স্টিফেন স্পিলবার্গ পরিচালিত 'ইটি' (১৯৮২) সিনেমার ইলিয়টের সাথে ভিনগ্রহের সেই প্রাণির বন্ধুত্বের কথা মনে আছে? 'কোয়ি মিল গয়া' (২০০৩)-র রোহিতের সাথে 'জাদু'র দোস্তি? অথবা সত্যজিৎ রায়ের ছেটগল্প 'বঙ্কুবাবুর বন্ধু', 'অঙ্কস্যার গোলাপিবাবু ও টিপু'? হয়তো এই বন্ধুত্বগুলো শুধু বইয়ের পাতা আর সিনেমার পর্দাতেই সম্ভব। কারণ আমাদের সঙ্গে ভিনগ্রহের প্রাণীদের দেখা হওয়া আর সম্ভবই নয়। এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিউরিওসিটি.কম থেকে জানা গেছে, বিখ্যাত মার্কিন পদার্থবিদ এনরিকো ফার্মির 'ফার্মি প্যারাডক্স' অনুযায়ী মহাবিশ্বে ভিনগ্রহের জীবের অস্তিত্ব অবশ্যই রয়েছে। আরও একজন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্ক ড্রেকের মতানুযায়ী, ছায়াপথে উন্নত জীবের অস্তিত্বের সম্ভাবনাও রয়েছে বিস্তর। তবে তাদের সংখ্যা কত বা কোথায় রয়েছে তারা, তা জানা যায়নি সঠিকভাবে। তা সত্ত্বেও কোনও এলিয়েন বা ভিনগ্রহের জীবের মুখোমুখি হল না কেন পৃথিবীবাসী?
সুইজারল্যান্ডের 'ফেডারাল পলিটেকনিক্যাল স্কুল অব লসেন'-এর পদার্থবিদ ক্লডিও গ্রিম্যালডি এবং তার সতীর্থ বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, ভিনগ্রহ থেকে আসা কোনও রেডিও সংকেত পৃথিবীতে পৌঁছানোর অনেক আগেই সেই গ্রহের জীবরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এর কারণ, মহাশূ্ন্য পেরিয়ে সেই তরঙ্গ অন্য সভ্যতার সংস্পর্শে আসার সময়।
গবেষণার কারণে বিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন, যে কোনও সভ্যতার আনুমানিক বয়স ১০০,০০০ বছর। একমাত্র মানবসভ্যতা ২০০,০০০ বছর ধরে টিকে রয়েছে বলে মনে করা হয়। যদিও মাত্র ৫,০০০ বছর আগের প্রমাণই পাওয়া যায়।
সেই মতো, এলিয়েনরাও আনুমানিক ১০০,০০০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। তারা যদি কোনও সংকেত পাঠায়, তবে তা আলোর চাইতে দ্রুত গতিতে এসে পৌঁছাতে পারে না। অর্থাৎ এলিয়েন সভ্যতা থেকে পাঠানো কোনও সংকেত আমাদের কাছে এসে পৌঁছাতে যতদিন লাগবে, ততদিনে ভিনগ্রহের সেই প্রাণীদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে।
এখনও পর্যন্ত মাত্র ৮০ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে ভিনগ্রহে রেডিও সংকেত সম্প্রচার করতে পেরেছেন এবং তাতে ছায়াপথের মাত্র ০.০০১ শতাংশ অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বঙ্কুবাবু থাকলেও তার বন্ধু থাকছেন না।
তবে একেবারে হাল ছাড়বেন না। দেখবেন, হঠাৎ করেই অঞ্জন দত্তর গানকে সত্যি করে হরিপদ কেরাণীর বাড়ির ছাদে চলে এসেছে বড় বড় গোল গোল চোখ।
বিডি প্রতিদিন/২৮ এপ্রিল ২০১৮/আরাফাত
একান্তে স্ত্রীর সঙ্গে রুবেল
২০১৬ সালে ঘটা করে বিয়ে করেন পেসার রুবেল হোসেন। ওই বছরের মার্চে অনালোচিত একজনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। তবে তখন স্ত্রীকে সামনে আনেননি।
অবশেষে জীবনসঙ্গিনীকে ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন রুবেল। আজ শনিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। এর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার স্ত্রী’।
অবশ্য সহধর্মিনীর নাম জানাননি রিভার্সসুইং তারকা। তবে শোনা যাচ্ছে, পারিবারিক পছন্দে এই বিয়ে হয়েছে। তার স্ত্রীর নাম স্ত্রী ইসরাত জাহান দোলা!
এর আগে ২০১৪ সালে অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপীর সঙ্গে রুবেলের স্ক্যান্ডাল চাউর হয়। আদালত পর্যন্ত তা গড়ায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করে। দুদিন কারাভোগও করতে হয় তাকে।
পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলতে যান রুবেল। সেখানে তার জাদুকরী বোলিংয়ে ব্রিটিশদের বধ করে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্ব মঞ্চের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে টাইগাররা।
অসুস্থতার কারণে সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) খেলেননি রুবেল। এসময় বাগেরহাটে পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। এখন পুরোপুরি সুস্থ। কিছুদিনের মধ্যেই ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করবেন। এরপর ক্যাম্পে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/২৮ এপ্রিল ২০১৮/আরাফাত