বিজ্ঞানীরা বলছেন, আইসক্যাপ থেকে মিঠা পানি গলে যাওয়ার কারণে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা কমে যাচ্ছে, এতে নিচের দিকের প্রবাহ কমে যায়। হাজার হাজার বছর ধরে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে এ গভীর সমুদ্রের স্রোত অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল ছিল।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছরই বাড়ছে বৈশ্বিক গড় উষ্ণতা। আর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের ওপর। জলবায়ু স্বাভাবিক রাখতে অন্যতম ভূমিকা রাখা এ অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে- ২০৫০ সালের মধ্যে গভীর জলের প্রবাহ ধীর হয়ে সমুদ্র স্রোতের গতি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এ হারে বরফ গললে তা বৈশ্বিক জলবায়ুকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। তাদের মতে, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের গভীর স্রোতের গতি ধীর হলে আরও শীতল হয়ে উঠবে ইউরোপ। এমনকি বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণের ক্ষমতাও কমে যেতে পারে মহাসাগরগুলোর।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আইসক্যাপ থেকে মিঠা পানি গলে যাওয়ার কারণে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা কমে যাচ্ছে, এতে নিচের দিকের প্রবাহ কমে যায়। হাজার হাজার বছর ধরে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে এ গভীর সমুদ্রের স্রোত অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু জলবায়ুর উষ্ণায়নের কারণে এটি ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের আন্তঃসরকার প্যানেল আইপিসিসি বলছে, ১৯০০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৫-২৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আইপিসিসি আরও জানিয়েছে, প্রাকশিল্প যুগের তুলনায় যদি পৃথিবী কেবল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণ হয় তবে ২১০০ সালের মধ্যে সেই স্তর ৪৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাবে।