অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনে উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ১৫২ রানে। আর তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৩৪ রানের। সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লড়াই তো দূরে থাক, ক্যারিবীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
স্বাগতিক বোলারদের মোকাবিলায় একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ৫৯ রানের মাথায় হারিয়েছে ৫টি উইকেট। দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ার ফলে স্বাগতিকদের কাছে বড় হারের মুখেই দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শেষ বল পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১০৯ রান করেছে সফরকারীরা। জয়ের জন্য শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২২৫ রান, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট।
দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসেছিলেন কেমার রোচ। তার কণ্ঠে পুরোটা সময় ছিল আত্মতৃপ্তি, ‘আমাদের বোলিং গ্রুপের প্রশংসা না করে উপায় নেই। ভেরি হাইলি স্কিলফুল বোলিং গ্রুপ। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ আর বোঝাপড়া ভালো ছিল। বল হাতে ভালো একটা শুরু চাচ্ছিলাম। আমি ও জায়ডেন সেই শুরুটা করতে পেরেছি। আরও এক-দুটি উইকেট তুলে নিতে পারলে ভালো হতো।’
অভিজ্ঞ এই পেসার প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পুরো বোলিং ইউনিটকে, ‘ছেলেরা নিজেদের মেলে ধরেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে কাজটা সহজ ছিল না, প্রথম ইনিংসে অনেকক্ষণ ব্যাট করতে হয়েছে। তবে বল হাতে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ফ্যান্টাস্টিক। বোলিং গ্রুপের প্রশংসা করতে চাই। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া দারুণ ছিল, দারুণ ইউনিট, এর অংশ হতে পেরে আমি খুবই খুশি।’
৩৩৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়া নিয়ে রোচ বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য যতটা সম্ভব কঠিন করে তোলা। রান রেট কম রেখে ভালো জায়গায় বল করে ব্যাটারদের চাপে রাখা। বোলাররা সেই কাজ খুব ভালোভাবে করেছে। দ্রুতই দুটি উইকেট চলে যায়, আমি একটা পাই আরেকটা জায়ডেন। এরপর আরও পাঁচটি উইকেট পড়েছে। যে এনার্জি নিয়ে ছেলেরা বল করেছে আমি খুবই খুশি। কিছু ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে যা নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে। তবে বোলিং ইউনিট সুযোগ তৈরি করছে, এটাই তো চাওয়া থাকে।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ