ক্যাম্পাস থেকে কুমারখালী পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুনির হোসেনের মৃত্যুর পর থেকে এ দাবি তোলেন তারা।
আজ রবিবার উপাচার্য বরাবর এ দাবি সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী-খোকসা অঞ্চল থেকে প্রায় ১৫০-২০০ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করে এবং তাদের অধিকাংশই মেয়ে শিক্ষার্থী। প্রতিমাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত বাবদ আমাদের অতিরিক্ত ৩০০০-৪০০০ টাকা ব্যয় করতে হয়। এছাড়া ভাড়া গাড়িতে চলার ক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই অর্থনৈতিকসহ নানারকম হয়রানির শিকার হতে হয়। সম্প্রতি ২৬ সেপ্টেম্বর আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুনির হোসেন ক্যাম্পাস থেকে সিএনজিযোগে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। প্রতিনিয়তই অনেক শিক্ষার্থী ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সার্ভিসের ফি পরিশোধ করার পরও বাস সার্ভিস থেকে বঞ্চিত রয়েছি। আমাদের যাতায়াত সমস্যার কারণে অনেক সময় বিলম্বে পৌঁছাতে হয়। পরীক্ষার সময় এ ধরণের সমস্যার কারণে আমাদের অনেক বড় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কিন্তু আমরা যারা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান, তাদের পক্ষে নিয়মিত অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করা অথবা মেসে থেকে পড়াশোনার খরচ বহন করা উভয়ই বেশ কষ্টসাধ্য। প্রতিনিয়ত আমাদেরকে অটো, ভ্যান ইত্যাদি যানবাহনের মাধ্যমে যাতায়াত করতে হয় যা আমাদের জন্য ব্যয়বহুল। তাই আমাদের এলাকার শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ক্যাম্পাস-পান্টি-কুমারখালী রুটে বাস সার্ভিস চালু করার দাবি জানাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস শিডিউলে কুমারখালি পর্যন্ত বাস দেওয়ার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাই। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্রাণ এভাবে ঝরে যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হলেও এটির বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুলসুম খাতুন বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ৩০ বছর ধরে কুমারখালী-খোকসা অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের একটি যৌক্তিক দাবিকে উপেক্ষা, অবজ্ঞা এবং অবহেলা করেছে। সেটি হলো ক্যাম্পাস-পান্টি-কুমারখালী রুটে বাস চালুর দাবি। এটি চালু হলে হয়তো ঠুনকো কারণে কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরবে না।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ