বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আজকের পর থেকে যারা সচিবালয়ের আশেপাশে অবস্থান গ্রহণ করবে তাদের ছাত্র-জনতা দেখে নেবে।’
রবিবার রাতে শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘৩৬ দিনের গণঅভ্যুত্থানে আমরা কোনো দিন সচিবালয় ব্লকেড করিনি। কারণ সেখান থেকে আমার রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। গণঅভ্যুত্থানের ২০ দিন না যেতেই যারা অধিকারের নামে ভণ্ডামি করে, সচিবালয় দখল করে তারা ওই শকুনদের দালাল। আমার ভাইদের যারা হামলা করেছে, রক্তাক্ত করেছে তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ আমরা ছাড়ছি না। ওই শকুনদের সাবধান করে দিতে চাই, আমার ভাইয়ের দিকে আর হাত বাড়ালে ওই হাতের অস্তিত্ব থাকবে না। আজকের পর থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বাধা আসবে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই বাধা মোকাবেলা করবে।’
সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, ‘সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষ যেখানে ত্রাণ বিতরণ করছে সেখানে এই আনসার বাহিনী যে ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে তা ভারতে বসা ফ্যাসিবাদীর চক্রান্ত এবং রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। অতিদ্রুত এই আনসার বাহিনীর সদস্যদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে। তারা যে কাজ করেছে তাতে তাদের বাঙালি হিসেবে পরিচিত করায় না, এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল এবং এদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘সমন্বয়কদের আটকে রাখা এবং শিক্ষার্থীদের উপর আনসার বাহিনীর হামলায় তীব্র নিন্দা জানাই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী আনসার সদস্যদের বহিষ্কার করতে হবে। আজকের পর থেকে সচিবালয়ের আশেপাশে যারা অবস্থান নেবে তাদের ছাত্র জনতা দেখে নেবে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল