কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর পুরান ঢাকা সহ দেশের বিভিন্নস্থানে আটক ১৬ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩ জনকে বিভিন্ন থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মুঠোফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকার কোতোয়ালি থানা থেকে নয়জন, সাভার থেকে একজন, টাঙ্গাইল থেকে দুইজন এবং সর্বশেষ গতকাল বুধবার লক্ষ্মীপুর থেকে একজনকে মুক্ত করেছি আমরা।
প্রক্টর আরও বলেন, এ পর্যন্ত ১৬ জন শিক্ষার্থীকে আটকের খবর পেয়েছি আমরা। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৩ জনকে ছাড়ানো হয়েছে। তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তাদের ছাড়েনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মিরপুরে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব তামিম। বুধবার তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে এক লাখ টাকা, এক মাসের বাজার করে দেন বিভাগের শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা গুরুতর আহত ১৬ জনের তথ্য পেয়েছি। আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা মোতাবেক তাদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফ থেকে আর্থিক সহযোগিতাও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলন ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্ট ও সহিংসতার অভিযোগে কোনো ‘নিরপরাধ’ শিক্ষার্থীকে হয়রানি না করতে ২৯ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিরপরাধ’ কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে বিষয়টি প্রক্টর অফিসে জানাতে বলা হয় সেখানে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত