বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্বের সুন্দর যত দেশ

সাইফ ইমন

বিশ্বের সুন্দর যত দেশ

সুইডেন

পৃথিবীর সবচেয়ে ‘ভালো’ দেশের খেতাব পেয়েছে সুইডেন। নিজের এবং অন্য দেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব যথাসম্ভব এড়িয়ে নিজ দেশের মানুষের স্বার্থরক্ষায় সবচেয়ে ভালো ভূমিকা রাখার কারণে এ সম্মান অর্জন করে দেশটি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরও দেশটি ছিল স্বাভাবিক। ইউরোপের অধিকাংশ দেশ যখন অবরুদ্ধ ছিল লকডাউনে তখন হালের বিপরীতে হেঁটেছিল বিশ্বের অন্যতম সুখের  দেশ সুইডেন। করোনা সময়েও অধিকাংশ নাগরিক স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যেতে পারছেন। দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোও ছিল পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। সুইডেনের এই কৌশল অবলম্বন করার পেছনে দেশটির নাগরিকদের সমর্থন ছিল। দেশটির বিজ্ঞানীরা এই কৌশলের প্রবর্তক এবং সরকার এটিকে সমর্থন করেছে। মাত্র ৯৫ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে সুইডেন ইউরোপের সবচেয়ে কম জনবসতি দেশ হিসেবেও পরিচিত। প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ২১ জন মানুষ বাস করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় ভাষা সুয়েডীয় আর মুদ্রা সুইডিশ ক্রোনা। প্রায় ২৭টি দ্বীপপুঞ্জকে একত্রে সমন্বয় করে সবচেয়ে বড় এবং রাজধানী শহর স্টকহোম গড়ে উঠেছে। ৮৫ ভাগ শহরকেন্দ্রিক দেশটি ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে বিশ্বে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান এবং স্বকীয়তা বজায় রেখেছে।

 

 কানাডা

পূর্বে আটলান্টিক ও পশ্চিমে প্যাসিফিক এই দুটি মহাসাগর থেকে শুরু করে পশ্চিমের বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকাসহ আরও বহু কিছু আছে কানাডাতে দেখার। এখানে আছে নদী, আছে সুবিশাল বন। অন্টারিওর উত্তরে আছে হাডসন উপসাগর। চার ঋতুতে কানাডার রূপ বদলায় চার রকম।  কানাডার পশ্চিমের সুদর্শন শহর ভেঙ্কুভার, মন্ট্রিওলের ওল্ড সিটি, কুইবেকের রাজধানী কুইবেক সিটিসহ অন্য শহরগুলোর প্রত্যেকটির রয়েছে আলাদা আলাদা বৈচিত্র্য। কানাডার একটি বিশেষ দিক হলো এখানকার জনগণ। এখানে সবাই খুব হেল্পফুল। যে কারণে এখানে এলে আপনাকে তেমন কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না। ফলে দেশটিতে রয়েছে নিরাপত্তার গ্যারান্টি। সুতরাং নির্ভয়ে  বেড়াতে যেতে পারেন কানাডোর যে কোনো প্রান্তে। বলা হয়ে থাকে কানাডা এমন একটি দেশ যেখানে একই সঙ্গে বন্য, শহুরে এবং রোমান্টিক স্থানের দেখা মেলে। বিশ্বখ্যাত নায়াগ্রা জলপ্রপাত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। আমেরিকায় জলপ্রপাতটি পেছন থেকে দেখতে হয়। কানাডায় সরাসরি সামনে থেকে দেখা যায় ফলে সম্পূর্ণ জলপ্রপাত ভালোমতো দেখা যায়। এখানে প্রতি বছর প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। কানাডার আরেকটি বিশেষ দিক হলো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেক এই দেশেই অবস্থিত। ফলে লেকের পাড়ে নয়নাভিরাম দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে। দেশটির কিছু প্রধান শহর যেমন- অটোয়া, মন্ট্রিওল, ভ্যানকুভার এবং টরেন্টোসহ বড় বড় শহরে বিশ্বের কিছু সেরা স্থাপত্য রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর দেশের তালিকায় কানাডা সবার ওপরে।

 

ডেনমার্ক

ছবির মতো সুন্দর দেশ ডেনমার্ক। শুধু সৌন্দর্য নয়, বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায়ও রয়েছে ডেনমার্ক। এই দেশের মানুষগুলোর মধ্যে শান্তির প্রথম ও প্রধান কারণ হিসেবে গবেষকরা বলেন, ‘ডেনমার্কের লোকজন কখনই যুদ্ধবিগ্রহে যান না, তাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য নিজেদের অর্থনৈতিক দিক’। আরও একটি দিক হলো ডেনমার্কের নাগরিকরা অনেক বেশি বন্ধুভাবাপন্ন ও সহযোগী মনমানসিকতাসম্পন্ন। ডেনমার্ক অনেক সুন্দর এবং উন্নত একটি দেশ। এখানে যারাই একবার  গেছেন তারাই বলেছেন জীবনে বেঁচে থাকতে অবশ্যই ঘুরে আসা উচিত এ দেশটি থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের জরিপ অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ডেনমার্ক। মাথাপিছু জিডিপি, স্বাভাবিক আয়ুর প্রত্যাশা, সামাজিক সহযোগিতা, উদারতা ও নিজ জীবনযাপন নিজের বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাসহ অন্য সবকিছু বিবেচনা করা হয় এতে। বলা হয়, ছয়টি মানদন্ডে সুখ পরিমাপ করা সম্ভব। আর সুখী মানুষের দেশ সুন্দর হবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বহু পর্যটন স্থান রয়েছে, যা দেশটিকে বিশ্বের সুন্দর দেশের তালিকায় নিয়ে এসেছে।

 

নরওয়ে

একটি পর্বতমালার দেশ নরওয়ে। এর রাজধানী ওসলো। নিশিত সূর্যের দেশ নামে পরিচিত নরওয়ে। মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ জাদুকরী একটি শহর হলো ওসলো। রঙিন কাঠের ঘরগুলোর সঙ্গে বার্গেন এবং এর নিখুঁত কারুকার্যগুলো পর্যটকদের মন ছুঁয়ে যায়। এ ছাড়াও নরওয়ে মাছ ধরা, হাইকিং এবং স্কিইং, বিশেষত লিলহ্যামারের অলিম্পিক রিসোর্টের জন্য পর্যটকদের কাজে সুপরিচিত। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত নরওয়ের প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ২৪ ঘণ্টাব্যাপী সূর্যের আলো বিদ্যমান থাকা। প্রাকৃতিক এ ঘটনাটিকে হোয়াইট নাইট বা শ্বেতরাত্রি বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এ পরাবাস্তব দৃশ্য অবলোকন করতে নরওয়েতে আসে। দেশটির বিশেষত্ব হিসেবে রয়েছে বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। রূপকথার গল্পের মতো সুন্দর সব সমুদ্রখাত, অরোরা বোরিয়ালিস বা উত্তরের আলো, তুষার ঢাকা বিস্তৃত মালভূমি আর অবিশ্বাস্য সুন্দর সব পর্বতমালা।

 

সুইজারল্যান্ড

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ বলা হয় যে দেশটিকে তার নাম সুইজারল্যান্ড। দেশটি বিশ্বজুড়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে অন্যতম কাক্সিক্ষত গন্তব্য। এখানে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাংক, নানা ধরনের চকোলেট এবং আল্পস পর্বতমালা। অনেকেই বলে থাকেন, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ড সবচেয়ে সুন্দর। পাহাড়, পর্বত, লেক, ভ্যালি এবং অ্যালপাইন বনাঞ্চলঘেরা এই দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। আবার সুইজারল্যান্ডকে বলা হয় ক্ষুদ্র পর্বতময় দেশ। ইউরোপের বিখ্যাত আল্পস পর্বতমালা দেশটির সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর আয়তনের ৭০ শতাংশ ঘিরে রয়েছে আল্পস পর্বতমালা। ১২০০ কিলোমিটার উচ্চতার আল্পস ঘিরে রয়েছে আটটি দেশজুড়ে। তবে শুধু বেড়ানোর জন্যই নয়, সব বিচারেই দেশ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা পেয়েছে ইউরোপের ছোট্ট এই দেশটি। সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু পর্বতের নাম মন্টি রোজা। স্কিইং আর পর্বত ভ্রমণের জন্য এখানে অনেক পর্যটক আসেন। বিশ্বের অন্যতম অর্থসংস্থান হওয়ায় এখানে বহু ভ্রমণকারী ব্যবসার জন্যও আসেন।

 

ফিনল্যান্ড

ফিনল্যান্ড উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে বাল্টিক সাগরের উপকূলে অবস্থিত রাষ্ট্র। এটি ইউরোপের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত দেশগুলোর একটি। এর এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সুমেরুবৃত্তের উত্তরে অবস্থিত। এখানে ঘন সবুজ অরণ্য ও প্রচুর হ্রদ রয়েছে। প্রাচীরঘেরা প্রাসাদের পাশাপাশি আছে অত্যাধুনিক দালানকোঠা। দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ এর বনভূমি। এগুলোকে ফিনল্যান্ডের ‘সবুজ স্বর্ণ’ নামেও ডাকা হয়। হেলসিঙ্কি ফিনল্যান্ডের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। ফিনল্যান্ডের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য সুবিদিত। এখানকার দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ সাউনা তথা ফিনীয় ধাঁচের বাষ্পস্নান বিশ্ববিখ্যাত। ফিনল্যান্ডের রাজনীতি একটি অর্ধ-রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংগঠিত। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। শিক্ষা একটি জন্মগত অধিকার ও রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত সেবা হিসেবে বিবেচিত হয় ফিনল্যান্ডে। এখানে ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়ে বিনামূল্যে শিক্ষালাভ করে। উচ্চশিক্ষায় ফিনল্যান্ড এগিয়ে। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে ছাত্ররা আসেন। আর পৃথিবীখ্যাত অপেরার অপার্থিব দৃশ্য এখানেই দেখতে পাওয়া যায়।

নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড ওশেনিয়া মহাদেশের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র, যা অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। নিউজিল্যান্ড একটি চমৎকার বন্ধুবৎসল দেশ হিসেবে সুপরিচিত। মনোমুগ্ধকর ফটোজেনিক প্রকৃতি যেন অপার্থিব সৌন্দর্যের আধার। এখানে আছে ঘন বন, পাহাড়, সমুদ্র সৈকত, গ্লাসিয়ার, উষ্ণ অঞ্চল সব কিছু। ঐতিহ্যবাহী মাউরি সংস্কৃতি মিশেছে শহুরে আধুনিকতার সঙ্গে, চমৎকার সব গ্রাম আর বিশাল অপূর্ব বন্য জীবন। যে কোনো ধরনের রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের জন্য একদম উপযুক্ত স্থান এটি। সমগ্র বিশ্বের কাছেই নিউজিল্যান্ড একটি শান্তিপ্রিয় দেশ বা স্বর্গীয় রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। মূলত নিউজিল্যান্ড অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এ দেশের পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রাণীকুলে বৈচিত্র্যময়তা ও প্রাচুর্যপূর্ণ হওয়ায় এটি বিশ্বের অন্যতম সুন্দর দেশের তালিকায় রয়েছে। মাওরি ভিলেজ, কাঠের শিল্পকলার তৈরি নানা জিনিসপত্র দেখতে পাওয়া যাবে এখানে। এখানে আপনি কাঠের তৈরি হরেক রকমের তৈজসপত্রের ভান্ডার পাবেন, যা দেখতে অনেকটা আদিকালের ব্যবহৃত জিনিসের মতো। সব মিলিয়ে যে কোনো ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছেই নিউজিল্যান্ড একটি স্বপ্নের নাম।

 

নেদারল্যান্ডস

নেদারল্যান্ডসের স্থলভাগের উচ্চতা সমুদ্রের জলতলের থেকে অনেক নিচু। তাই বাঁধ দিয়ে পুরো দেশটা ঘিরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জলতলকে সমান রাখার জন্য গোটা দেশে প্রচুর খাল কাটা আছে। সমুদ্রের সঙ্গে এ খালগুলোর যোগাযোগ আছে নদীর মাধ্যমে। এভাবে ভৌগোলিক অসুবিধাগুলোকে এ দেশের মানুষ অনেকটা অতিক্রম করেছে কৌশল খাটিয়ে যা অনেক দৃষ্টনন্দন। খালগুলোর ওপর রীতিমতো নৌবিহার করা যায়। ফলে সমগ্র দেশে জলপথে ভ্রমণ করা যায়। আয়তনে নেদারল্যান্ডস ছোট্ট একটি দেশ হলেও অত্যন্ত সুন্দর সাজানো-গোছানো। নেদারল্যান্ডসের অর্থনীতির মূল ভিত্তি কৃষি। গ্রীষ্মকালে বাইরে এবং শীতকালে তারা গ্রিন হাউস উৎপাদন করে। নেদারল্যান্ডসের কৃষকরা দেশের প্রথম শ্রেণির ধনী। তাদের প্রধান খাদ্য ব্রেড, আলু, সালাদ। আর এ ব্রেডের সঙ্গে অন্তত হাজার রকমের উপকরণ আছে যা মিলিয়ে তারা খেতে পছন্দ করে। ডাচ্রা খুব পরিশ্রমী। শত শত বছরের পরিশ্রমের ফসল আজকের এ নেদারল্যান্ডস। আর সে জন্য আজ তারা বিশ্বের একটা উন্নত দেশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে আইন যেমন আছে, তেমনি তার যথাযথ প্রয়োগও আছে।

অস্ট্রিয়া

মোজার্টের স্মৃতিবিজড়িত অস্ট্রিয়ায় যে কোনো ব্যাপারেই আপনি যান না কেন আপানার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এতটাই বন্ধুবৎসল এই এলাকার মানুষ। এখানকার আরও একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তাদের জিভে জল আনা স্থানীয় খাবার। এই সুন্দর দেশটিতে পাথরের খোয়া দিয়ে মধ্যযুগীয় বোহেমিয়ান রাস্তাগুলোতে চষে বেড়াতে পারবেন। উত্তর-পূর্বে গহিন জঙ্গলে হারিয়ে যেতে পারবেন। সবচেয়ে সুন্দর পার্কগুলোতে বসে সূর্যাস্ত দেখতেও চমৎকার লাগবে। এই দুই দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য বিশ্ব ঐতিহ্য। আর এই স্থানে ঘুরে দেখতে চাইলে সবখানেই আপনার প্রয়োজনে আপনি নিশ্চিন্তে নির্ভর করতে পারেন সেখানকার মানুষের ওপর। এই দেশে দেখার মতো আছে অনেক কিছু। বছরের পর বছর ধরে অস্ট্রিয়ার শহরগুলো হাজার হাজার পর্যটককে আকৃষ্ট করে আসছে।

 

জাপান

জাপানের কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই এবং প্রতি বছর শত শত ভূমিকম্প হয় তবুও তারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। তেমনি দেশটি সৌন্দর্যের দিক থেকেও বিশ্বের অন্যতম। প্রশান্ত মহাসাগরের একদম পূর্ব কোণে ৬৮০০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা ছোট্ট একটি দেশ এই জাপান। এই দেশটি নিয়ে পৃথিবীজুড়ে মানুষের বিস্ময়ের সীমা নেই। একটি দেশের বিমানবন্দরও যে এত সুন্দর গোছানো হতে পারে তা সেখানে না গেলে বুঝতে পারবেন না। গ্রাম থেকে শহর কোথাও কোনো রাস্তায় ময়লা- আবর্জনা নেই। একটা কাগজের টুকরো পর্যন্ত নেই। জাপানের গ্রামগুলোকে বাংলাদেশের গ্রাম ভাবলে ভুল করবেন। জাপানে নাগরিক সুবিধা সব জায়গায় সমান। বৈচিত্র্যে ভরপুর জাপানের সবখানেই ছড়িয়ে আছে উঁচু পাহাড়-পর্বত। এসব পাহাড়-পর্বতকে ভেদ করে নয়নাভিরাম মেঘের গাঁ ঘেষে বিশাল বিশাল রাস্তা, টানেল ও সুড়ঙ্গ মুগ্ধ করে সবাইকে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর