ওয়েব দুনিয়ায় হ্যাক খুব সাধারণ ব্যাপার। নানা কারণেই হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে ওয়েবসাইট। মূলত বড় ওয়েবসাইটগুলোর ব্যবসায়িক ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে অথবা কাস্টমার ডিটেইলস চুরি করার জন্য হ্যাক করা হয়। আবার অনেক সময় ছোট এবং সাধারণ ওয়েব ব্লগও হ্যাক করা হয়।
কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ পেতে
অনেক হ্যাকার ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার জন্য কেবল সাইট হ্যাক করে না। অনেক ক্ষেত্রে তারা ওয়েবসাইট সার্ভার বা সার্ভার কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্যও হ্যাকিং করে থাকে। যেহেতু ওয়েব সার্ভার সাধারণ কম্পিউটারের মতোই হয়ে থাকে, তাই এতে যে কোনো টাস্ক পারফর্ম করানো সম্ভব। তবে হ্যাকার বিশেষ করে ডিজিটাল কারেন্সি মাইনিং করার জন্য কম্পিউটার পাওয়ার ব্যবহার করে।
ফ্রি অ্যাডভারটাইসমেন্ট
হ্যাকার কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক করে হোম পেজে নিজেদের ছবি বা গ্রুপের ছবি ঝুলিয়ে দেয়। এদের প্রধান উদ্দেশ্য হয় বিশেষ করে নিজের নাম বা হ্যাকিং গ্রুপের নামের প্রসার বিস্তার করানো। তারা দেখাতে চায়, ওই নামের কোনো একটি হ্যাকিং গ্রুপ রয়েছে। এর বড় সুবিধা হলো, ফ্রিতে নিজের বা গ্রুপের অ্যাডভারটাইসমেন্ট করানো।
ফিশিং পেজ ব্যবহার করতে
হয়তো ওয়েবসাইটে কোনো ইউজার ডাটা নেই, কিন্তু হ্যাকার সাইটটি হ্যাক করে ফেক পেজ ঝুলিয়ে দিতে পারে। যা হতে পারে ফেসবুক বা গুগল পেজের কপি ভার্সন। ইউজার বেশির ভাগ সময় এ রকম পেজ দেখে বোকা সেজে যায়, আর আসল সাইট মনে করে নিজের ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড প্রবেশ করিয়ে দেয়। আর সঙ্গে সঙ্গে লগইন নেম আর পাসওয়ার্ড বা যে কোনো প্রবেশ করানো তথ্য যেমন ক্রেডিট কার্ড ডিটেইলস হ্যাকারের কাছে চলে যায়।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
এসইও মানে হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এই টাইপের অ্যাটাককে এসইও অ্যাটাক বলতে পারেন। সার্চ ইঞ্জিন থেকে হ্যাকার নিজের ওয়েবসাইটে র্যাঙ্ক করার জন্য ওয়েবসাইট হ্যাক করে থাকে। সেখানে স্প্যাম পেজ তৈরি করে তার সাইটের জন্য ব্যাকলিঙ্ক বসিয়ে দেয়। সাধারণত গুগল বা সার্চ ইঞ্জিনগুলো সেই সাইটগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে যাদের ব্যাকলিঙ্ক সবচাইতে বেশি।
স্প্যামিং মেইল সেন্ড করতে
অনেক সময় স্প্যাম মেইল সেন্ড করার জন্য ওয়েবসাইটগুলোকে র্যান্ডমলি হ্যাক করা হয়। তারপরে সাইট থেকে একসঙ্গে হাজারো বা লাখো মেইল সেন্ড করা হয়, অনেক সময় তো সাইট মালিক কিছুই বুঝতে পারে না। এদিকে হ্যাকার তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে।
ম্যালওয়্যার ছড়াতে
হ্যাকার ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেখানে ম্যালিসিয়াস কোড বা ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার ইনজেক্ট করিয়ে দেয়। তারপরে ওই ওয়েবসাইটে যখন কোনো ভিজিটর ভিজিট করে এবং তার পিসিতে যদি কোনো ত্রুটি থাকে, সেই ম্যালওয়্যারটি ভিজিটরের কম্পিউটারে প্রবেশ করে। এবার ওই ম্যালওয়্যারগুলো অগণিত উপায়ে হ্যাকারকে টাকা ইনকাম করার সুযোগ করে দেয়।
তথ্যসূত্র : দ্য ভার্জ