ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা না থাকায় প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় লিটন দাসকে। শ্রীলঙ্কা সফরের সময়ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলের শিকার হয়েছেন তিনি। তবে, শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল বলছেন, এত ট্রল সামলে ছন্দে ফেরাটা লিটনের জন্য সহজ ছিল না।
ওয়ানডেতে ছন্দে না থাকায় সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের স্কোয়াডে জায়গা পাননি লিটন। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাশিত পারফর্ম না করেও শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে দলে ডাক মেলে তাঁর। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে শূন্য রানে আউট হন লিটন। রানখরায় থাকা ব্যাটারকে তাই পরের দুই ম্যাচে একাদশেই নেয়নি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির শুরুটাও ভালো হয়নি তার।
অধিনায়ক লিটন দলকে চাপে ফেলে আউট হয়েছিলেন ১১ বলে ৬ রান করে। এমন অবস্থায় সাদা বলের ক্রিকেটে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সুযোগ পেয়েও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিটনকে নিয়ে ব্যাপকহারে ট্রল হয়েছে। অবশ্য দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস দারুণ একটা ইনিংস খেলেন লিটন। সেদিন শ্রীলঙ্কাকে ৯৪ রানে গুঁড়িয়ে বড় জয় পায় বাংলাদেশ।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে লিটন খেলেন ২৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস। নেতৃত্বগুণ, ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স ও উইকেট পেছনের কৃতিত্বে সিরিজসেরা হয়েছেন লিটন। দেশে ফেরার পর নাফিস জানান, তাদের আশা লিটন এমন ছন্দ ধরে রাখবেন।
জাতীয় দলের ম্যানেজার বলেন, তার (লিটন দাস) জন্য এটা সহজ ছিল না। ও যেভাবে সিরিজে আসছিল, ব্যাড প্যাচ (বাজে ফর্ম) একটা যাচ্ছিল। আমরা জানি, আমাদের ব্যাড প্যাচ গেলে, যেহেতু বাংলাদেশের সবাই খুব ইমোশনাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি ট্রল করা হয়। এভাবে ফিরে আসা সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়া দলকে, অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। ও নিজের ক্যারেক্টার শো করেছে, আশা করি এবং দোয়া করব, যেন এটা ধরে রাখে।
তিনি বলেন, আমাদের সবার আস্থা রাখতে হবে এই টিমের ওপর, আমরা যদি সাপোর্ট করি এই টিম নিয়ে ইনশাল্লাহ অনেক দূরে যেতে পারব। আমরা যে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম এই জয়টা দেশের জন্য, প্লেয়ারদের জন্য বা বোর্ডের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবার আস্থা রাখতে হবে এই টিমের ওপর, আমরা যদি সাপোর্ট করি এই টিম নিয়ে ইনশাল্লাহ অনেক দূরে যেতে পারব।
বিডি প্রতিদিন/কেএ