সারা বছর যেমন তেমন; শীতকাল এলে ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায়। তাই তো শীতে ত্বকের যত্নে বাড়তি সময় দিতে হয়। এ সময় ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক ও রুক্ষ। এই শুষ্কতা কমানোর জন্য নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। বাজারে তৈলাক্ত, শুষ্ক ও মিশ্র ত্বকের জন্য আলাদা আলাদা ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। এর মধ্যে পেট্রোলিয়াম জেলি, তিব্বত পমেড আর ভ্যাসলিনের কথা প্রায় সবারই জানা।
দেশের সবচেয়ে পুরনো প্রসাধনী কোম্পানি কোহিনূর কেমিক্যাল। ১৯৫৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোহিনূর কেমিক্যালের এমন পণ্য একাধিক। সেগুলো হলো তিব্বত পমেড, তিব্বত স্নো, স্যান্ডালিনা স্যান্ডাল সোপ। ৬৮ বছর ধরে টিকে থাকার অন্যতম কারণ, তারা সব সময় ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মানসম্মত পণ্য বাজারজাত করে থাকে।
এর মধ্যে তিব্বত পমেড খুব কার্যকরী। এটি ত্বককে সুরক্ষিত রাখে এবং শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু পেট্রোলিয়ামের উপজাত পণ্যের প্রসাধনী হওয়ায় অনেকেই এর ব্যবহার নিয়ে শঙ্কায় থাকেন। তবে ক্যালফোর্নিয়ার ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. সান্ড্রা লি বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম জাতীয় প্রসাধনীগুলো পরিশোধিত এবং নিরাপদ, বিশেষত শুষ্ক ত্বকের জন্য।’ ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, ‘এটা ত্বকে বাইরের বাতাস প্রবেশে বাধা দেয়। ফলে আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে না।’
শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। এমন সময়ে পমেড একটি কার্যকরী সমাধান হতে পারে। ঠোঁট ফাটা, রুক্ষ ঠোঁট, অ্যালার্জি, মুখের দাগ দূর করতেও এর জুড়ি নেই। শুষ্ক ত্বকের জন্য পা ফাটা, পায়ের গোড়ালি ফাটা, হাঁটুতে ফেটে যাওয়া, হাতের কনুই ফেটে যাওয়া ইত্যাদি নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। ব্রণ, মেছতা দাগ কমাতে পমেড বেশ উপকারী। পমেডে থাকা তেল যেমন : কোকোনাট অয়েল, জোজোবা অয়েল ও অলিভ অয়েল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে। ফলে ত্বক একদিকে যেমন মসৃণ হয়, তেমনি ত্বকের বয়সজনিত পরিবর্তনও প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া, এতে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের র্যাশ, বলিরেখা বা শুষ্কতার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ত্বকের মসৃণতা ফেরাতে পমেড দারুণ। ত্বকের যত্নে পমেড ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি হলো, গোসল বা মুখ ধোয়ার পর ত্বকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করা। এটি ত্বকে আর্দ্রতা বাড়ায় এবং একাধিক উপকারিতা দেয়। এ ছাড়া, পমেডে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ত্বকের ক্ষত এবং পোড়া স্থানগুলোকেও দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।