প্যারিস অলিম্পিকের আগে নেদারল্যান্ডসের বিচ ভলিবল খেলোয়াড় স্টেফেন ফন দে ফেলদের অংশগ্রহণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। তিনি ২০১৬ সালে ১২ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হন। স্টেফেন আদালতে চার বছরের কারাদণ্ড পেলেও ১২ মাস পর মুক্তি পান এবং খেলায় ফিরে আসেন।
সাবেক ব্রিটিশ ম্যারাথনার পলা র্যাডক্লিফ প্রথমে স্টেফেনের প্রতিভা নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করলেও পরে তার বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের পরেও স্টেফেনের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ সমাজে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং নারী ও শিশু সুরক্ষা সংস্থাগুলো স্টেফেনের অংশগ্রহণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের রেপ ক্রাইসিস প্রতিষ্ঠানের প্রধান কিয়ারা বার্গম্যান বলেন, "এই ধরনের অপরাধের পরেও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা আদর্শের পরিপন্থী।"
‘এন্ড ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেনস কোয়ালিশন’-এর নির্বাহী পরিচালক আন্দ্রেয়া সিমোন স্টেফেনের অংশগ্রহণে হতাশা প্রকাশ করেন এবং আইওসিকে এই ব্যাপারটি তদন্তের আহ্বান জানান।
আইওসি বলেছে, অলিম্পিকে অ্যাথলেটদের বাছাইয়ের দায়িত্ব দেশের অলিম্পিক কমিটির। নেদারল্যান্ডস অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, সাজা খাটার পর স্টেফেন পুনর্বাসিত হয়েছেন এবং বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পুনরায় অপরাধের সম্ভাবনা নেই। তবুও, অনেকেই মনে করেন, এই ঘটনায় অলিম্পিক আদর্শ ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল