ সময়ে আমরা যতটা উন্নতি করতে পারি। আমাদের অনেক চোটের সমস্যা আছে। এখন যে সময় যাচ্ছে, যে পরিমাণ খেলা হচ্ছে, এটা সব সময় হবে। এই প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা কীভাবে উন্নতি করতে পারি, সেটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রতিকূলতার এই গল্প বাংলার ক্রিকেটে বেশ পুরনো। ইনজুরিও ক্রিকেট সিস্টেমেরই অংশ। এখন প্রশ্ন সুখ-অসুখ মিলিয়ে সাকিবের উন্নতির গল্পটা আসলে আগাবে কতদূর।
সাকিব সেই প্রসঙ্গে টানলেন তেল আর গ্যাসের উদাহরণ, বললেন ‘আমি বলছি না যে খেলাটার ধরন পুরোপুরি বদলে ফেলতে হবে। আমরা চাইলেই আমাদের শরীর হুট করে বড় করে ফেলতে পারব না। কিন্তু আমাদের যে রিসোর্স আছে, আমরা যেন তা ব্যবহার করতে পারি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমার কাছে তেল নেই। এখন তেল দিয়ে কী করতে পারি, সেটা ভেবে লাভ নেই। আমার কাছে গ্যাস আছে, তা দিয়ে কী কী কাজ করতে পারি, সেটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, আমরা ভালো দল। আমরা যদি রিসোর্স ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি...আমি যদি একবার-দুইবার-তিনবার করে দেখাতে পারি, তাহলে বুঝতে হবে যে আমাদের সে সামর্থ্য আছে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল