শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬

একজন আমজাদ খান চৌধুরী

প্রাণ ছড়ালেন সারা বিশ্বে

সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তার কাছে জীবন মানেই ছিল নিয়মানুবর্তিতা, সততা ও কর্মব্যস্ততা। পরিবারের কাছে তিনি ছিলেন ‘ভীষণ রাগী, কিন্তু সাদামাটা’। আর ব্যবসায়ী হিসেবে সহকর্মীদের কাছে স্বপ্নদ্রষ্টা, দূরদর্শী এক মানুষ। সারা বিশ্বে প্রাণ ছড়িয়েছেন তিনি। হাসি ফুটিয়েছেন লাখ লাখ মানুষের মুখে। বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য পৌঁছে দিয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। তিনি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী। গেল বছর ৮ জুলাই এ মানুষটি চিরনিদ্রায় শায়িত হলেও ঠিক যেন আগের মতোই মিশে আছেন নিজ পরিবার-পরিজন ও সহকর্মীদের কাছে। তার দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। বিশাল প্রাণভাণ্ডার ঘুরে সেই বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীকে নিয়ে লিখেছেন— লাকমিনা জেসমিন সোমা
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
প্রাণ ছড়ালেন সারা বিশ্বে

এক নজরে জন্ম শিক্ষা ও কর্মজীবন

আমজাদ খান চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেছিলেন উত্তরবঙ্গের নাটোর জেলায় সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে। জন্ম ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর। বাবা ছিলেন আলী কাশেম খান চৌধুরী এবং মা আমাতুর রহমান। আমজাদ খান চৌধুরী তার শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটে। গ্রাজুয়েশন করেছেন পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি এবং অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে। কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৬৫ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর দেশ স্বাধীনের আরও ১০ বছর পর ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি। আমজাদ খান চৌধুরীর স্ত্রী সাবিহা আমজাদ। তাদের চার সন্তান। তারা হলেন— আজার খান চৌধুরী, আহসান খান চৌধুরী, ডা. সেরা হক এবং উজমা চৌধুরী। এর মধ্যে আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং উজমা চৌধুরী গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট অ্যান্ড ফিন্যান্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সেনা কর্মকর্তা থেকে ব্যবসায়ী

২৫ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন আমজাদ খান চৌধুরী। এরপর যথারীতি অবসর। কিন্তু অবসরে গিয়েও অবসরে থাকতে পারেননি তিনি। কাজপাগল এ মানুষটি একেবারেই বসে থাকার পাত্র ছিলেন না। তাই শেষ জীবনে এসেও কিছু একটা করতে চাইলেন। শুধু নিজের জন্য নয়, এ দেশের জন্য। দেশের মানুষের জন্য। আর সেটি করার জন্য নিজের কাছে সম্বল বলতে ছিল কেবল পেনশনের টাকা ও অর্জিত অভিজ্ঞতা। তিনি মনে করতেন, বসে বসে খেলে রাজার ধনও ফুরিয়ে যায়। আর সে কারণেই পেনশনের টাকাটা কাজে লাগাতে চাইলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন এবার ব্যবসায় নামবেন। কিন্তু তাতে দেশের মানুষের কী আসে যায়? তাদের কল্যাণে কী করা যায়? আরও ভাবলেন এ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। এবার একটি পথ বের করলেন। মনে মনে ঠিক করলেন, যেহেতু আমাদের দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজে সম্পৃক্ত, সুতরাং এ কৃষি নিয়েই কিছু একটা করবেন। দূরদর্শী এ ব্যবসায়ী বুঝতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশের কৃষি খাতের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে সম্ভাবনার বীজ। সঠিক ও ফলপ্রসূ পরিচর্যা পেলেই সেখানে জেগে উঠবে প্রাণ। তৈরি হবে কর্মসংস্থান। ঘটবে কৃষিবিপ্লব। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য।

শুরু করে দিলেন কাজ। স্বপ্নের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে প্রথমেই যাকে পাশে পেলেন, তিনি তার স্ত্রী-সাবিহা আমজাদ। স্বামীর হাতে নিজের পৈতৃক সম্পত্তির কাগজ তুলে দিলেন সাবিহা। সেটি নিয়ে ব্যাংকে ছুটলেন আমজাদ চৌধুরী। সম্পত্তি গচ্ছিত রেখে কিছু টাকা পেলেন। তার সঙ্গে পেনশনের টাকাটা যুক্ত করলেন। ব্যস, শুরু হলো স্বপ্নের যাত্রা। বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ নির্মাণের উদ্দেশ্যে ১৯৮১ সালে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের (আরএফএল) মাধ্যমে শুরু করলেন মূল ব্যবসা কার্যক্রম। প্রথমে অকশনের কিছু মেশিনপত্র কিনলেন, যা দিয়ে হালকা কৃষি উপকরণ তৈরি করা যেত। এরপর প্রাকৃতিক কৃষিনির্ভর উত্তরাঞ্চলের মানুষকে সেচ সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবলেন। তাদের জন্য সরবরাহ করতে চাইলেন বিশুদ্ধ পানি। প্রথমবারের মতো বাজারে আনলেন আরএফএল গ্রুপের সবচেয়ে সাড়া ফেলানো পণ্য— আরএফএল পাম্প বা সেচযন্ত্র। মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল বহুল প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপন— ‘যতই চাপাচাপি কর কোনো লাভ নেই’। মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ল আরএফএলের দিকে। একের পর এক বাজারে এলো তার কোম্পানির খাদ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য। আর এভাবেই সেনা কর্মকর্তা থেকে এবার ব্যবসায়ী হিসেবে সাফল্যের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চললেন আমজাদ খান চৌধুরী।

দেশে-বিদেশে প্রাণ

প্রথমবারের মতো ব্যবসায় এসে সফল হতে লাগলেন আমজাদ খান চৌধুরী। কৃষকের মুখে হাসি দেখে তৃপ্তি পেলেন। ক্রমশই ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে লাগলেন। তার কাছে এটি অনেকটা নেশার মতো মনে হলো। কৃষি উপকরণের পাশাপাশি এবার কৃষিপণ্য উত্পাদন করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবতে লাগলেন। প্রথমে তিনি কলা, পেঁপে আর রজনীগন্ধা চাষ শুরু করলেন। আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে এসব চাষ করে ভালো ফলন পেলেন। তাই বছর শেষে সেগুলো সংরক্ষণ করতে চাইলেন। কিন্তু কীভাবে? নিজস্ব হিমাগার বা তেমন কোনো সুবিধাই তখন ছিল না। নিজেকে দিয়ে কৃষকদের সমস্যাটিও বুঝলেন। অর্থাৎ, মৌসুম শেষে সংরক্ষণ করতে না পারায় অল্প দামেই ফসল বিক্রি করে দেন আমাদের দেশের কৃষক। এ কারণেই সারা বছর হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে না। এ সমস্যার সমাধান বের করলেন আমজাদ খান। কেবল হিমাগারে রেখে সংরক্ষণ নয়, বরং উত্পাদিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে আরও বেশি লাভবান হওয়ার ফর্মুলা বের করলেন তিনি। বিদেশ থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে এলেন। অভিজ্ঞ লোকদের এনে কাজে লাগালেন। ফ্যাক্টরি বানালেন। অতঃপর যাত্রা শুরু করল খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণ’। গুণগত মানের কারণেই দেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়ল ‘প্রাণ’-এর খাদ্যপণ্য। চোখের পলকে বাড়তে থাকল আমজাদ খান চৌধুরীর ব্যবসার পরিধি। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বজয়ের দিকে ছুটল ‘প্রাণ’। ১৯৯৬ সালে ফ্রান্সে প্রাণের পণ্য রপ্তানির মধ্য দিয়ে শুরু হলো কোম্পানির রপ্তানি কার্যক্রম। এরপর একে একে বিশ্বের অন্তত ১২৩টি দেশে প্রাণ ছড়িয়ে দিলেন আমজাদ খান চৌধুরী। বিশ্ববাজারে স্বীকৃতিও পেলেন। কেননা, বিশ্বের এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন নেই, কিন্তু প্রাণের পণ্য আছে। ওইসব দেশে প্রাণ গ্রুপ বাংলাদেশের পতাকা বহন করছে। এ দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে। আফ্রিকা মহাদেশ ছাড়াও এশিয়া, সার্কভুক্ত দেশ, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন মহাদেশে প্রাণের পণ্য ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন স্বপ্নদ্রষ্টা আমজাদ খান চৌধুরী।

২০০০ সালে তার কোম্পানি প্রথম আইএসও সনদ লাভ করে। এরপর ক্রমান্বয়ে আইএমএস (ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম), আইএসও ৯০০১:২০০৮, আইএসও ২২০০০:২০০৫-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সনদ পেলেন তারা। রপ্তানি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে পর পর ১০ বছর জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জন করল ‘প্রাণ’। বর্তমানে দেশজুড়ে তার কোম্পানির ১৩টি অত্যাধুনিক ফ্যাক্টরি রয়েছে। কেবল প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য নয়, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্লাস্টিক হাউসহোল্ড, কাস্ট আয়রন, পিভিসি ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার রকমের পণ্য রয়েছে বাজারে। এ কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন প্রায় ৭৮ হাজার লোক। চুক্তিভিত্তিক কৃষক ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন লক্ষাধিক। এ ছাড়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ওপর অন্তত ১০ লাখ  মানুষ নির্ভরশীল। আর এভাবেই দেশের কর্মসংস্থানে বিপ্লব ঘটিয়েছেন দূরদর্শী ব্যবসায়ী আমজাদ খান।

মেয়ের চোখে বাবা

‘বাবা ছিলেন ভীষণ রাগী। কিন্তু বন্ধুর মতো। আর সহকর্মী হিসেবেও অসাধারণ। কীভাবে একটি টিম পরিচালনা করতে হয় সেনাবাহিনীতে থেকে সেটি খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করেছিলেন বাবা’— অফিসে কাজের ফাঁকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে বাবাকে নিয়ে এমনটিই বলছিলেন আমজাদ খান চৌধুরীর মেয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের করপোরেট ফিন্যান্স ডিরেক্টর উজমা চৌধুরী। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাবার জোরাজুরিতে তার কোম্পানিতে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। আর সেই সুবাদেই বাবাকে কেবল বাবা হিসেবে নয়, পেয়েছেন বন্ধু হিসেবে, সহকর্মী হিসেবে, আবার কখনোবা দলনেতা হিসেবে। যদিও উজমা চৌধুরীর ভাষায়— ‘সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাবাকে বন্ধু হিসেবেই বেশি পেয়েছি।’ আপনার বাবার পছন্দের কিছু..., প্রশ্ন শেষ না করতেই চোখ দিয়ে মুখের কথা কেড়ে নিলেন উজমা চৌধুরী। হঠাৎ কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন। কিছু একটা লিখছিলেন, থেমে গেলেন। হাতের কাগজপত্র রেখে কয়েক সেকেন্ড উদাস তাকিয়ে থাকলেন। চশমার কাচের ভিতর ছলছলে চোখ। বললেন, ‘বাবা খুব খেতে পছন্দ করতেন। কিন্তু শেষের দিকে এমন হলো যে— তার পানিটুকুও মেপে খেতে হতো।’ হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন উজমা চৌধুরী। বললেন, ‘আজও প্রায়ই সন্ধ্যায় মনে হয় এই বুঝি বাবা কল করবে। এই বুঝি বাবা বলবে, আব্বুজী খেতে যাবি?’ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে একজন রাশভারী মানুষের খোলস পরে থাকলেও আমজাদ খান ভিতরে ভিতরে বেশ নরম প্রকৃতির সাদামাটা মানুষ ছিলেন, জানালেন তার মেয়ে। বাবাকে নিয়ে নিজের ছোটবেলার অনেক ঘটনাই তুলে ধরলেন। ‘একবার বাবাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হচ্ছিল। এমন সময় আমি বাবা-বাবা করে ডাকতে থাকলাম। সবাই তো অবাক! আমার দিকে নজর! আমার বয়স তখন ছয় কী সাত বছর।’ আমজাদ খানের মৃত্যুর পর কোম্পানিতে নেতৃত্বের সংকট বোধ হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাবা সবকিছু গুছিয়ে রেখে গেছেন। সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। সংক্রিয়ভাবে আমাদের মাঝে একটি সিস্টেম দাঁড় করিয়ে গেছেন, যে সিস্টেম কখনোই ভাঙার নয়। দায়িত্ব হয়তো কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু বাবার দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনা এবং সেই সিস্টেমের কারণে আজও কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। সবকিছুই ঠিকঠাক আগের নিয়মেই চলছে।’

সাদামাটা অনন্য এক মানুষ

‘নিজ অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে লিফটে উঠতেন। দুপুরে ক্যান্টিনে বসেই সবার সঙ্গে কমন খাবার খেতেন। বিশিষ্ট শিল্পপতি হয়েও অন্য স্টাফদের মতো নিজেও একটি সাধারণ গাড়ি ব্যবহার করতেন।’ আমজাদ খান চৌধুরী সম্পর্কে তার নিজ অফিসের সহকর্মীরা এমনটিই বললেন। মেয়ে উজমা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ভাইবোনেরা বড় হয়ে যাওয়ার পরে যে যার মতো দেশে-বিদেশে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। কিন্তু, বাবার একটাই আবদার ছিল, অন্তত বছরে একবার যেন সবাই এক জায়গায় মিলিত হই। বাবার কথামতো আমরাও তাই করতাম। এমনও হয়েছে বাবার কথা রাখতে গিয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে এসেছি। পরিবারের সবাই একত্র হলে আমাদের সুখের সীমা থাকত না। সবাই মিলে বাইরে খেতে যেতাম। একসঙ্গে গল্প-গুজব করতাম। স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো।’

আমজাদ খান চৌধুরীর ঢাকা বাড়িতে এখন সুনসান নীরবতা। বলতে গেলে তার স্ত্রী সাবিহা আমজাদ একাই থাকেন। কীভাবে সময় কাটান? মেয়ে উজমার কাছে তার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করতেই নীরব হয়ে গেলেন তিনি। তারপর কান্না জড়ানো কণ্ঠে অসহায়ের মতো বললেন, ‘জানি না’।

আমজাদ খান চৌধুরী যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সহযোগিতা নিতেন। বিশেষ করে যেখানে বুদ্ধি ও জ্ঞানচর্চার বিষয় আছে, সে সব জায়গাতে স্ত্রীর মতামতকে গুরুত্ব দিতেন। উজমা চৌধুরী বলেন, বাবা সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায়ও নিজের পেশাগত বিভিন্ন ব্যাপারে মায়ের কাছে পরামর্শ চাইতেন।

আমজাদ খান চৌধুরীর সফলতার চার মন্ত্র

আমজাদ খান চৌধুরীর সান্নিধ্যে থেকে প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করেছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বর্তমান পরিচালক (মার্কেটিং) কামরুজ্জামান কামাল। তিনি জানান, আমজাদ খান চৌধুরী তার ব্যবসা ক্ষেত্রে চারটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মেনে চলতেন। আর তা হলো— প্রথমত, ডিসিপ্লিন। তিনি সব ব্যাপারে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেন। সময়ের ব্যাপারে ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। সহকর্মীদের ভাষায়— তার কাছে ১০টা মানে ১০টা-ই ছিল; ৯টা ৫৯ কিংবা ১০টা ১ মিনিট নয়। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে তিনি এসওপি (সোপ) বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুসরণ করতেন। তৃতীয়ত, ট্রেনিং অ্যান্ড কোচিং। যাত্রা শুরুর প্রথম থেকেই আমজাদ খান কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি মনে করতেন এই দেশে জনগণের অভাব নেই। কিন্তু জনসম্পদের অভাব আছে। তাই তিনি মানুষকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে প্রশিক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতেন। চতুর্থত, ডেলিগেশন অ্যান্ড সুপারভিশন। লোকজনকে দিয়ে কাজ আদায় করে নেওয়ার বিশেষ দক্ষতা ছিল আমজাদ খান চৌধুরীর। তিনি সরাসরি তার কোম্পানিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ বা ক্ষমতার চর্চা করতেন না। বরং সবাইকে দায়-দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে পেছন থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতেন। ভবিষ্যতে তার অনুপস্থিতিতে যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই একটি সিস্টেমের মধ্য দিয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এগিয়ে যেতে পারে, সে জন্যই তিনি এই কৌশল ও মূল্যবোধ পোষণ করতেন।

আমজাদ খান চৌধুরী মনে করতেন নেতৃত্ব ভালো হলেই সেখানে সফলতা আসে। আর এর জন্য চাই কঠোর পরিশ্রম ও সময়মতো কাজ করার অঙ্গীকার। তিনি বলতেন, মানুষের জীবনে সময় অত্যন্ত সীমিত। এই সীমিত সময়ে আপনি যদি সফলতা অর্জন করতে চান, তবে সময়মতো কাজ সম্পাদনের বিকল্প নেই। আর ব্যবসার ক্ষেত্রে গুড টিম ওয়ার্ক, ক্লায়েন্ট স্যাটিসফেকশন ও জব স্যাটিসফেকশনের কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না।

ভালোবাসতেন নদীর গান

‘অবসর সময়ে বাবা গান শুনতে ভালোবাসতেন... নদীর গান’— বললেন আমজাদ খান চৌধুরীর মেয়ে উজমা খান। তার পরিবার-পরিজন ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেল, অবসরে বই পড়ে সময় পার করতেন তিনি। নতুন কিছু জানার প্রতি তার ভীষণ আগ্রহ ছিল। ব্যবসা শুরুর পর এই আগ্রহ আরও বাড়তে থাকে। তখন সময় পেলেই তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বই ঘাঁটতেন। সেখান থেকে বিভিন্ন বিষয় শিখতেন এবং নোট করে রাখতেন। যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই তার স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করতেন। পরামর্শ নিতেন।

অন্যরকম সমাজসেবা

স্বতন্ত্র গুণে গুণান্বিত আমজাদ খান চৌধুরীর কাছে সমাজসেবার ধারণাটিও ছিল ভিন্ন। তিনি মনে করতেন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধাপীড়িত বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যদি একটি পরিবারেও আলো ছড়াতে পারেন, তবে সেটিই সমাজসেবা। একজন কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে সেটিই তার সার্থকতা। আর সে কারণেই লক্ষাধিক মানুষের বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশকে কাজের সন্ধান দিয়ে জীবনের আলো ফুটিয়েছেন তিনি। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে ৮০ শতাংশেরও বেশি নারীকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রেও সহায়তা দিয়েছেন আমজাদ খান চৌধুরী। ইতিমধ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল ও হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে দুটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে। ঘোড়াশাল উচ্চবিদ্যালয়ের সার্বিক পরিচালনাসহ বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিফিন দিচ্ছে প্রাণ। গাজীপুর জেলায় কোম্পানির পক্ষ থেকে স্কুল ভবন তৈরি এবং মসজিদ ও শ্মশানঘাট স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাবীদের বৃত্তি দিচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এ ছাড়া ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে খামারিদের পশুপালনবিষয়ক প্রশিক্ষণ, পশু চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ, রোগ প্রতিষেধক টিকাদান, কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থা, গবাদিপশুর জন্য উপযুক্ত খাবার সরবরাহ, দুগ্ধখামারিদের সুসংহত করে আর্থিক সহায়তা করাসহ আরও অনেক সেবা কার্যক্রম চালু করে গেছেন আমজাদ খান চৌধুরী।

তিনি উত্তরাঞ্চলের মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ তিনি নেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে প্রাণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণকাজ। এটি চালু হলে উত্তরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটবে বলে মনে করছেন ওই অঞ্চলের মানুষ।

সহকর্মীদের সঙ্গে শেষ জন্মদিন

কোম্পানিকে নিজের পরিবারের মতোই মনে করতেন আমজাদ খান চৌধুরী। স্বল্পভাষী ও রাশভারী মানুষ হলেও অফিসের কর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অন্যরকম। সে কারণেই হয়তো জীবনের শেষ জন্মদিন পালন করেছিলেন সেই সহকর্মীদের সঙ্গেই। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, সাধারণত জন্মদিনে তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাতেন। কিন্তু সেবার আমাদের ডাকলেন। আমরাই ওনার জন্মদিন উদযাপন করলাম। তিনি আরও বলেন, ‘আমজাদ খান চৌধুরীর ধ্যান-জ্ঞান এবং স্বপ্ন ছিল ব্যবসা। আমাদের প্রতি তিনি বেশ কেয়ারিং ছিলেন। আজ তিনি নেই। আমরা তাকে অনেক মিস করি। সেই সঙ্গে এটিও ফিল করি যে, তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন। তা না হলে সবকিছু এত ঠিকঠাক চলছে কীভাবে?’

শেষ পরামর্শ

মৃত্যুর আগে প্রায় ৪০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কালজয়ী এই ব্যবসায়ী। সারা জীবন নিয়ম মেনে চলা এই সফল মানুষটি যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই সিস্টেম মেনে চলতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ছোট-বড় যে কোনো টিমে সফলভাবে কাজ করতে চাইলে সবচেয়ে যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, ‘ইউনিটি’ বা ঐক্যতা। তাই পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিকেল হসপিটালে পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে পেয়েছিলেন তখনো তাদের একটি কথাই বলেছিলেন। আর তা হলো— ‘ইউনিটি’। পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য সবখানে নিজেদের মধ্যে ঐক্যতা ধরে রাখার পরামর্শ দিয়ে যান আমজাদ খান চৌধুরী।

এই বিভাগের আরও খবর
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা
হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা
আশিরের বিমান থেকে ড্রোন
আশিরের বিমান থেকে ড্রোন
দাপিয়ে চলছে মন্টু মিয়ার আজব ভ্যান
দাপিয়ে চলছে মন্টু মিয়ার আজব ভ্যান
বাংলার মাটি থেকে রকেট যাবে মহাকাশে
বাংলার মাটি থেকে রকেট যাবে মহাকাশে
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
সর্বশেষ খবর
ফেনীতে ফের বন্যা, আতঙ্কে মানুষ
ফেনীতে ফের বন্যা, আতঙ্কে মানুষ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বিদ্যালয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে ৪ মাদকসেবীর জরিমানাসহ বিনাশ্রম কারাদণ্ড
বিদ্যালয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে ৪ মাদকসেবীর জরিমানাসহ বিনাশ্রম কারাদণ্ড

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিল ইরান সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়াগোষ্ঠী
যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিল ইরান সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়াগোষ্ঠী

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই অভ্যুত্থান: বর্ষপূর্তি পালনে বিএনপির কমিটি
জুলাই অভ্যুত্থান: বর্ষপূর্তি পালনে বিএনপির কমিটি

৪৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ‘অর্জন করতে পারবে না' বলে একমত যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ‘অর্জন করতে পারবে না' বলে একমত যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে শেখ হাসিনাসহ ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে শেখ হাসিনাসহ ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৮ রানে দুই লঙ্কানকে ফেরালেন নাঈম-হাসান
১৮ রানে দুই লঙ্কানকে ফেরালেন নাঈম-হাসান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ জুন)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র ‘পরমাণু হামলার জবাব দেবে’ শুনেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া!
যুক্তরাষ্ট্র ‘পরমাণু হামলার জবাব দেবে’ শুনেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি সেবা নিতে তিনজনের একজন দুর্নীতির শিকার
সরকারি সেবা নিতে তিনজনের একজন দুর্নীতির শিকার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিজ বাড়িতে মিলল ইসরায়েলি ২ নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ
নিজ বাড়িতে মিলল ইসরায়েলি ২ নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেসির জাদুকরী ফ্রি-কিক! মায়ামির দুর্দান্ত জয়
মেসির জাদুকরী ফ্রি-কিক! মায়ামির দুর্দান্ত জয়

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা
যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মার্তিনেজকে ঘিরে জোরাল গুঞ্জন
মার্তিনেজকে ঘিরে জোরাল গুঞ্জন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নোয়াখালীতে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, গ্রেফতার ২
নোয়াখালীতে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, গ্রেফতার ২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার
৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হজে গিয়ে ৩৬ বাংলাদেশির মৃত্যু
হজে গিয়ে ৩৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?
সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের অধিকাংশ এলাকায় আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
দেশের অধিকাংশ এলাকায় আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে তেহরানে দূতাবাস বন্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে তেহরানে দূতাবাস বন্ধ করল অস্ট্রেলিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিমুলিয়ায় ফের চালু করা হবে ফেরি: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
শিমুলিয়ায় ফের চালু করা হবে ফেরি: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদেশি ঋণে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা
বিদেশি ঋণে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফ্ল্যাট-প্লট বিক্রি ৪০% কমেছে
ফ্ল্যাট-প্লট বিক্রি ৪০% কমেছে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমদানি-রপ্তানিতে অনলাইনে সিএলপি ইস্যু বাধ্যতামূলক করলো এনবিআর
আমদানি-রপ্তানিতে অনলাইনে সিএলপি ইস্যু বাধ্যতামূলক করলো এনবিআর

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

'বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর'
'বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর'

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংক মালিকদের পেটে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা
ব্যাংক মালিকদের পেটে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আওয়ামী লীগের মুখে জনগণ চুনকালি মেখেছে : খায়রুল কবির খোকন
আওয়ামী লীগের মুখে জনগণ চুনকালি মেখেছে : খায়রুল কবির খোকন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল
সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প
ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
চীন থেকে ‘রহস্যময়’ উড়োজাহাজের উড্ডয়ন, ইরানের কাছে গিয়ে ‘উধাও’!
চীন থেকে ‘রহস্যময়’ উড়োজাহাজের উড্ডয়ন, ইরানের কাছে গিয়ে ‘উধাও’!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
এবার মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি
যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি পরমাণু স্থাপনায় বোমাবর্ষণ চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না: বিবিসি
ইরানি পরমাণু স্থাপনায় বোমাবর্ষণ চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না: বিবিসি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালে কোন মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান, বুঝতেই পারছে না ইসরায়েল
সকালে কোন মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান, বুঝতেই পারছে না ইসরায়েল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলার আশঙ্কা; মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধবিমান ও জাহাজ সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের হামলার আশঙ্কা; মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধবিমান ও জাহাজ সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল
সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমন ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে- যা এখনও ব্যবহার করিনি, হুঁশিয়ারি ইরানের
এমন ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে- যা এখনও ব্যবহার করিনি, হুঁশিয়ারি ইরানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প
আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের
ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের এক রাতের হামলায় হাসপাতালে ২৭১ ইসরায়েলি
ইরানের এক রাতের হামলায় হাসপাতালে ২৭১ ইসরায়েলি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?
সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অডিও ফাঁস নিয়ে তোলপাড়, পদচ্যুত হতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী
অডিও ফাঁস নিয়ে তোলপাড়, পদচ্যুত হতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলজাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধের পর এবার দর্শকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের হুমকি
আলজাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধের পর এবার দর্শকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের হুমকি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা
ইসরায়েলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফোর্ডো ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার চায় ইসরায়েল
ফোর্ডো ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার চায় ইসরায়েল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প
ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর
পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে আরও ৩০ মিসাইল হামলা ইরানের, আহত অন্তত ২০
ইসরায়েলে আরও ৩০ মিসাইল হামলা ইরানের, আহত অন্তত ২০

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিএসসিসিতে যেভাবে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, আর বসে থাকার সুযোগ নেই: আসিফ মাহমুদ
ডিএসসিসিতে যেভাবে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, আর বসে থাকার সুযোগ নেই: আসিফ মাহমুদ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লজ্জা ভুলে ট্রেন্ড! ইরানের টিভি স্টুডিওতে হামলা নিয়ে ইসরায়েলে ব্যঙ্গ, বিশ্বব্যাপী নিন্দা
লজ্জা ভুলে ট্রেন্ড! ইরানের টিভি স্টুডিওতে হামলা নিয়ে ইসরায়েলে ব্যঙ্গ, বিশ্বব্যাপী নিন্দা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্ট সরকারি ছুটি পালনের সিদ্ধান্ত : ফারুকী
৫ আগস্ট সরকারি ছুটি পালনের সিদ্ধান্ত : ফারুকী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ইস্যুতে পুতিন- শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ
ইরান ইস্যুতে পুতিন- শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে, হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে, হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভয় না পেয়ে জনগণকে দৃঢ় থাকার আহ্বান খামেনির
ভয় না পেয়ে জনগণকে দৃঢ় থাকার আহ্বান খামেনির

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কূটনীতিক
ইরানে হামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কূটনীতিক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাঁটুর বয়সী মেয়েকে বিয়ে, বিতর্কে জড়ান অভিনেতা ভরত
হাঁটুর বয়সী মেয়েকে বিয়ে, বিতর্কে জড়ান অভিনেতা ভরত

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ধ্বংসযজ্ঞ তেল আবিব তেহরানে
ধ্বংসযজ্ঞ তেল আবিব তেহরানে

প্রথম পৃষ্ঠা

সুইস ব্যাংকে ২০২৪ সালে জমা ৮,৫৭০ কোটি টাকা
সুইস ব্যাংকে ২০২৪ সালে জমা ৮,৫৭০ কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

এনটিআরসিএর ছেলেখেলা লাখো চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে
এনটিআরসিএর ছেলেখেলা লাখো চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে

নগর জীবন

জ্বালানি খাতে বিপুর দুর্নীতির পারিবারিক উৎসব
জ্বালানি খাতে বিপুর দুর্নীতির পারিবারিক উৎসব

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না
সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

গ্যাস বিপর্যয় দুর্ভোগে গ্রাহক
গ্যাস বিপর্যয় দুর্ভোগে গ্রাহক

পেছনের পৃষ্ঠা

জুভেন্টাস ফুটবলারদের একি বললেন ট্রাম্প
জুভেন্টাস ফুটবলারদের একি বললেন ট্রাম্প

মাঠে ময়দানে

ঘরোয়া ফুটবলে অশনিসংকেত
ঘরোয়া ফুটবলে অশনিসংকেত

মাঠে ময়দানে

আন্তর্জাতিক ট্রেকিংয়ে দেশের পাহাড়প্রেমীরা
আন্তর্জাতিক ট্রেকিংয়ে দেশের পাহাড়প্রেমীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

অলিভিয়া কেন অন্তরালে
অলিভিয়া কেন অন্তরালে

শোবিজ

ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা
ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা

সম্পাদকীয়

হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সামনে নতুন ভারত
হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সামনে নতুন ভারত

মাঠে ময়দানে

কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও পেছাল বাংলাদেশ
কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও পেছাল বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরবীয় বাধায় আটকাল রিয়াল
আরবীয় বাধায় আটকাল রিয়াল

মাঠে ময়দানে

ব্যাটারদের দাপট অব্যাহত
ব্যাটারদের দাপট অব্যাহত

মাঠে ময়দানে

স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন
স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থা রেখেছেন হোবার্ট হারিকেন্স
আস্থা রেখেছেন হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী পালন করবে বিসিবি
টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী পালন করবে বিসিবি

মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে বাহারি ফলের উৎসব
দেশজুড়ে বাহারি ফলের উৎসব

নগর জীবন

সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়া
সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়া

শোবিজ

পারবেন কি সোনা জিততে
পারবেন কি সোনা জিততে

মাঠে ময়দানে

৪০ টাকায় অরিজিৎ সিংয়ের আয়োজন
৪০ টাকায় অরিজিৎ সিংয়ের আয়োজন

শোবিজ

চ্যানেল আইতে কৃষকের ঈদ আনন্দ
চ্যানেল আইতে কৃষকের ঈদ আনন্দ

শোবিজ

রিপন মাহমুদের কথায় কুমার শানু
রিপন মাহমুদের কথায় কুমার শানু

শোবিজ

নির্বাচনের নির্দেশনা এখনো আসেনি
নির্বাচনের নির্দেশনা এখনো আসেনি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারপ্রার্থীদের সেবায় গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা
বিচারপ্রার্থীদের সেবায় গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রদল নেতার মুক্তি দাবি বাবার
ছাত্রদল নেতার মুক্তি দাবি বাবার

দেশগ্রাম