রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতে মুসলিম স্থাপত্য

সাইফ ইমন

ভারতে মুসলিম স্থাপত্য

আজমির শরিফ

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.)। তিনি মানুষের মাঝে ছড়িয়েছেন ভালোবাসা, সহিষ্ণুতা ও উদারতার বক্তব্য। তাঁর জন্ম ১১৪১ খ্রিস্টাব্দ ও মৃত্যু ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে। তার সমাধিই হলো ভারতের রাজস্থানের আজমির শরিফ। নানা বয়সী নানা ধর্মের পুণ্যার্থীর ভিড়ে মুখর থাকে মাজার প্রাঙ্গণ। এ স্থান সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে নেই মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ। হোক দেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা অতিবিখ্যাত কেউ। এ নিয়ম সবার জন্যই প্রযোজ্য। মাজারের একপাশে বৈঠকখানার মতো আছে। এ বৈঠকখানায় মাজারের খাদেমরা খাতা-কলম নিয়ে বসে আছেন। পুণ্যার্থীরা এসে এখানে নাম লেখান। মাজার প্রাঙ্গণে বেশ বড় দুটো পিতলের পাতিল আছে। মাজার প্রাঙ্গণে অজুর জন্য পাকা পুকুর আছে। এ পুকুরের চারপাশে বসে মানুষ অজু করেন। মাজার প্রাঙ্গণে মসজিদ আছে। নান্দনিক নকশা ও কারুকার্য দেখে বোঝা যায় মসজিদটি প্রাচীন। অনেক পুণ্যার্থী মাজার আঙিনায় প্রবেশ করেন গিলাফ নিয়ে দলবেঁধে। চারপাশে চারজন গিলাফটি ধরেন শামিয়ানার মতো করে। পুণ্যার্থীরা খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির সমাধি ঘরের একপাশ দিয়ে প্রবেশ করেন এবং সমাধি পরিদর্শন শেষে অন্যপাশ দিয়ে বের হন। সমাধির পাশে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে হারমনি-তবলা বাজিয়ে কাওয়ালি পরিবেশন করে মহান প্রতিপালকের গুণগান করা হয়। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.) খাজা গরিবে নেওয়াজ নামেও পরিচিত। চিশতিয়া সুফি তরিকার অন্যতম প্রচারক ভারতীয় উপমহাদেশে ভালোবাসা, সহিষ্ণুতা ও উদারতার দীক্ষা দিয়েছেন মানুষের মাঝে। ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী তিনি পূর্ব পারস্যের সিসটান রাজ্যের চিশতিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়সে তাঁর বাবা-মা মারা যান। তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে একটি উইন্ডমিল ও একটি ফলের বাগান উত্তরাধিকারসূত্রে পান। লোকমুখে প্রচলিত, একদিন তিনি তাঁর ফলবাগানে পানি দিচ্ছেন এমন সময় বাগানে আসেন বিখ্যাত সুফি শেখ ইবরাহিম কুন্দুজী। মঈনুদ্দিন কুন্দুজীকে ফল দিয়ে আপ্যায়ন করান। প্রতিদানস্বরূপ কুন্দুজী মঈনুদ্দিনকে এক টুকরা রুটি মুখে চিবিয়ে খেতে দেন। এরপর খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির মধ্যে আধ্যাত্মিক পরিবর্তন আসে। তাঁর সব সম্পদ গরিবদের মাঝে বিতরণ করে আল্লাহর পথে নিজেকে উৎসর্গ করেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি মানবতার ধর্ম ইসলামের দাওয়াত প্রচার করেছেন। 

 

বিস্ময়কর শাহ আলী দরগাহ

কখনো সাগরে ডোবে না ভারতের সুফি সাধক হাজী আলী শাহ (রহ.) দরগাহ। এই দরগাহ ঘিরেই তৈরি হয়েছে মসজিদ। তাই পৃথিবীর অন্যতম বিস্ময়কর মসজিদ বলা হয় একে। নাম হাজী আলী শাহ (রহ.) দরগাহ মসজিদ। এটি আরব সাগরের উপকূল থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি ছোট দ্বীপে অবস্থিত। মসজিদটি সম্পর্কে জানতে হলে চলে আসবে সৈয়দ পীর হাজী আলী শাহ বুখারির নাম। তিনি ছিলেন একজন সুফি পীর এবং বর্তমান উজবেকিস্তানের (তৎকালীন নাম বুখারা) একজন ধনী বণিক। সাধনা এবং আল্লাহর প্রেমে তিনি বিশেষ রহমত অর্জন করেন বলে ইতিহাসে লেখা হয়েছে। অনেক অলৌকিক কাজ করতেন বলে মানুষ বিশ্বাস করতেন। তিনি বিশ্ব ভ্রমণ করেন এবং এক সময় ভারতের মুম্বাইয়ে এসে অবস্থান করেন। এখানে তিনি ইসলামের বাণী প্রচার করতে থাকেন। ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত হাজী আলী শাহ (রহ.) দরগাহ মসজিদটি এই সুফি সাধকের স্মরণেই নির্মাণ করা হয়েছে। অনেকে বলেন, তিনি ছিলেন ধনী মুসলিম বণিক। তাঁর মৃত্যুর আগে ও পরের রয়েছে নানান কিংবদন্তি। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর অনুসারীদের বলেন, মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ যেন কফিনে ভরে আরব সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

 

দিল্লির জামে মসজিদ

দিল্লির জামে মসজিদ এক নামেই বিশ্বের কাছে পরিচিত এর স্থাপত্যশৈলীর কারণে। এই মসজিদ হলো বিশ্বজুড়ে নান্দনিক সৌন্দর্যমন্ডিত মসজিদগুলোর একটি। মসজিদের ফাটলে এবং সিঁড়ি ও গম্বুজের ওপরে শত শত পায়রার বসতি চোখ জুড়িয়ে দেয়। জামে মসজিদে একসঙ্গে ২৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। দিনে মসজিদের সমৃদ্ধ স্থাপত্য নকশা অধ্যয়নের জন্য খোলা থাকে। মসজিদটির নির্মাণ কাজ ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং ১৬৫৬-এ শেষ হয়। মসজিদ প্রাঙ্গণের তিন দিক থেকে উন্মুক্ত দ্বার রয়েছে। পূর্বদিকের দ্বারের ছাদটির ওপর মৌচাকের মতো খোদাই করা খিলান নির্মিত। বেশ কিছু ছোট সুদৃশ্য গম্বুজ দ্বারা সুসজ্জিত করা। নামাজ হলের দৈর্ঘ্য ৬১ মিটার প্রস্থ ২৭ মিটার। নামাজের স্থানের তাৎপর্যতার কারণে এটিকে ১.২ মিটার উত্থাপিত করে বানানো হয়েছে। মসজিদের সামনের পিশ্তাকটি সাদা মার্বেলের ওপরে লাল বেলে পাথরের নকশা করা। পিশ্তাকের ওপরে খিলানযুক্ত ওয়ালের বেড়া করা এবং সামনের দুই কোনায় চিকন দুটি মিনার আছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মুসলমান এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন।

 

এশিয়ার অন্যতম তাজ মসজিদ

ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ মধ্যপ্রদেশের তাজ-উল মসজিদ। ভোপালে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য। এটি শুধু ভারতের সর্ববৃহৎই নয়, একে এশিয়ার অন্যতম বড় মসজিদ হিসেবে মানা হয়। মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের শাসনামলে নবাব শাহজাহান বেগম মসজিদটির নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু তিনি নির্মাণ কাজ শেষ করে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে তার মেয়ে সুলতানা জাহান বেগম তার জীবদ্দশায় এর কাজ অনেকটাই এগিয়ে নেন। তবে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ফান্ডের অভাবে মসজিদটির নির্মাণ অসমাপ্ত থেকে যায়। ১১৪ বছর পর ১৯৭১ সালে আল্লামা মুহাম্মদ ইমরান খান নদভি আজহারি এবং মাওলানা সাইয়্যেদ হাসমত আলী আবার এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। মসজিদের ভিতর ও বাইরে মিলে এক লাখ ৭৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। দিল্লির জামে মসজিদ এবং লাহোরের বাদশাহী মসজিদের মতো এই মসজিদে গোলাপি রঙের মার্বেল পাথরের তিনটি গম্বুজসহ দুটি ১৮ তলা উঁচু অষ্টভুজ মিনার রয়েছে। মূল হলওয়েতে মুঘল স্থাপত্যের মতো আকর্ষণীয় স্তম্ভ এবং মেঝেতে চিত্তাকর্ষক মার্বেল রয়েছে। মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি বিশাল ট্যাঙ্ক রয়েছে। মসজিদটির একটি দ্বিতল ফটক রয়েছে। তাবলিগের ইজতেমা তাজ-উল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

 

ফতেহপুর সিক্রি

ফতেহপুর সিক্রি মুঘল স্থাপত্যশিল্পের এক অনন্য ধর্মীয় নিদর্শন। মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে ভারতবর্ষজুড়ে প্রচুর ইসলামিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে এক অনন্য কীর্তি ফতেহপুর সিক্রি। আকবরের রাজত্বের ১৪ বছর এখানেই ছিল তাঁর রাজধানী। ফতেহপুর সিক্রি ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে তৈরি করা হয়। কথিত আছে, বিখ্যাত দরবেশ সেলিম চিশতি যে স্থানে নিঃসন্তান আকবরের ব্যাপারে পুত্রসন্তান লাভের ভবিষ্যদ্বাণী করেন, সেখানেই আকবর ১৫৭১ সালে ফতেহপুর সিক্রি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন এবং তাঁর নিজস্ব তদারকিতে এই নতুন শহরের গোড়াপত্তন করেন। আকবর তাঁর পুত্রের নাম রাখেন শাহজাদা সেলিম, তিনিই পরবর্তী সময়ে মুঘল সম্রাট হলে জাহাঙ্গীর নাম ধারণ করেন। মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অনবদ্য আকর্ষণ ফতেহপুর সিক্রিতে রয়েছে বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন ইমারত। এখানে আছে জামে মসজিদ, বুলন্দ দরওয়াজা, দরবেশ বাবা সেলিম চিশতির মাজার, পাঁচ মহল ইত্যাদি।

 

দিল্লিতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরবার

শেখ খাজা সৈয়দ মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আউলিয়া হলেন ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক। তিনি নিজামউদ্দিন আউলিয়া নামেই বহুল জনপ্রিয়। ভারতে চিশতিয়া তরিকার অন্যতম মহান সুফি সাধকদের মধ্যে তিনি একজন। তার গুরু ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকার। যার মূল কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি হয়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির সঙ্গে মিলিত হয়।

এই অনুযায়ী তারা চিশতিয়া তরিকার মৌলিক আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতা বা সিলসিলা তৈরি করেছেন। নিজামউদ্দিন আউলিয়া ভারতের উত্তর প্রদেশের বাদায়ুনে ১২৩৮ সালের ৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৩২৫ সালে ইন্তেকাল করেন।

দানশীলতা, অতিথিপরায়ণতা, ধর্মপরায়ণতা এবং সরলতায় তিনি অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। তার অনেক শিষ্য ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ, বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্ম প্রচার করেছেন। বেঁচে থাকা অবস্থায় হাজার হাজার ভক্ত হজরত নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরবারে আসতেন মনোবাসনা পূরণের আশায়। এখনো প্রতি বছর লাখো ভক্তের আগমন ঘটে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে। মুসলিম ছাড়াও হিন্দু, শিখ ধর্মের অনুসারীরা বার্ষিক ওরসে অংশগ্রহণ করেন। সমবেত ভক্তরা মাজারে ফুল এবং মাজার চত্বরে কাওয়ালি গেয়ে নিজেদের মনোবাসনা পূরণের আর্জি দেন। নিজামউদ্দিন আউলিয়ার ৬০০-এর বেশি খলিফা ছিলেন। যাদের বিশ্বজুড়েই সুপরিচিতি রয়েছে। তাঁর বিখ্যাত খলিফাগণের মধ্যে রয়েছেন নাসিরুদ্দিন চিরাগ দেহলভি, আমির খসরু, বোরহানুদ্দিন গরিব, আখি সিরাজ আয়নায়ে হিন্দ, জালালুদ্দিন ভান্ডারী, সৈয়দ মাহমুদ কাশকিনাকার, আজান ফকির অন্যতম।

 

গোটা বিশ্বে প্রেম এবং ভালোবাসার প্রতীক তাজমহল

অপূর্ব প্রেমের নিদর্শন হয়ে পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে যে কয়টি সৌধ তার মধ্যে সবচেয়ে অনিন্দ্য তাজমহল। এটি ভারতের আগ্রায় অবস্থিত। তাজমহল একটি রাজকীয় সমাধিসৌধ। স্থানীয়রা এটিকে তাজ নামেও ডাকেন। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজের স্মৃতি রক্ষার্থে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সাদা মার্বেল পাথরের তৈরি তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে। ২০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক ২২ বছরে এই সমাধিসৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটির নকশা কে করেছিলেন এই প্রশ্নে অনেক বিতর্ক থাকলেও, একটি ব্যাপার পরিষ্কার, শিল্প-নৈপুণ্যসম্পন্ন একদল প্রতিভাবান নকশাকারক ও কারিগর সৌধটি নির্মাণ করেছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল পারস্যের স্থপতি ওস্তাদ ঈসা। তাজমহলকে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। এটির নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটেছে। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো তাজমহলকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

 

কাশ্মীরে ইসলাম প্রচারে খানকাহ-ই-মউলা  

খানকাহ-ই-মউলার প্রতিষ্ঠাতা সাইয়্যেদ-উল-আউলিয়া সাইয়্যেদ আলী হামাদানি (আলীসানি)। এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় ১৩৯৫ খ্রিস্টাব্দে। পরবর্তীতে পুনর্নির্মিত হয় ১৭৩২ খ্রিস্টাব্দে। খানকাহ-ই-মউলা শুধু খানকাহ নামে পরিচিত। এখানে একটি মসজিদ এবং সাইয়্যেদ-উল-আউলিয়া সাইয়্যেদ আলী হামাদানির সমাধি রয়েছে। এটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পুরনো শ্রীনগরের ঝিলাম নদীর ডানতীরে অবস্থিত। কাশ্মীর উপত্যকার প্রাচীনতম মসজিদের মধ্যে খানকাহ-ই-মউলা একটি। এর উল্লেখ মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরও করেছেন। কাশ্মীরে ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি অবদান ইসলাম প্রচারক ও সুফি-দরবেশদের। মুসলিম শাসকরাও এক্ষেত্রে অনন্য ও অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। একদা কাশ্মীরের জনগণের একাংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলেন। হিন্দুর সংখ্যাও বৌদ্ধদের চেয়ে কম ছিল না। এই বৌদ্ধ ও হিন্দু জনগোষ্ঠী কালক্রমে প্রায় শতভাগ ইসলামের অনুসারী হয়ে যান। ইতিহাস থেকে দেখা যায়, সাইয়্যেদ-উল-আউলিয়া সাইয়্যেদ আলী হামাদানি কাশ্মীরে ইসলাম  প্রতিষ্ঠিত করার প্রক্রিয়ায় স্থানীয়দের স্বাধীনতা, স্বকীয়তা এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর হস্তক্ষেপ করেননি। এ কথা ভারতের সব সুফি সাধকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর