২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির। ২০০৯ সালে অভিষেকের পর থেকেই দলের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দুর্দান্ত ক্যারিয়ারে কালিমার দাগ লাগে স্পট ফিক্সিংয়ের বিতর্কের পর।
ফিক্সিংয়ের ঘটনায় পাল্টে যায় তার ক্যারিয়ারের গতিপথ। দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকার পর সেভাবে আর দলে ফিরতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান আমির। কিন্তু এর পরেও শেষ হয়নি আমির অধ্যায়।
২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত বছরেই আমির জানিয়েছিলেন, অবসর ভেঙে দলে ফিরতে রাজি তিনি। শেষ পর্যন্ত অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন তিনি, খেলেছেন বিশ্বকাপেও। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও দেখা যেতে পারে আমিরকে, ধারণা করা হচ্ছিল এমনটাই। তবে সেটা আর হচ্ছে না।
এক বিবৃতিতে আমির জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না তাকে, ‘পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলা আমার জন্য গর্বের বিষয়। সিদ্ধান্তটা নিয়ে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময় সরে দাঁড়ানোর। আমি চাই পাকিস্তান ক্রিকেট অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাক। পিসিবি ও দলের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার পাশে থাকার জন্য। পাকিস্তানের সমর্থকদেরও অনেক ধন্যবাদ। তারা পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই আমার পাশে ছিলেন।’
এছাড়া পিসিবি ও পাকিস্তানের ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান এই তারকা পেসার। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের ক্রিকেটে বেশকিছু বড় অর্জনের সাক্ষী মোহাম্মদ আমির। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। দলকে শিরোপা জেতানো বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি। এর বাইরে বির্তকিতও হয়েছেন। ২০০৯ স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন।
পাকিস্তানের হয়ে ৩৬ টেস্ট, ৬১ ওয়ানডে ও ৬২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মোহাম্মদ আমির। শিকার করেছেন ২৭১টি উইকেট, ব্যাট হাতে করেছেন ১১৭৯ রান।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম