শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬

একজন আমজাদ খান চৌধুরী

প্রাণ ছড়ালেন সারা বিশ্বে

সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তার কাছে জীবন মানেই ছিল নিয়মানুবর্তিতা, সততা ও কর্মব্যস্ততা। পরিবারের কাছে তিনি ছিলেন ‘ভীষণ রাগী, কিন্তু সাদামাটা’। আর ব্যবসায়ী হিসেবে সহকর্মীদের কাছে স্বপ্নদ্রষ্টা, দূরদর্শী এক মানুষ। সারা বিশ্বে প্রাণ ছড়িয়েছেন তিনি। হাসি ফুটিয়েছেন লাখ লাখ মানুষের মুখে। বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য পৌঁছে দিয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। তিনি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী। গেল বছর ৮ জুলাই এ মানুষটি চিরনিদ্রায় শায়িত হলেও ঠিক যেন আগের মতোই মিশে আছেন নিজ পরিবার-পরিজন ও সহকর্মীদের কাছে। তার দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। বিশাল প্রাণভাণ্ডার ঘুরে সেই বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীকে নিয়ে লিখেছেন— লাকমিনা জেসমিন সোমা
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
প্রাণ ছড়ালেন সারা বিশ্বে

এক নজরে জন্ম শিক্ষা ও কর্মজীবন

আমজাদ খান চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেছিলেন উত্তরবঙ্গের নাটোর জেলায় সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে। জন্ম ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর। বাবা ছিলেন আলী কাশেম খান চৌধুরী এবং মা আমাতুর রহমান। আমজাদ খান চৌধুরী তার শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটে। গ্রাজুয়েশন করেছেন পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি এবং অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে। কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৬৫ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর দেশ স্বাধীনের আরও ১০ বছর পর ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি। আমজাদ খান চৌধুরীর স্ত্রী সাবিহা আমজাদ। তাদের চার সন্তান। তারা হলেন— আজার খান চৌধুরী, আহসান খান চৌধুরী, ডা. সেরা হক এবং উজমা চৌধুরী। এর মধ্যে আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং উজমা চৌধুরী গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট অ্যান্ড ফিন্যান্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সেনা কর্মকর্তা থেকে ব্যবসায়ী

২৫ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন আমজাদ খান চৌধুরী। এরপর যথারীতি অবসর। কিন্তু অবসরে গিয়েও অবসরে থাকতে পারেননি তিনি। কাজপাগল এ মানুষটি একেবারেই বসে থাকার পাত্র ছিলেন না। তাই শেষ জীবনে এসেও কিছু একটা করতে চাইলেন। শুধু নিজের জন্য নয়, এ দেশের জন্য। দেশের মানুষের জন্য। আর সেটি করার জন্য নিজের কাছে সম্বল বলতে ছিল কেবল পেনশনের টাকা ও অর্জিত অভিজ্ঞতা। তিনি মনে করতেন, বসে বসে খেলে রাজার ধনও ফুরিয়ে যায়। আর সে কারণেই পেনশনের টাকাটা কাজে লাগাতে চাইলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন এবার ব্যবসায় নামবেন। কিন্তু তাতে দেশের মানুষের কী আসে যায়? তাদের কল্যাণে কী করা যায়? আরও ভাবলেন এ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। এবার একটি পথ বের করলেন। মনে মনে ঠিক করলেন, যেহেতু আমাদের দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজে সম্পৃক্ত, সুতরাং এ কৃষি নিয়েই কিছু একটা করবেন। দূরদর্শী এ ব্যবসায়ী বুঝতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশের কৃষি খাতের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে সম্ভাবনার বীজ। সঠিক ও ফলপ্রসূ পরিচর্যা পেলেই সেখানে জেগে উঠবে প্রাণ। তৈরি হবে কর্মসংস্থান। ঘটবে কৃষিবিপ্লব। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য।

শুরু করে দিলেন কাজ। স্বপ্নের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে প্রথমেই যাকে পাশে পেলেন, তিনি তার স্ত্রী-সাবিহা আমজাদ। স্বামীর হাতে নিজের পৈতৃক সম্পত্তির কাগজ তুলে দিলেন সাবিহা। সেটি নিয়ে ব্যাংকে ছুটলেন আমজাদ চৌধুরী। সম্পত্তি গচ্ছিত রেখে কিছু টাকা পেলেন। তার সঙ্গে পেনশনের টাকাটা যুক্ত করলেন। ব্যস, শুরু হলো স্বপ্নের যাত্রা। বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ নির্মাণের উদ্দেশ্যে ১৯৮১ সালে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের (আরএফএল) মাধ্যমে শুরু করলেন মূল ব্যবসা কার্যক্রম। প্রথমে অকশনের কিছু মেশিনপত্র কিনলেন, যা দিয়ে হালকা কৃষি উপকরণ তৈরি করা যেত। এরপর প্রাকৃতিক কৃষিনির্ভর উত্তরাঞ্চলের মানুষকে সেচ সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবলেন। তাদের জন্য সরবরাহ করতে চাইলেন বিশুদ্ধ পানি। প্রথমবারের মতো বাজারে আনলেন আরএফএল গ্রুপের সবচেয়ে সাড়া ফেলানো পণ্য— আরএফএল পাম্প বা সেচযন্ত্র। মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল বহুল প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপন— ‘যতই চাপাচাপি কর কোনো লাভ নেই’। মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ল আরএফএলের দিকে। একের পর এক বাজারে এলো তার কোম্পানির খাদ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য। আর এভাবেই সেনা কর্মকর্তা থেকে এবার ব্যবসায়ী হিসেবে সাফল্যের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চললেন আমজাদ খান চৌধুরী।

দেশে-বিদেশে প্রাণ

প্রথমবারের মতো ব্যবসায় এসে সফল হতে লাগলেন আমজাদ খান চৌধুরী। কৃষকের মুখে হাসি দেখে তৃপ্তি পেলেন। ক্রমশই ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে লাগলেন। তার কাছে এটি অনেকটা নেশার মতো মনে হলো। কৃষি উপকরণের পাশাপাশি এবার কৃষিপণ্য উত্পাদন করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবতে লাগলেন। প্রথমে তিনি কলা, পেঁপে আর রজনীগন্ধা চাষ শুরু করলেন। আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে এসব চাষ করে ভালো ফলন পেলেন। তাই বছর শেষে সেগুলো সংরক্ষণ করতে চাইলেন। কিন্তু কীভাবে? নিজস্ব হিমাগার বা তেমন কোনো সুবিধাই তখন ছিল না। নিজেকে দিয়ে কৃষকদের সমস্যাটিও বুঝলেন। অর্থাৎ, মৌসুম শেষে সংরক্ষণ করতে না পারায় অল্প দামেই ফসল বিক্রি করে দেন আমাদের দেশের কৃষক। এ কারণেই সারা বছর হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে না। এ সমস্যার সমাধান বের করলেন আমজাদ খান। কেবল হিমাগারে রেখে সংরক্ষণ নয়, বরং উত্পাদিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে আরও বেশি লাভবান হওয়ার ফর্মুলা বের করলেন তিনি। বিদেশ থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে এলেন। অভিজ্ঞ লোকদের এনে কাজে লাগালেন। ফ্যাক্টরি বানালেন। অতঃপর যাত্রা শুরু করল খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণ’। গুণগত মানের কারণেই দেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়ল ‘প্রাণ’-এর খাদ্যপণ্য। চোখের পলকে বাড়তে থাকল আমজাদ খান চৌধুরীর ব্যবসার পরিধি। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বজয়ের দিকে ছুটল ‘প্রাণ’। ১৯৯৬ সালে ফ্রান্সে প্রাণের পণ্য রপ্তানির মধ্য দিয়ে শুরু হলো কোম্পানির রপ্তানি কার্যক্রম। এরপর একে একে বিশ্বের অন্তত ১২৩টি দেশে প্রাণ ছড়িয়ে দিলেন আমজাদ খান চৌধুরী। বিশ্ববাজারে স্বীকৃতিও পেলেন। কেননা, বিশ্বের এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন নেই, কিন্তু প্রাণের পণ্য আছে। ওইসব দেশে প্রাণ গ্রুপ বাংলাদেশের পতাকা বহন করছে। এ দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে। আফ্রিকা মহাদেশ ছাড়াও এশিয়া, সার্কভুক্ত দেশ, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন মহাদেশে প্রাণের পণ্য ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন স্বপ্নদ্রষ্টা আমজাদ খান চৌধুরী।

২০০০ সালে তার কোম্পানি প্রথম আইএসও সনদ লাভ করে। এরপর ক্রমান্বয়ে আইএমএস (ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম), আইএসও ৯০০১:২০০৮, আইএসও ২২০০০:২০০৫-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সনদ পেলেন তারা। রপ্তানি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে পর পর ১০ বছর জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জন করল ‘প্রাণ’। বর্তমানে দেশজুড়ে তার কোম্পানির ১৩টি অত্যাধুনিক ফ্যাক্টরি রয়েছে। কেবল প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য নয়, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্লাস্টিক হাউসহোল্ড, কাস্ট আয়রন, পিভিসি ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার রকমের পণ্য রয়েছে বাজারে। এ কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন প্রায় ৭৮ হাজার লোক। চুক্তিভিত্তিক কৃষক ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন লক্ষাধিক। এ ছাড়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ওপর অন্তত ১০ লাখ  মানুষ নির্ভরশীল। আর এভাবেই দেশের কর্মসংস্থানে বিপ্লব ঘটিয়েছেন দূরদর্শী ব্যবসায়ী আমজাদ খান।

মেয়ের চোখে বাবা

‘বাবা ছিলেন ভীষণ রাগী। কিন্তু বন্ধুর মতো। আর সহকর্মী হিসেবেও অসাধারণ। কীভাবে একটি টিম পরিচালনা করতে হয় সেনাবাহিনীতে থেকে সেটি খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করেছিলেন বাবা’— অফিসে কাজের ফাঁকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে বাবাকে নিয়ে এমনটিই বলছিলেন আমজাদ খান চৌধুরীর মেয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের করপোরেট ফিন্যান্স ডিরেক্টর উজমা চৌধুরী। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাবার জোরাজুরিতে তার কোম্পানিতে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। আর সেই সুবাদেই বাবাকে কেবল বাবা হিসেবে নয়, পেয়েছেন বন্ধু হিসেবে, সহকর্মী হিসেবে, আবার কখনোবা দলনেতা হিসেবে। যদিও উজমা চৌধুরীর ভাষায়— ‘সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাবাকে বন্ধু হিসেবেই বেশি পেয়েছি।’ আপনার বাবার পছন্দের কিছু..., প্রশ্ন শেষ না করতেই চোখ দিয়ে মুখের কথা কেড়ে নিলেন উজমা চৌধুরী। হঠাৎ কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন। কিছু একটা লিখছিলেন, থেমে গেলেন। হাতের কাগজপত্র রেখে কয়েক সেকেন্ড উদাস তাকিয়ে থাকলেন। চশমার কাচের ভিতর ছলছলে চোখ। বললেন, ‘বাবা খুব খেতে পছন্দ করতেন। কিন্তু শেষের দিকে এমন হলো যে— তার পানিটুকুও মেপে খেতে হতো।’ হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন উজমা চৌধুরী। বললেন, ‘আজও প্রায়ই সন্ধ্যায় মনে হয় এই বুঝি বাবা কল করবে। এই বুঝি বাবা বলবে, আব্বুজী খেতে যাবি?’ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে একজন রাশভারী মানুষের খোলস পরে থাকলেও আমজাদ খান ভিতরে ভিতরে বেশ নরম প্রকৃতির সাদামাটা মানুষ ছিলেন, জানালেন তার মেয়ে। বাবাকে নিয়ে নিজের ছোটবেলার অনেক ঘটনাই তুলে ধরলেন। ‘একবার বাবাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হচ্ছিল। এমন সময় আমি বাবা-বাবা করে ডাকতে থাকলাম। সবাই তো অবাক! আমার দিকে নজর! আমার বয়স তখন ছয় কী সাত বছর।’ আমজাদ খানের মৃত্যুর পর কোম্পানিতে নেতৃত্বের সংকট বোধ হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাবা সবকিছু গুছিয়ে রেখে গেছেন। সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। সংক্রিয়ভাবে আমাদের মাঝে একটি সিস্টেম দাঁড় করিয়ে গেছেন, যে সিস্টেম কখনোই ভাঙার নয়। দায়িত্ব হয়তো কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু বাবার দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনা এবং সেই সিস্টেমের কারণে আজও কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। সবকিছুই ঠিকঠাক আগের নিয়মেই চলছে।’

সাদামাটা অনন্য এক মানুষ

‘নিজ অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে লিফটে উঠতেন। দুপুরে ক্যান্টিনে বসেই সবার সঙ্গে কমন খাবার খেতেন। বিশিষ্ট শিল্পপতি হয়েও অন্য স্টাফদের মতো নিজেও একটি সাধারণ গাড়ি ব্যবহার করতেন।’ আমজাদ খান চৌধুরী সম্পর্কে তার নিজ অফিসের সহকর্মীরা এমনটিই বললেন। মেয়ে উজমা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ভাইবোনেরা বড় হয়ে যাওয়ার পরে যে যার মতো দেশে-বিদেশে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। কিন্তু, বাবার একটাই আবদার ছিল, অন্তত বছরে একবার যেন সবাই এক জায়গায় মিলিত হই। বাবার কথামতো আমরাও তাই করতাম। এমনও হয়েছে বাবার কথা রাখতে গিয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে এসেছি। পরিবারের সবাই একত্র হলে আমাদের সুখের সীমা থাকত না। সবাই মিলে বাইরে খেতে যেতাম। একসঙ্গে গল্প-গুজব করতাম। স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো।’

আমজাদ খান চৌধুরীর ঢাকা বাড়িতে এখন সুনসান নীরবতা। বলতে গেলে তার স্ত্রী সাবিহা আমজাদ একাই থাকেন। কীভাবে সময় কাটান? মেয়ে উজমার কাছে তার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করতেই নীরব হয়ে গেলেন তিনি। তারপর কান্না জড়ানো কণ্ঠে অসহায়ের মতো বললেন, ‘জানি না’।

আমজাদ খান চৌধুরী যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সহযোগিতা নিতেন। বিশেষ করে যেখানে বুদ্ধি ও জ্ঞানচর্চার বিষয় আছে, সে সব জায়গাতে স্ত্রীর মতামতকে গুরুত্ব দিতেন। উজমা চৌধুরী বলেন, বাবা সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায়ও নিজের পেশাগত বিভিন্ন ব্যাপারে মায়ের কাছে পরামর্শ চাইতেন।

আমজাদ খান চৌধুরীর সফলতার চার মন্ত্র

আমজাদ খান চৌধুরীর সান্নিধ্যে থেকে প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করেছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বর্তমান পরিচালক (মার্কেটিং) কামরুজ্জামান কামাল। তিনি জানান, আমজাদ খান চৌধুরী তার ব্যবসা ক্ষেত্রে চারটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মেনে চলতেন। আর তা হলো— প্রথমত, ডিসিপ্লিন। তিনি সব ব্যাপারে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেন। সময়ের ব্যাপারে ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। সহকর্মীদের ভাষায়— তার কাছে ১০টা মানে ১০টা-ই ছিল; ৯টা ৫৯ কিংবা ১০টা ১ মিনিট নয়। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে তিনি এসওপি (সোপ) বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুসরণ করতেন। তৃতীয়ত, ট্রেনিং অ্যান্ড কোচিং। যাত্রা শুরুর প্রথম থেকেই আমজাদ খান কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি মনে করতেন এই দেশে জনগণের অভাব নেই। কিন্তু জনসম্পদের অভাব আছে। তাই তিনি মানুষকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে প্রশিক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতেন। চতুর্থত, ডেলিগেশন অ্যান্ড সুপারভিশন। লোকজনকে দিয়ে কাজ আদায় করে নেওয়ার বিশেষ দক্ষতা ছিল আমজাদ খান চৌধুরীর। তিনি সরাসরি তার কোম্পানিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ বা ক্ষমতার চর্চা করতেন না। বরং সবাইকে দায়-দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে পেছন থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতেন। ভবিষ্যতে তার অনুপস্থিতিতে যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই একটি সিস্টেমের মধ্য দিয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এগিয়ে যেতে পারে, সে জন্যই তিনি এই কৌশল ও মূল্যবোধ পোষণ করতেন।

আমজাদ খান চৌধুরী মনে করতেন নেতৃত্ব ভালো হলেই সেখানে সফলতা আসে। আর এর জন্য চাই কঠোর পরিশ্রম ও সময়মতো কাজ করার অঙ্গীকার। তিনি বলতেন, মানুষের জীবনে সময় অত্যন্ত সীমিত। এই সীমিত সময়ে আপনি যদি সফলতা অর্জন করতে চান, তবে সময়মতো কাজ সম্পাদনের বিকল্প নেই। আর ব্যবসার ক্ষেত্রে গুড টিম ওয়ার্ক, ক্লায়েন্ট স্যাটিসফেকশন ও জব স্যাটিসফেকশনের কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না।

ভালোবাসতেন নদীর গান

‘অবসর সময়ে বাবা গান শুনতে ভালোবাসতেন... নদীর গান’— বললেন আমজাদ খান চৌধুরীর মেয়ে উজমা খান। তার পরিবার-পরিজন ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেল, অবসরে বই পড়ে সময় পার করতেন তিনি। নতুন কিছু জানার প্রতি তার ভীষণ আগ্রহ ছিল। ব্যবসা শুরুর পর এই আগ্রহ আরও বাড়তে থাকে। তখন সময় পেলেই তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বই ঘাঁটতেন। সেখান থেকে বিভিন্ন বিষয় শিখতেন এবং নোট করে রাখতেন। যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই তার স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করতেন। পরামর্শ নিতেন।

অন্যরকম সমাজসেবা

স্বতন্ত্র গুণে গুণান্বিত আমজাদ খান চৌধুরীর কাছে সমাজসেবার ধারণাটিও ছিল ভিন্ন। তিনি মনে করতেন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধাপীড়িত বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যদি একটি পরিবারেও আলো ছড়াতে পারেন, তবে সেটিই সমাজসেবা। একজন কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে সেটিই তার সার্থকতা। আর সে কারণেই লক্ষাধিক মানুষের বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশকে কাজের সন্ধান দিয়ে জীবনের আলো ফুটিয়েছেন তিনি। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে ৮০ শতাংশেরও বেশি নারীকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রেও সহায়তা দিয়েছেন আমজাদ খান চৌধুরী। ইতিমধ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল ও হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে দুটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে। ঘোড়াশাল উচ্চবিদ্যালয়ের সার্বিক পরিচালনাসহ বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিফিন দিচ্ছে প্রাণ। গাজীপুর জেলায় কোম্পানির পক্ষ থেকে স্কুল ভবন তৈরি এবং মসজিদ ও শ্মশানঘাট স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাবীদের বৃত্তি দিচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এ ছাড়া ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে খামারিদের পশুপালনবিষয়ক প্রশিক্ষণ, পশু চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ, রোগ প্রতিষেধক টিকাদান, কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থা, গবাদিপশুর জন্য উপযুক্ত খাবার সরবরাহ, দুগ্ধখামারিদের সুসংহত করে আর্থিক সহায়তা করাসহ আরও অনেক সেবা কার্যক্রম চালু করে গেছেন আমজাদ খান চৌধুরী।

তিনি উত্তরাঞ্চলের মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ তিনি নেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে প্রাণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণকাজ। এটি চালু হলে উত্তরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটবে বলে মনে করছেন ওই অঞ্চলের মানুষ।

সহকর্মীদের সঙ্গে শেষ জন্মদিন

কোম্পানিকে নিজের পরিবারের মতোই মনে করতেন আমজাদ খান চৌধুরী। স্বল্পভাষী ও রাশভারী মানুষ হলেও অফিসের কর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অন্যরকম। সে কারণেই হয়তো জীবনের শেষ জন্মদিন পালন করেছিলেন সেই সহকর্মীদের সঙ্গেই। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, সাধারণত জন্মদিনে তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাতেন। কিন্তু সেবার আমাদের ডাকলেন। আমরাই ওনার জন্মদিন উদযাপন করলাম। তিনি আরও বলেন, ‘আমজাদ খান চৌধুরীর ধ্যান-জ্ঞান এবং স্বপ্ন ছিল ব্যবসা। আমাদের প্রতি তিনি বেশ কেয়ারিং ছিলেন। আজ তিনি নেই। আমরা তাকে অনেক মিস করি। সেই সঙ্গে এটিও ফিল করি যে, তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন। তা না হলে সবকিছু এত ঠিকঠাক চলছে কীভাবে?’

শেষ পরামর্শ

মৃত্যুর আগে প্রায় ৪০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কালজয়ী এই ব্যবসায়ী। সারা জীবন নিয়ম মেনে চলা এই সফল মানুষটি যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই সিস্টেম মেনে চলতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ছোট-বড় যে কোনো টিমে সফলভাবে কাজ করতে চাইলে সবচেয়ে যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, ‘ইউনিটি’ বা ঐক্যতা। তাই পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিকেল হসপিটালে পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে পেয়েছিলেন তখনো তাদের একটি কথাই বলেছিলেন। আর তা হলো— ‘ইউনিটি’। পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য সবখানে নিজেদের মধ্যে ঐক্যতা ধরে রাখার পরামর্শ দিয়ে যান আমজাদ খান চৌধুরী।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
সর্বশেষ খবর
লাকসামে সঙ্গীত একাডেমীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
লাকসামে সঙ্গীত একাডেমীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে অস্ত্রসহ আটক ২
বরিশালে অস্ত্রসহ আটক ২

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ট্রাকচাপায় চালক নিহত
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় চালক নিহত

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে গণপিটুনিতে একজন নিহত
টাঙ্গাইলে গণপিটুনিতে একজন নিহত

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নেত্রকোনায় ৫ শতাধিক মন্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজন
নেত্রকোনায় ৫ শতাধিক মন্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজন

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশেষ অভিযানে আরও ১৮৪৯ জন গ্রেফতার
বিশেষ অভিযানে আরও ১৮৪৯ জন গ্রেফতার

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বাগরাম বিমানঘাঁটি চান ট্রাম্প, যা বলল আফগান সরকার
বাগরাম বিমানঘাঁটি চান ট্রাম্প, যা বলল আফগান সরকার

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা জুলাই সনদ: অ্যাডভোকেট জুবায়ের
দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা জুলাই সনদ: অ্যাডভোকেট জুবায়ের

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জোহরান মামদানিকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার
জোহরান মামদানিকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রীপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা, আটক ৪
শ্রীপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা, আটক ৪

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নিপিড়ক মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে নির্যাতিত শিশুর বাবার মামলা
নিপিড়ক মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে নির্যাতিত শিশুর বাবার মামলা

৫৬ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কলাপাড়ায় সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত
কলাপাড়ায় সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যারা সমাজ বদলাতে চান, তাদেরকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে : মির্জা ফখরুল
যারা সমাজ বদলাতে চান, তাদেরকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে : মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে গিয়ে আটক, একই পরিবারের ৪ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ
ভারতে গিয়ে আটক, একই পরিবারের ৪ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে বন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি
কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে বন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাগেরহাটে ইয়াবাসহ নারী আটক
বাগেরহাটে ইয়াবাসহ নারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনাফে পান দোকানিকে গলা কেটে হত্যা
টেকনাফে পান দোকানিকে গলা কেটে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইফোন ১৭ কিনতে রণক্ষেত্র মুম্বাই!
আইফোন ১৭ কিনতে রণক্ষেত্র মুম্বাই!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবৈধভাবে হাতিশাবক রাখায় শ্রীলঙ্কায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধভাবে হাতিশাবক রাখায় শ্রীলঙ্কায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ রবিবার, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?
বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ রবিবার, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুরে এক সপ্তাহে তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস
রংপুরে এক সপ্তাহে তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৪৮
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৪৮

২ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

'জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে জনগণ সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করবে'
'জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে জনগণ সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করবে'

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হবিগঞ্জে ভারতীয় পণ্যসহ আটক ১
হবিগঞ্জে ভারতীয় পণ্যসহ আটক ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি ফ্রি মিল খেয়ে অসুস্থ ৮০০ স্কুল শিক্ষার্থী
ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি ফ্রি মিল খেয়ে অসুস্থ ৮০০ স্কুল শিক্ষার্থী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ‘ইয়া আলী’ গানের গায়ক জুবিন গার্গ
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ‘ইয়া আলী’ গানের গায়ক জুবিন গার্গ

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মাদকবিরোধী ফুটবল ম্যাচ
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মাদকবিরোধী ফুটবল ম্যাচ

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু সুপার ফোর, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ সূচি
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু সুপার ফোর, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ সূচি

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মার্কিন পদক্ষেপে এবার গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দরের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে ভারত
মার্কিন পদক্ষেপে এবার গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দরের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে ভারত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সুপার ফোরের আগে বিদায় নিতে হবে কল্পনাও করিনি’
‘সুপার ফোরের আগে বিদায় নিতে হবে কল্পনাও করিনি’

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা সিটিকে ইসরায়েলি সেনাদের গোরস্থান বানানোর হুমকি হামাসের
গাজা সিটিকে ইসরায়েলি সেনাদের গোরস্থান বানানোর হুমকি হামাসের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ন্যাটোর মতো’ চুক্তি, সৌদি গণমাধ্যমে উচ্ছ্বাস
পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ন্যাটোর মতো’ চুক্তি, সৌদি গণমাধ্যমে উচ্ছ্বাস

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিদেশি ঋণ ছাড়ালো ১১২ বিলিয়ন ডলার
বিদেশি ঋণ ছাড়ালো ১১২ বিলিয়ন ডলার

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অন্য দেশও যোগ দিতে পারবে: খাজা আসিফ
পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অন্য দেশও যোগ দিতে পারবে: খাজা আসিফ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যা বলল ভারত
সৌদি আরব ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যা বলল ভারত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় পুঁতে রাখা বোমায় উড়ে গেল ৪ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় পুঁতে রাখা বোমায় উড়ে গেল ৪ ইসরায়েলি সেনা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকে বহনকারী হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি, জরুরি অবতরণ
ট্রাম্পকে বহনকারী হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি, জরুরি অবতরণ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া থেকে এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত পেল ইউক্রেন
রাশিয়া থেকে এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত পেল ইউক্রেন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে হলে পিআর কার্যকরী পদক্ষেপ নয় : ডা. জাহিদ
গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে হলে পিআর কার্যকরী পদক্ষেপ নয় : ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউরোপে যাওয়ার নতুন সাগরপথ চালু করছে চীন?
ইউরোপে যাওয়ার নতুন সাগরপথ চালু করছে চীন?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হলেন তানজিয়া জামান মিথিলা
আবারও ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হলেন তানজিয়া জামান মিথিলা

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, এ নিয়ে ৬ বার
গাজায় নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, এ নিয়ে ৬ বার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে জীবিত কবর দেওয়া সেই নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক
ভারতে জীবিত কবর দেওয়া সেই নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল
আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ সেপ্টেম্বর)

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কাতার
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কাতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন
ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন

সম্পাদকীয়

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

নিউইয়র্কে প্রবাসী সমাবেশে ভাষণ দেবেন ইউনূস
নিউইয়র্কে প্রবাসী সমাবেশে ভাষণ দেবেন ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বামী-সন্তান হারানো সংগ্রামী বৃদ্ধার পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
স্বামী-সন্তান হারানো সংগ্রামী বৃদ্ধার পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগর জীবন

কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম
কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম

মাঠে ময়দানে

৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার জয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার জয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ‘চোর’
ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ‘চোর’

শোবিজ