বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ফ্যাশন

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ফ্যাশন

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির পছন্দের পোশাকের মধ্যে রয়েছে গাউন। এটি মাটি পর্যন্ত লম্বা। এর পাশাপাশি তিনি রুপালি রঙের সিল্কের লম্বা আল্ট্রা ফ্লাটারিং পোশাক পরে থাকেন। শিমারিং এলাই সাব ব্র্যান্ডের গোল্ড গাউন তার পছন্দের। এ ছাড়া তিনি পার্টিতে পরে থাকেন সাদা রঙের মিডি টাইপ পোশাক। এন অ্যাটেলিয়ার হাইশাইন ব্র্যান্ডের স্ট্যাপ্লেস গাউন তার পছন্দের।

অভিনেত্রী, মমতাময়ী মা এবং সমাজসেবক, সব চরিত্রে পারদর্শী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিন দশক ধরে হলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি মাতিয়েছেন। হলিউড সিনেমায় তার অভিনয়, বাচনভঙ্গি এবং হাসি জয় করে নিয়েছে বিশ্বের কোটি ভক্তের মন। চলচ্চিত্র, অস্কারের রেড কার্পেট এবং এর মধ্যকার সব কিছুতে জোলি রকমফের মেকআপ এবং চুলের শৈলীর আধিক্যের চেষ্টা করেছেন। জোলি সুপার অ্যান্ড্রোজিনাস বা আল্ট্রা-গ্ল্যামারাস যাই হোক না কেন, তার লাইফস্টাইল এবং ফ্যাশন অনুসরণ করেন বিশ্বের অনেক তরুণী। হলিউডের এই অভিনেত্রীর লাইফস্টাইল নিয়েই এই আয়োজন...

পুরো নাম অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভয়েট। লাস্যময়ী এই সুন্দরী, হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জন ভয়েটের মেয়ে। মা শের্লিন বার্ট্রান্ডও ছিলেন একজন পেশাদার অভিনেত্রী। জোলির রূপলাবণ্য ছোটবেলা থেকেই স্পষ্ট ছিল। বেভ্যারি হাইস্কুলে পাড়াশোনাকালীন স্কুলের সবার কাছে ফ্যাশন আইকনে পরিণত হন জোলি। ১৯৮৬ সালে যখন তার বয়স ১১ বছর; বাবার সফঙ্গ ফিল্মফেয়ারে যোগ দিয়েছিলেন। তখন থেকে ফিল্মি জগতে নজর কাড়েন ছোট্ট জোলি। সে বছরই মায়ের সঙ্গে লস অ্যাঞ্জেলেসে ফিরে আসেন। এখানে এসেই অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন এবং লি স্ট্রাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইনস্টিটিউটে যোগ দেন। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

ফ্যাশন মডেল হিসেবে ১৪ বছর বয়সে জোলির পেশাজীবন শুরু। এরপর ১৯৮২ সালে লুকিন টু গেট আউট চলচ্চিত্রে বাবা জন ভয়েটের সঙ্গে শিশু চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে জোলির আবির্ভাব। থিয়েটার প্রোডাকশনে অভিনয় করার পাশাপাশি মডেলিং এবং মিউজিক ভিডিওতে নিয়মিত মুখ হিসেবে পরিচিতি পান জোলি। ১৯৯৩ সাল থেকে চলচ্চিত্রজীবনে তার পদচারণা শুরু। তবে পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে স্বল্প বাজেটের ছবি সাইবর্গ ২ (১৯৯৩)-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। তার অভিনীত প্রথম বড় মাপের ছবি হ্যাকারস (১৯৯৫)। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার ঝুলিতে আসে একের পর এক সাফল্য। অর্জন করেন ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার। তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার একাডেমি পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার লাভ করেন। ফিল্মের বাইরে ২০০১ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছা দূত মনোনীত হন।

১৯৯৮ সালে এক অনুষ্ঠানে আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন জোলি। তখন ক্যামেরার সামনে হাজির হন চোখের পাতায় নীল আইশ্যাডো এবং ঠোঁটে গ্লসি লিপ লাইনার দিয়ে, যা আগত অতিথিসহ টেলিভিশনের দর্শকদের নজর কাড়ে। সে বছরই প্রথম গোল্ডেন গ্লোব পান জোলি। পরের বছরও গিয়ায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য দ্বিতীয় গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে জোলি আমেরিকার সুপার মডেলে পরিণত হন। সে সময় তিনি গুটিকয়েক প্রসাধনী কোম্পানির মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে জোলি ঠোঁট আর চোখের সাজে কোটি কোটি ভক্তের নজর কেড়েছিলেন। তখন থেকে পাতলা ভ্রুর সাজে ক্যামেরায় নিজেকে উপস্থাপন করেন আমেরিকান এই তারকা। গোল্ডেন গ্লোবের জন্য হলিউডের এই নায়িকা নানা সাজে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। ২০০৭ সালের অস্কারের লাল কার্পেটে তাকে ভিন্ন সাজে দেখা যায়। সেবার পনিটেইল হেয়ারস্টাইল এবং বাউফ্যান্ট লুকে অস্কার মাতিয়েছেন। জোলির হেয়ার এক্সপার্ট টেড গিবসন বলেন, ‘অ্যাঞ্জেলিনা তার চুল তার মুখ থেকে দূরে রাখতে পছন্দ করেন।’ জোলির সবচেয়ে সহজ এবং রূপান্তরকারী মেকআপ হলো লাল ঠোঁট। লাল লিপস্টিক তার ঠোঁটকে পূর্ণতা দেয়। তিনি তার ঠোঁট কোমল রাখার জন্য তাতে ব্লিস্টেক্স ব্র্যান্ডের লিপ বাম ব্যবহার করেন। সাজানো ভ্রু, সূক্ষ্ম আইশ্যাডো এবং ভাস্কর্যযুক্ত গালের হাড় দিয়ে মুখের বাকি অংশটুকুকে আবেদনময়ী করে তোলেন। জোলির মেকআপ আর্টিস্ট বলেন, ‘জোলির ঠোঁট আর মুখ জন্মগতভাবেই অসম্ভব সুন্দর এবং আবেদনময়ী।’ অ্যাঞ্জেলিনা জোলির চুলের রং সোনালি। হেয়ার এক্সপার্ট টেড গিবসন বলেন, ‘আমি সাধারণত জোলির চুলে বেশি কালার করি না। জোলি তার চুলকে ন্যাচারাল রাখতে পছন্দ করেন। এটি তাকে আরও বেশি আবেদনময়ী করে তুলতে সাহায্য করে।’ জোলির এক অদ্ভুত শখ আছে। তা হলো বিভিন্ন ধরনের ছুরি সংগ্রহ আর তার সঙ্গে প্রথম এডিশনাল বই।

তার পছন্দের পোশাকের মধ্যে রয়েছে গাউন। এটি মাটি পর্যন্ত লম্বা। এর পাশাপাশি তিনি রুপালি রঙের সিল্কের লম্বা আল্ট্রা ফ্লাটারিং পোশাক পরে থাকেন। শিমারিং এলাই সাব ব্র্যান্ডের গোল্ড গাউন তার পছন্দের। এ ছাড়া তিনি পার্টিতে পরে থাকেন সাদা রঙের মিডি টাইপ পোশাক। এন অ্যাটেলিয়ার হাই শাইন ব্র্যান্ডের স্ট্যাপ্লেস গাউন তার পছন্দের। ব্লাক ভার্সের পোশাক তার খুব পছন্দ। এটি পিঠের পেছনের দিকটা ফাঁকা এবং সামনে থেকে লম্বা হয়ে পুরো শরীর ঢাকা থাকে।

লিখেছেন : ফেরদৌস আরা

সর্বশেষ খবর