বড়দের রূপরুটিন টিনএজারদের জন্য উপযুক্ত নয় কেন? এর প্রধান কারণ হলো- পরিণত ত্বক থেকে টিনএজদের ত্বক অনেকটাই আলাদা। এমনিতে ডেভেলপড হলেও, টিনএজদের ত্বক অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়। তাই টিনএজারদের ত্বক ভালো রাখতে অল্প বয়স থেকেই সঠিক নিয়মে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত।
হেলদি হ্যাবিটস :
♦ মুখ পরিষ্কারের জন্য সবসময় মাইল্ড ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। সাবান ভুলেও ব্যবহার করবেন না। এতে পোরস বন্ধ হয়ে অ্যাকনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। যদি ত্বক তৈলাক্ত, মিশ্র বা স্বাভাবিক প্রকৃতির হয়, তাহলে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি ভালো।
♦ সকালে ও রাতে জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার (তৈলাক্ত ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য) বা ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার (শুষ্ক ত্বকের জন্য) ব্যবহার করুন। দিনের বেলাও সানস্ক্রিন মাস্ট। ব্রড স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন রয়েছে (এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি), এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ত্বক সেনসিটিভ হলে সুগন্ধ নেই- এমন লোশন ব্যবহার করুন।
♦ সপ্তাহে একবার স্ক্রাবিং করুন। স্ক্রাবিং করার সময় ত্বকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। এ ক্ষেত্রে ক্লে বেসড স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া হোমমেড স্ক্রাব, যেমন লেবু, মধু ও চিনির মিশ্রণ (তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বক) বা ওটমিলের সঙ্গে মধু ও দুধ মিশিয়ে (শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বক) স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
♦ মুখের পাশাপাশি নিয়ম করে ঠোঁটেরও যত্ন নিন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে নারিশিং লিপবাম লাগান। মাসে অন্তত একবার লিপ স্ক্রাবিং করতে পারেন। নরম টুথব্রাশে অল্প ক্রিম নিয়ে ঠোঁট ভিজে থাকা অবস্থায় সার্কুলার মোশনে ঘষে নিন। এক মিনিট ঘষে নরম টিসু দিয়ে মুছে লিপবাম লাগান।
♦ বয়ঃসন্ধির সময় থেকে হাতেরও যত্ন নিতে হবে। সকালে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করার পর এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে হ্যান্ড ক্রিম লাগালে হাত নরম এবং উজ্জ্বল থাকবে।
♦ টাটকা ফল, শাকসবজি খান বেশি করে। অতিরিক্ত তেল এবং চিনি এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের খাবার শুধু শরীর নয়, ত্বকেরও বহুল ক্ষতি করে। এ ছাড়া গুড ফ্যাট রয়েছে যেমন স্যামন, অ্যাভোকাডো, বাদাম বেশি খান।
♦ রাতে শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ত্বকের যত্ন নিন। কারণ এই সময়ই ত্বকের বিশ্রামের সময়। ঘুমানোর আগে ত্বককে যা দেবেন, তা-ই অ্যাবসর্ব করবে। তাই ত্বক যেন পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজ থাকে, তা খেয়াল রাখুন।
তথসূত্র : হলা হেলথ