মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন থেকে হচ্ছে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি। এ ধারণা প্রায় দৃঢ় হয়ে চেপে বসেছে সাধারণ মানুষের মনে। সম্প্রতি গোয়ালিয়রে একটি মোবাইল টাওয়ার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। আর এ নিয়েই টেলিকম বিশেষজ্ঞদের মতামত, টাওয়ারের রেডিয়েশন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয়।
এক পিটিশনের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি এতে মোটেও খুশি নয়। এমনিতেই নানা কারণে টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি নানা সংশয়ের মুখে দাঁড়িয়ে। সেখানে এই ধরনের মতামত ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে আরও ক্ষতিকর হতে পারে বলেই মত।
সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোশিয়েশন অফ ইন্ডিয়া-র তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের এ নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কেননা মোট চারটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড(ইএমএফ) সংক্রান্ত মামলাকে একসঙ্গে করা হয়েছে। যদিও দেশের আটটি উচ্চ আদালত জানিয়েছে, এই রেডিয়েশন স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর নয়। পুরো রায়টি যাতে সাধারণ মানুষ ভাল করে পড়ে দেখেন তারও অনুরোধ করা হচ্ছে। একটি বিশেষ ক্ষেত্রকেই যেন সাধারণ হিসেবে ধরে না নেওয়া হয় সেই আর্জি জানাচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা।
এই নির্দেশের সঙ্গে আরও একটি বিষয় মাথাচাড়া দিয়েছিল। এর ফলে যে কেউ সেলুলার টাওয়ারের বিষয়ে স্বাস্থ্যহানির অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে একটি করে টাওয়ার বন্ধ হলে মারাত্মক চাপের মুখে পড়বে ইন্ডাস্ট্রি। ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস বা DoT-এর তরফে বিভিন্ন গবেষণাপত্রের উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, এই রেডিয়েশন থেকে যে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় তার কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কেননা ডট রেডিয়েশনের নির্দিষ্ট মাত্রা বেঁধে দিয়েছে। এছাড়া এলাহাবাদ হাই কোর্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিল, যে কমিটিও এই রেডিয়েশনের স্বাস্থ্যহানির বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। এই উল্লেখ করেই টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন