শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইন্টারনেট যেভাবে কাজ করে

টেকনোলজি ডেস্ক

ইন্টারনেট যেভাবে কাজ করে

ব্রাউজারে পছন্দের ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখে ক্লিক করলেই পৌঁছানো যাচ্ছে সেখানে। কীভাবে এত দ্রুত তথ্য আমাদের হাতের মুঠোয় পৌঁছায় সেটা জানার আগ্রহ অনেকের। সহজ করে বললে, সব ওয়েবসাইটের একটা আইপি অ্যাড্রেস বা ঠিকানা থাকে। এ ঠিকানাটা নিবন্ধন করা থাকে ওয়েবসাইটের নাম ও ইউআরএলের বিপরীতে...

ইন্টারনেটের ভাষায় এ নিয়মটিকে বলা হয় টিসিপি/আইপি ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল/ইন্টারনেট প্রটোকল। এ নিয়ম মেনে ইন্টারনেটে তথ্য আদান-প্রদান করা হয় ডাটা প্যাকেট হিসেবে। একে একে প্রয়োজনীয় ডাটা প্যাকেটগুলো আপনার কম্পিউটারের ঠিকানায় এসে পৌঁছাতে থাকে। প্যাকেটগুলো ওপেন করে দেখায় ব্রাউজার...

ব্রাউজারে পছন্দের ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখে ক্লিক করলেই পৌঁছানো যাচ্ছে সেখানে। কীভাবে এত দ্রুত তথ্য আমাদের হাতের মুঠোয় পৌঁছায় সেটা জানার আগ্রহ অনেকের। সহজ করে বললে, সব ওয়েবসাইটের একটা আইপি অ্যাড্রেস বা ঠিকানা থাকে। এ ঠিকানাটা নিবন্ধন করা থাকে ওয়েবসাইটের নাম ও ইউআরএলের বিপরীতে। যেমন গুগল ডটকম-এর বিপরীতে একটা ঠিকানা বা আইপি অ্যাড্রেস আছে। এটা আসলে আপনার কাজে লাগে না, কারণ আপনি ইংরেজিতে টাইপ করেন ইউআরএল। কিন্তু কম্পিউটার তো আর ইংরেজি বোঝে না। এটি ইউআরএলের বিপরীতে সংখ্যায় লেখা এ ঠিকানাটা খুঁজে নেয় এবং সে অনুযায়ী সংযোগ তৈরির চেষ্টা করে। ডোমেইন নেইম সার্ভার নামে এক ধরনের ডাটাবেজ আছে। এ ডাটাবেজে তালিকা করে প্রতিটি ডোমেইন নেম (ওয়েবসাইটের নাম) ও ইউআরএল লিঙ্কের বিপরীতে আইপি অ্যাড্রেসটি লেখা থাকে। কম্পিউটার এ তালিকা দেখে সঠিক আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে নেয়। পরের ধাপে এটি সেই আইপি অ্যাড্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে শুরু করে। এ জন্য তাকে অনেকগুলো সার্ভারের মধ্য দিয়ে তথ্য পাঠাতে হয়। যেমন ফেসবুক ডট কম-এ ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটার থেকে রিকোয়েস্ট যায় আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে। তাদের কাছ থেকে এটা যায় তারা যাদের কাছ থেকে ইন্টারনেট নিচ্ছে তাদের কাছে। যদি তারা সরাসরি বাংলাদেশ সরকার থেকে ইন্টারনেট নিয়ে থাকে তবে তাদের কাছ থেকে এ রিকোয়েস্ট যাবে বিটিসিএলের সার্ভারে। সেখান থেকে এটি আবার ফেসবুকের এশিয়ান সার্ভারে যাবে, প্রয়োজনে সেখান থেকে যাবে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো অঞ্চলের সার্ভারে। সেই সার্ভার অনুমতি দিলে সংযোগ তৈরি শুরু হবে। এ পুরো প্রক্রিয়াটি এমনভাবে করা হয় যেন সবচেয়ে কম সার্ভার বা ধাপ ও সম্ভাব্য ভুল যথাসম্ভব এড়িয়ে আপনাকে নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া যায়। সংযোগ তৈরি হয়ে গেলে আপনার কম্পিউটার তখন কাক্সিক্ষত সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সার্ভার এ তথ্য পায় যে, এ ওয়েবপেজটি দেখতে চাই। সেটা হতে পারে ফেসবুক বা একটি ইউটিউব ভিডিও কিংবা যে কোনো কিছু। এ পুরো প্রক্রিয়াটি হয় একটি নিয়ম মেনে। ইন্টারনেটের ভাষায় এ নিয়মটিকে বলা হয়- টিসিপি/আইপি ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল/ইন্টারনেট প্রটোকল। এ নিয়ম মেনে ইন্টারনেটে তথ্য আদান-প্রদান করা হয় ডাটা প্যাকেট হিসেবে। একে একে প্রয়োজনীয় ডাটা প্যাকেটগুলো আপনার কম্পিউটারের ঠিকানায় এসে পৌঁছাতে থাকে। প্যাকেটগুলো ওপেন করে দেখায় ব্রাউজার। একটি ওয়েবপেজ ডিসপ্লে করা বা দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্যাকেট এসে পৌঁছালে ওয়েবসাইটটি ঠিকভাবে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর