চলমান এশিয়া কাপের প্রতিটি ম্যাচেই বল হাতে ঝড় তুলছেন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। গড়ে ১৪৫ গতিতে বল করছেন তিনি। বুধবার বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন রউফ। এই ম্যাচে তার জুতার সামনের দিকে ছোট একটি ‘ছেঁড়া’ অংশ দেখা যায়। তাতেই শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা।
পেসারদের ক্ষেত্রে জুতা সঠিক মাপের না হলে সমস্যা হতে বাধ্য। এছাড়া বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করে। এতে ডানহাতি পেসারদের ক্ষেত্রে বাঁ-পায়ের বুড়ো আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা প্রবল। অনেক সময় নখও উঠে যায়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, পেসাররা বুড়ো আঙুলে টেপ বেঁধে জুতা পরেন। বোলিংয়ের সময় যাতে আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে। আরও একটা উপায় আছে। হ্যারিস রউফকে সেটাই করতে দেখা গেল।
শুরুতে যে জুতা পরে বোলিং করছিলেন, সম্ভবত সেটি নতুন। তাই আর নিজের মতো ‘মডিফাই’ করার সুযোগ পাননি। দ্রুত ডাগ আউট থেকে তার পুরনো জুতা জোড়া আনানো হয়। এরপরই বোলিংয়ে স্বস্তিতে দেখায় রউফকে। জুতা বদলের পর তার বোলিংয়ের ধার যেন বেড়ে যায়। তার পুরনো জুতোর বাঁ-পায়েরটিতে বুড়ো আঙুলের জায়গায় ওই মাপেরই ফুটো করা। এতে বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করলেও আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা নেই। পায়ে খুব চাপ পড়লে আঙুল কোথাও ধাক্কা খাচ্ছে না। সে কারণেই স্বস্তিতে দেখায় রউফকে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ